বাঁধনের খুনিদের খুঁজে বের করা হবে: পুলিশ

আমেরিকার ক্যানসাসের উচিটা শহরে নিহত বাংলাদেশি ছাত্র এম হাসান রহমান বাঁধনের খুনিদের খুঁজে বের করা হবে বলে জানিয়েছেন সেখানকার একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা। রোনেল হান্ট নামের ওই কর্মকর্তা বলেছেন, খুনি যে বা যারাই হোক শিগগিরই খুঁজে বের করা হবে।

বাঁধনের স্মরণে উচিটা স্টেট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে রোববার বিকেল চারটায় আয়োজিত শোক সভায় হান্ট এ কথা বলেন। মিড কন্টিনেন্ট বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ক্যানসাস এবং বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন যৌথ উদ্যোগে এই স্মরণসভার আয়োজন করে।

এই শোক সভায় বাঙালি কমিউনিটির লোকজন, উচিটা স্টেট শিক্ষার্থী এবং উচিটা পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শোক সভায় পুলিশ কর্মকর্তা রোনেল হান্ট বলেন, ‘আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। তদন্ত চলছে। আপনাদের আশ্বস্ত করছি, খুনি যে বা যারাই হোক খুঁজে বের করে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে।’

মিড কন্টিনেন্ট বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ক্যানসাসের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ এম করিম বলেন, ‘বাঁধনের জন্মের পর তাঁর মা সন্তানের সুন্দর অর্থপূর্ণ নাম রেখেছিলেন। বাঁধন ‘সুন্দর কাজের বন্ধন’ হিসেবে আমাদের হৃদয়ে বেঁচে থাকবে।’ প্রকৌশলী রুপন কান্তি দেব বলেন, উচিটা শহরের প্রতিটি মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে বাঁধন।

বাঁধনের বন্ধু শুভেচ্ছা চক্রবর্তী বলেন, ‘সে আমার খুব ক্লোজ বন্ধু। বাঁধন তাঁর স্বপ্নের খুব কাছাকাছি গিয়েছিল।’

বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনের নবনির্বাচিত সভাপতি তানিয়া আকতার বলেন, ‘একজন প্রতিশ্রুতিশীল ছাত্রের নির্মম মৃত্যু রহস্য উন্মোচন করে খুনিদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হোক।’ শোক সভায় এক মিনিট নীরবতা পালন ও মোমবাতি প্রজ্বালন করে বাঁধনকে স্মরণ করা হয়।

উচিটা শহরে গত শনিবার রাতে বাঁধনকে কে বা কারা গুলি করে হত্যা করে। পরদিন রোববার বেলা ১১টায় পুলিশ ৭৮০০ পেজন্ট লাইভ ওক স্ট্রিট অ্যাপার্টমেন্টের সামনে তাঁর লাশ গাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা তাঁকে গুলি করার পর গাড়ির ভেতরে ঢুকিয়ে ওই এলাকায় ফেলে আসে। বাঁধনের গ্রামের বাড়ি গাজীপুর চৌরাস্তা টেরিপাড়ায়।