'ছেলেকেও নারীবাদী হিসেবে গড়ে তুলুন'

জাস্টিন ট্রুডো
জাস্টিন ট্রুডো

নারী ও পুরুষের মধ্যে অন্যায় ও অযৌক্তিক বৈষম্যের সংস্কৃতি পরিবর্তনে মেয়েশিশুর পাশাপাশি ছেলেশিশুকেও নারীবাদী হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

১১ অক্টোবর ছিল আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস। এ উপলক্ষে ট্রুডো আন্তর্জাতিক মাসিক ম্যাগাজিন মারি ক্লেয়ার-এ লেখা এক নিবন্ধে এই আহ্বান জানান। এতে তিনি লিখেছেন, ‘পুরুষ ও নারী সমান—এই বিশ্বাসটি নারীবাদ নয়। এটি হলো সেই জ্ঞান, যখন আমরা বুঝতে শিখি যে আমরা সবাই সমান হলে, আমরা সবাই তখন আরও বেশি স্বাধীন হই।’

কানাডার প্রধানমন্ত্রী নিজেকে বরাবরই নারীবাদী হিসেবে পরিচয় দেন। ২০১৫ সালে ক্ষমতায় বসেই তিনি জানিয়ে দেন, মন্ত্রিসভায় নারী-পুরুষের সমতা রাখবেন। অগ্রাধিকার দিতে চান লৈঙ্গিক সমতাকে।

বুধবার প্রকাশিত নিবন্ধে জাস্টিন ট্রুডো লেখেন, ‘আমি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নয়, বরং একজন অভিভাবক হিসেবে করি।’

ট্রুডো ও তাঁর স্ত্রী সোফির ঘরে দুই ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়ের কথা ভেবেই ট্রুডো নিবন্ধে লিখেছেন, ‘আমার মেধাবী, দরদি মেয়ে এমন একটি বিশ্বে বেড়ে উঠবে, যেখানে ব্যক্তিমানুষ হিসেবে তাঁর বক্তব্য কিছু মানুষ গুরুত্বের সঙ্গে নিতে চাইবে না। যারা ওকে দমাতে চাইবে, শুধু তার লৈঙ্গিক পরিচয়ের কারণে—বিষয়টি আমাকে ভাবায়।’ মেয়েকে নারীবাদী হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে স্ত্রী সোফির সঙ্গে কথোপকথনের প্রসঙ্গ টেনে কানাডার প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, সে সময় তাঁর স্ত্রীই তাঁকে তাগিদ দেন, ছেলেসন্তানকেও নারীবাদী হিসেবে গড়ে তোলা উচিত। প্রসঙ্গত, নারী যেখানে বৈষম্যের শিকার, পুরুষের অধস্তন, সেখানে নারীবাদ এ অবস্থার পরিবর্তন সাধনে পরিচালিত।

মেয়েশিশুর মতো ছেলেশিশুকেও নারীবাদী হিসেবে গড়ে তোলার পক্ষে ট্রুডোর ভাষ্য—লৈঙ্গিক বৈষম্যের সংস্কৃতি পরিবর্তনে ছেলেদের ভূমিকা ও দায়িত্ব রয়েছে।