ক্যানসার এত বেশি কেন জানতে গবেষণার সিদ্ধান্ত

নিউইয়র্ক শহরের স্ট্যাটেন আইল্যান্ডের বহু মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত। অঙ্গরাজ্যের আরও তিনটি অঞ্চলেও এ প্রবণতা দেখা গেছে। এর কারণ অনুসন্ধানে একটি গবেষণা প্রকল্প গ্রহণ করেছে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য কর্তৃপক্ষ।

অঙ্গরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ এ গবেষণা পরিচালনা করবে। এক বছর মেয়াদি গবেষণা প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ডলার।
নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের চারটি অঞ্চলে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যাধিক্য দেখা যায়। এর মধ্যে দুটিই নিউইয়র্ক শহরের। একটি স্ট্যাটেন আইল্যান্ড, আর অন্যটি লং আইল্যান্ড। বাকি দুটি হচ্ছে ওয়ারেন কাউন্টি ও ওয়েস্টার্ন নিউইয়র্ক। এসব অঞ্চলে ক্যানসার আক্রান্তের উচ্চহারের পেছনের কারণ অনুসন্ধানে সম্প্রতি গবেষণা প্রকল্পের ঘোষণা দেন নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো।

স্ট্যাটেন আইল্যান্ড সফরকালে এ গবেষণা প্রকল্পের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘ক্যানসার আক্রান্তের উচ্চহারের পেছনের কারণগুলো শনাক্ত করা গেলে, তা প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে। আমরা চিকিৎসার ক্ষেত্রে ভালো করছি। কিন্তু ক্যানসারের চিকিৎসার চেয়ে তা গোড়াতেই প্রতিরোধ করা বেশি জরুরি।’

নিউইয়র্ক ডেইলির দেওয়া তথ্যমতে, নিউইয়র্ক শহরের অন্য অঞ্চলগুলোর চেয়ে স্ট্যাটেন আইল্যান্ডের পুরুষদের মধ্যে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার ১৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেশি। আর নারীদের ক্ষেত্রে এ হার আরও বেশি। অন্য অঞ্চলের নারীদের চেয়ে স্ট্যাটেন আইল্যান্ডের নারীদের মধ্যে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার ১৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেশি। বিশেষত অন্ত্রের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার অন্য অঞ্চলগুলোর তুলনায় এখানে অনেক বেশি।

সিনেটর অ্যান্ড্রু লানজা এ বিষয়ে বলেন, নিউজার্সি থেকে আসা ধোঁয়া স্ট্যাটেন আইল্যান্ডের অধিবাসীদের মধ্যে ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি করছে বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমাদের হাতে এ ধারণার পক্ষে শক্ত কোনো প্রমাণ নেই। সবার আগে সুনির্দিষ্ট কারণ শনাক্ত করা জরুরি।

প্রসঙ্গত, নিউইয়র্কে ক্যানসারের ফলে মৃত্যুর হার কমলেও ধারাবাহিকভাবে ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রতি বছর গড়ে ১ লাখ ১০ হাজার মানুষের শরীরে ক্যানসার শনাক্ত হচ্ছে, যার মধ্যে মারা যাচ্ছে ৩৫ হাজার জন।