ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে মার্কিন প্রশাসনেই বিভক্তি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকে বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় মার্কিন দূতাবাসের সামনে ট্রাম্পবিরোধী স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা l ছবি: এএফপি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকে বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় মার্কিন দূতাবাসের সামনে ট্রাম্পবিরোধী স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা l ছবি: এএফপি

জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করার সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করছে পুরো বিশ্ব। হোয়াইট হাউস ও ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মতভেদ রয়েছে। একাংশ চাচ্ছিল ট্রাম্প এই ঘোষণা না দিক। অন্যরা এই ঘোষণার জন্য ট্রাম্পকে প্রভাবিত করা চেষ্টা করেছে।

প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস, গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএয়ের পরিচালক মাইক পম্পে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী করার বিপক্ষে ছিলেন। তাঁরা চাচ্ছিলেন, বিদ্যমান অবস্থা বজায় থাকুক। বহু দশক ধরে চলে আসা মার্কিন নীতি অব্যাহত থাকুক। ব্যক্তিগতভাবে তাঁরা ট্রাম্পকে এই অনুরোধও করেছিলেন। কিন্তু তা শুনতে চাননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

তবে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত নিকি হ্যালি এবং ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফ্রিডম্যান জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী স্বীকৃতির পক্ষে ছিলেন।

গেল বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় ট্রাম্পের অন্যতম পরামর্শদাতা ছিলেন ডেভিড ফ্রিডম্যান। তিনি ইহুদি-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ফ্রিডম্যানকে ইসরায়েলে মার্কিন দূত করেন ট্রাম্প।

নিজ জামাতা জেরার্ড কুশনারকে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তিপ্রক্রিয়া-বিষয়ক উপদেষ্টা করেছেন কুশনার। তিনিও জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী স্বীকৃতির পক্ষে। কিন্তু মার্কিন দূতাবাস তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে সরানোর প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার পক্ষে। একই মত ট্রাম্পের বিশেষ দূত জ্যাসন গ্রিনব্ল্যাটের।

বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় ট্রাম্প যখন জেরুজালেম-সংক্রান্ত ঘোষণা দিচ্ছিলেন তখন তাঁর পাশে ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্স। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের পেছনে অন্যতম উদ্যোক্তা তাঁকে মনে করা হচ্ছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিলারসন উপস্থিত ছিলেন না ট্রাম্পের বক্তব্যের সময়।