ট্রাম্প আর সি চিন পিং সমানে সমান?

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চীন সফর দেশটির প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে ক্ষমতা ও সম্ভ্রম প্রদর্শনের এক সুযোগ করে দিয়েছিল। মাত্র দুই সপ্তাহ আগেই চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সম্মেলনে সির ক্ষমতা আরও সুসংহত হয়েছে।

চীন সফরের আগে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সফর করেছেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র এই দুই দেশে তিনি মার্কিন সামরিক শক্তি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন, উভয় দেশের নেতাকে সমরাস্ত্র কেনার ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন এবং দুই দেশের নেতাদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় ভেসেছেন। কিন্তু চীন সফরটা অনেকাংশেই সমপর্যায়ের দুই নেতার সাক্ষাৎ হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে।

একসময় যে ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে ‘যুক্তরাষ্ট্রকে ধর্ষণের’ অভিযোগ তুলেছিলেন, সেই ট্রাম্পই দেশটির নেতা সি চিন পিংয়ের প্রশংসার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছেন।

বেইজিংয়ে অবতরণের পর ট্রাম্পকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দিয়েছেন সি। নিষিদ্ধ নগরে তাঁর সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে। গ্রেট হল অব পিপলে আয়োজন করা হয়েছে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের। স্পষ্টতই এসব আয়োজনে ট্রাম্প মুগ্ধ।

এশিয়া সফরে কোরিয়া ইস্যুতে বেশ মুখর ছিলেন ট্রাম্প। তবে এবার বেইজিংয়ের প্রতি তাঁর সুর ছিল অনেকখানিই নমনীয়। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইনের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে সি অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা রাখছেন। আর বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে সি চিন পিংয়ের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে তিনি চীনা প্রেসিডেন্টের প্রতি আরও কিছু করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই সমস্যা চীন সহজে ও দ্রুত সমাধান করতে পারবে।

তবে ট্রাম্পের চীন সফরের চেয়েও সে দেশে সির ক্ষমতা সুসংহতকরণের বিষয়টি এখনো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বেইজিংয়ে অবতরণমাত্র সাংবাদিকেরা ট্রাম্পকে সির বর্তমান অবস্থার ব্যাপারেই প্রশ্ন করেছিলেন। জবাবে নিজের ঢোল নিজে পেটান তিনি। বলেন, ‘বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারের সূচক ইতিহাসের যেকোনো সময়ের চেয়ে শীর্ষে, গত ১৭ বছরের মধ্যে বেকারত্বের হার সবচেয়ে কম, সেনাবাহিনী দ্রুতই পুনর্গঠিত হচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যে ইসলামিক স্টেট (আইএস) বস্তুত পরাজিত। সি এই বিষয়গুলোকে সমর্থন করেন এবং তিনি আমার বন্ধু।’