চিটাগং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে চলছে পিকনিক উৎসব
চিটাগং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে (সিআইইউতে) চলছে পিকনিক উৎসব। বছর জুড়ে থাকে ক্লাস পরীক্ষা। ব্যস্ত ক্যাম্পাস–জীবনে তাই বন্ধুরা মিলে একটু প্রাণ খুলে সময় কাটানো ও কথা বলার জন্য ছিল শুধুই অপেক্ষা।
সিআইইউর স্কুল ও ক্লাবগুলো এক মাস ধরে ঘুরে বেড়িয়েছে মনের আনন্দে। কেউ কেউ পাহাড়ি উঁচু-নিচু, আঁকাবাঁকা সড়ক আর সবুজের পথ ধরে, কেউবা সমুদ্র দেবীর কাছে। হয়েছে হইহুল্লোড়। গান, র্যাফল ড্র...আরও কত কি!
স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীরা সম্প্রতি ঘুরে এসেছেন পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার। এই সময় শিক্ষার্থীরা রাডার স্টেশনেও যান। পরে দল বেঁধে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আনন্দে মেতে ওঠেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক গোলাপ কান্তি দে বলেন, এ ধরনের পিকনিক কিংবা স্টাডি ট্যুর ছাত্রছাত্রীদের সৃষ্টিশীলতা বাড়িয়ে তোলে। তাদের ইতিবাচক কাজে জড়িত হওয়ার অনুপ্রেরণা জোগায়।
সিআইইউর বিজনেস স্কুলের শিক্ষার্থীরা অবশ্য কক্সবাজারের লাবণী পয়েন্টে আনন্দ উদযাপন করেছেন। কারও হাতে ছিল গিটার, অনেকে আবার ব্যস্ত ছিলেন সেলফিতে। ডিন নাঈম আবদুল্লাহকে কাছে পেয়ে ভীষণ খুশি হন শিক্ষার্থীরা।
পিকনিক আয়োজনের আহ্বায়ক প্রভাষক তামান্না বিনতে জামান বলেন, বিজনেস স্কুলের ছাত্র-শিক্ষকেরা সবাই যেন একটি পরিবার। বছরের এই দিনটির জন্য প্রত্যেকে অপেক্ষা করে থাকে।
তবে কেবল সাগরদেবী নয়, পাহাড়কন্যার সঙ্গেও আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন সিআইইউর আরও দুটি স্কুলের শিক্ষার্থীরা। স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেসের ছাত্র-শিক্ষকেরা ঘুরে এসেছেন রাঙামাটি। সময় কাটিয়েছেন মেঘের রাজ্যে।
ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী মো. সাইফুল আসপিয়া বলেন, ‘খুব সকালে বেরিয়ে পড়েছিলাম আমরা। রাঙামাটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করেছে।’
সিআইইউর স্কুল অব ল’র ছাত্রছাত্রীরা পিকনিক আয়োজনে এবার গিয়েছিলেন বান্দরবানে। নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমিখ্যাত বান্দরবান যেন আপন করে নিয়েছিল তাঁদের। খাওয়াদাওয়া, ঘোরাঘুরি, গানবাজনা, কুইজ—সবই ছিল সমানতালে।
প্রভাষক আদনান কবির বলেন, চোখজুড়ানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর রোমাঞ্চকর জায়গাগুলো ছবি তোলার জন্য ছিল চমৎকার। ভালো হয়েছে আয়োজনটা। সিআইইউর স্কুলগুলো ছাড়াও একাধিক ক্লাবের আয়োজনে চলছে পিকনিক ও চড়ুইভাতির নানা আয়োজন। সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সদস্যরা ইতিমধ্যে রাঙামাটি সফর করেছেন। সেখানে খাবারদাবার আর ছবি তোলা নিয়ে বন্ধুদের হুলুস্থুল কাণ্ডের ছবি এখনো ফেসবুকে ঝড় তুলছে।
*নাগরিক সংবাদের জন্য লেখাটি পাঠিয়েছেন মহিউদ্দিন জুয়েল