'ট্রাম্প ভয়ংকর মানসিক রোগে আক্রান্ত'

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘ভয়ংকর মানসিক রোগে’ আক্রান্ত। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব দেওয়ার উপযুক্ত নন। ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে এক সম্মেলনে মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একটি দল এ মন্তব্য করেছে।

সম্মেলনে মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন, ট্রাম্প ‘মস্তিষ্ক বিকৃতি ও বিভ্রমে’ আক্রান্ত এবং আমেরিকার জনগণকে ট্রাম্পের এই মানসিক অবস্থা সম্পর্কে সচেতন করা তাঁদের ‘নৈতিক দায়িত্ব’।

গতকাল বৃহস্পতিবার ইয়েল স্কুল অব মেডিসিনের সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময় জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল স্কুলের পরামর্শক ও সাইকোথেরাপিস্ট ড. জন গার্টনার বলেন, ‘ট্রাম্পের ভয়ংকর মানসিক রোগের বিষয়ে জনগণকে সতর্ক করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।’

ড. গার্টনার মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের সংগঠন ডিউটি টু ওয়ার্নের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। বেশ কয়েকজন পেশাদার মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়ে ওই সংগঠন গঠিত। এই মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়ার মানসিক যোগ্যতা নেই। তাঁরা বলেছেন, অভিষেক অনুষ্ঠানে সবচেয়ে বড় লোকসমাগম হয়েছে বলে ট্রাম্প যে মন্তব্য করেছিলেন সেটি ছিল অন্য অনেক ইস্যুর মতো ভবিষ্যতের বিরাট সমস্যার একটি সতর্কবার্তা।

গার্টনার বলেন, ‘এ ধরনের মন্তব্যকারী একজন মিথ্যাবাদী ও আত্মপ্রশংসাকারীর চেয়ে খারাপ। এ ছাড়া তাঁর মস্তিষ্কবিকৃতি, বিভ্রম ও কর্তৃত্বপরায়ণ চিন্তাভাবনার প্রমাণ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিন থেকেই তিনি দিয়ে আসছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি মনে করেন, তাঁর অভিষেক অনুষ্ঠানে সবচেয়ে বড় জনসমাগম হয়েছিল, তবে সেটি বিভ্রম চিন্তা ভাবনার ফসল।’

অনুষ্ঠানের সভাপতি ইয়েলের মনোরোগ বিভাগের সহযোগী ক্লিনিক্যাল প্রফেসর ড. ব্যান্ডি লি বলেন, ‘আমি মনে করি জনগণও ট্রাম্পের এই মানসিক অবস্থা বুঝতে পারছে। এ নিয়ে এখন তারা ব্যাপকভাবে আলোচনাও করছে।’

নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মনোরোগ বিশেষজ্ঞ জেমস গিলিগান সম্মেলনে বলেন, হত্যাকারী, ধর্ষকসহ ‘সমাজের সবচেয়ে ভয়ংকরতম’ লোক নিয়ে তিনি কাজ করেছেন। তবে ট্রাম্পের এই মানসিক রোগের ভয়াবহতা নিয়ে তাঁর দ্বিমত নেই।’