রাবিতে করোনাভাইরাস নিয়ে উন্মুক্ত বিতর্ক

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আয়োজনে করোনাভাইরাস সতর্কতায় উন্মুক্ত বিতর্ক ও মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: লেখক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আয়োজনে করোনাভাইরাস সতর্কতায় উন্মুক্ত বিতর্ক ও মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: লেখক

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আয়োজনে করোনাভাইরাস সতর্কতায় উন্মুক্ত বিতর্ক ও মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শহীদুল্লাহ কলাভবনের আমচত্বরে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এ বিতর্কের আয়োজন করে ছাত্র ফেডারেশন রাবি শাখা।

ইনস্টিউট অব বিজনেসের শিক্ষার্থী তানহা শান্তার সঞ্চালনায় বিতর্কটি পরিচালনা করেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদ সাকী।

উন্মুক্ত বিতর্ক আয়োজকদের চাওয়া বিতর্ক মানুষের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ুক। ছবি: লেখক
উন্মুক্ত বিতর্ক আয়োজকদের চাওয়া বিতর্ক মানুষের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ুক। ছবি: লেখক

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক হারুনুর রশীদ ও ছাত্র ফেডারেশন রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মোহাব্বত হোসেন। এতে সরকারি দল হিসেবে বিতর্ক করেন সংগঠনের সদস্য রিজভী, গালিব, মাহি এবং বিরোধী দলের হয়ে বিতর্ক করেন সজিব, কাউসার ও সাদাক।

এদিকে চীনফেরত ফুশান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আফসানা শারমিন ত্রিশা করোনাভাইরাস সম্পর্কে চীনের ভয়াবহতা ও তাঁর দেখা চীনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘উহানের পরিস্থিতি এতটাই মারাত্মক আকার ধারণ করে যে সেটা এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশি বহু শিক্ষার্থী সেখানে আছেন। সরকারের কাছে আমরা আবেদন জানাই, তারা যেন তাদের (চীনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী) জীবনের প্রতি যথেষ্ট নজর রাখে।’

করোনাভাইরাসবিষয়ক বিতর্কের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সতর্কতামূলক বার্তাই দিতে চান। ছবি: লেখ
করোনাভাইরাসবিষয়ক বিতর্কের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সতর্কতামূলক বার্তাই দিতে চান। ছবি: লেখ

মাহমুদ সাকী বলেন, ‘বিতর্ক শিল্পটি বাংলাদেশে একধরনের এলিট শ্রেণির আনন্দ–বিনোদনে পরিণত হয়েছে। অথচ এটি ছিল সমাজ সংস্কারের অন্যতম মাধ্যম, আমরা উন্মুক্ত বিতর্ক অঙ্গনের মাধ্যমে বিতর্কটি সেই এলিট শ্রেণি থেকে বের করে সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরতে চাই। আজকের এই সতর্কতামূলক করোনাভাইরাস–বিষয়ক বিতর্কের মাধ্যমে আমরা সেই আগাম বার্তাই দিচ্ছি।’

এ সময় ছাত্র ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক মোহাব্বত হোসেন বলেন, উন্মুক্ত বিতর্ক অঙ্গনের মাধ্যমে বিতর্কটি মানুষের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ুক। বিতর্ক হোক সমাজের সব অন্যায়ের প্রতিবাদের ভাষা।

লেখক: শিক্ষার্থী, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়