সিলেটের কবিদের নিয়ে কাব্যজলসা

সিলেটের প্রবাসী কবিদের সঙ্গে অর্থনীতিবিদ খলীকুজ্জমানসহ অতিথিরা
সিলেটের প্রবাসী কবিদের সঙ্গে অর্থনীতিবিদ খলীকুজ্জমানসহ অতিথিরা

বিদেশে ক্রমশ বাড়ছে অভিবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাহিত্য-শিল্প-সংস্কৃতির চর্চাও। এরই প্রতিফলন লক্ষ্য করা গেল সদ্য সমাপ্ত জালালাবাদ বিশ্ব সিলেট সম্মেলনে। অন্যদের সঙ্গে জড়ো হয়েছিলেন বৃহত্তর সিলেটের কাব্যমোদী ও কবিতা পিপাসুরা। মূলত সিলেটের কবিদের কবিতা শুনতেই তাদের এই জড়ো হওয়া। তাঁদের পদচারণায় ১৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সরগরম হয়ে উঠেছিল নিউইয়র্ক কলেজের বরাক সেমিনার হল।
১৬ সেপ্টেম্বর বাইরে কলেজের বিশাল সবুজ ঘাসে আবৃত সম্মেলন চত্বরটি যখন নারী-পুরুষের আনন্দে-উল্লাসে মুখরিত তখন সেমিনার হলটি পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল বোদ্ধা শ্রোতা ও কবিদের উপস্থিতি ও অংশগ্রহণে। প্রকৃতিও তখন আশাতীতভাবেই অনুকূল, আটলান্টিক থেকে বইছিল মৃদু শীতল হাওয়া।
কবি তমিজ উদদীন লোদীর সমন্বয় ও সঞ্চালনায় কাব্য জলসা শুরু হয় সদ্য প্রয়াত সিলেটের দুই কৃতি মানুষ সাংবাদিক সালেহ চৌধুরী ও নিসর্গবিদ দ্বিজেন শর্মাকে স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানিয়ে। কাব্য সন্ধ্যা উৎসর্গও করা হয় তাঁদের দুজনকে।
প্রবাসের কবি হাবিব ফয়েজিকে দিয়ে শুরু হয় কবিতা পাঠের আসর। তিনি যখন কবিতা পড়তে আসেন ততক্ষণে হল ভরে গেছে কবি ও কাব্যমোদী দর্শক-শ্রোতায়। অতঃপর একে একে কবিতা আবৃতি করেন সৈয়দ আহমদ জুয়েদ, মাসুম আহমদ, ছফন দেওয়ান, সেলিনা আখতার, ফারহানা ইলিয়াস তুলি, ইশতিয়াক আহমদ রুপু, স্বপ্ন কুমার, মামুন জামিল, শামীম আহমদ, মিনহাজ আহমদ শাম্মু, আনোয়ারুল হক লাভলু, সোনিয়া কাদের, মোখলেসুর রহমান, সালমা বখত চৌধুরী, ছহুল আহমদ, সৈয়দ মামুনুর রশীদ, শামসাদ হুসাম, সাদিয়া চৌধুরী পরাগ, তাজুল ইমাম, শাহীন ইবনে দিলওয়ার, কাজী আতীক, ফকির ইলিয়াস ও তমিজ উদদীন লোদী।
কাব্য জলসায় উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ ও তাঁর পত্নী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. জাহেদা আহমদ। একরাশ আনন্দ আর পরিতৃপ্তি নিয়ে যখন আসরের সমাপ্তি ঘটে তখন বাইরে সন্ধ্যা নেমেছে চারপাশে আলোকমালায় উদ্ভাসিত হয়ে।