জমেছে চট্টগ্রামের ঈদবাজার

শৈল্পিক
শৈল্পিক

ক্রেতার ভিড়ে চারদিক গমগম। এক পোশাকে হাত পড়ছে একসঙ্গে কয়েকটি।
এই দেখে এসেছেন তো ঘুরে এসেই নেই। দোকানিরাও হিমশিম খাচ্ছেন চাহিদা মেটাতে। কেউ দল বেঁধে, কেউ একাই সারছেন কেনাকাটা। চট্টগ্রাম নগরের আফমি প্লাজার পঞ্চম তলার এই ব্যস্ততা এখন দিন-রাতের।
কারণ দেশী দশ। সবাই একবার হলেও ঢুঁ মারছেন এখানে।শুধুই কি দেশী দশ? আড়ং, শৈল্পিক, মিয়াবিবি, পিণন, নিডেলওয়ার্ক, ডলস হাউস, অনিন্দ্য, শ্রেয়া-মুনমুনস, নৈ, সালসাবিল, নবরূপা, চারু চট্টগ্রাম, রমনীয়া প্রভৃতি ফ্যাশন হাউসেও কেনাকাটা জমজমাট।শৈল্পিকের স্বত্বাধিকারী এইচ এম ইলিয়াস বলেন, ‘ক্রেতারা এখন বেশি সচেতন। নতুনত্ব ও বৈচিত্র্যের খোঁজে তাঁরা ফ্যাশন হাউসের পোশাকের প্রতি ঝুঁকছেন।
এটা অত্যন্ত সুখকর।’ 

জেন্টলম্যান,নিডেলওয়ার্ক,ডলস হাউস
জেন্টলম্যান,নিডেলওয়ার্ক,ডলস হাউস

সুতি, ভয়েল, ধুপিয়ান, মসলিন, তাঁত ও বিভিন্ন সিল্কের কাপড়ের শাড়ি, পাঞ্জাবি ও সালোয়ার-কামিজে ভরপুর এই ফ্যাশন হাউসগুলো। পোশাকের রঙেও ঔজ্জ্বল্য চোখে পড়ার মতো, পাশাপাশি সাদা, গোলাপি, ফিরোজা, বেগুনি, আকাশি, হলুদ ইত্যাদির হালকা শেডওদেখা যায়। এবারও বৈচিত্র্যময় নকশা চলছে মেয়েদের পোশাকে।শাড়িতে দেখা গেছে অ্যাপ্লিক, লেইস, পুঁতি, এমব্রয়ডারি, হ্যান্ডপেইন্ট, ব্লকপ্রিন্ট, স্ক্রিনপ্রিন্টের কাজ।
এ ছাড়া টারসেল, কারচুপি ও চুমকির ব্যবহারও রয়েছে। কামিজে এবারও লম্বা ঝুলের চল। সালোয়ারের বদলে চুড়িদার, চোস্ত, প্যান্টই বেশি চলছে।
পাঞ্জাবিতে নকশার ক্ষেত্রে আঙ্গিকের ভিন্নতা লক্ষ করা গেছে।
পরিবর্তন এসেছে কলারে। শার্ট ও ফতুয়ার মতো কলার যোগ হয়েছে পাঞ্জাবিতে। সেমি লং পাঞ্জাবিতে সুতি ও সিল্কের কাপড়ে বাহারি কাজকে প্রাধান্য দিচ্ছেন তরুণেরা। কেউ কেউ বেছে নিচ্ছেন চেকের পাঞ্জাবিও। শিশুদের পোশাকে পাইপিং, বর্ডার, লেস দিয়ে আনা হয়েছে বৈচিত্র্য। তবে তা আরামদায়ক কাপড়েই।

দরদাম: সালোয়ার-কামিজ ১২০০-৮০০০ টাকা, শাড়ি ১৫০০-৩৩০০০, পাঞ্জাবি ৯০০-৮০০০ ও শিশুদের পোশাক ৫৫০-৭০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে।