ভিনদেশে সন্তানের প্রেম-বিয়ে বাবা-মায়ের দুশ্চিন্তা

বিয়ের পর আয়না দেখছেন বর চার্লস বেন্ডার ও কনে রুবি আলম বেন্ডার
বিয়ের পর আয়না দেখছেন বর চার্লস বেন্ডার ও কনে রুবি আলম বেন্ডার

ফোনে কথা হচ্ছিল আমার এক বন্ধুর সাথে। তাঁর ছেলেটি এ দেশে বেড়ে উঠেছে। সবে পড়াশোনা শেষ করেছে আইন বিষয়ে। চাকরিতে যুক্ত হয়েছে নতুন। ‘সেদিনের এতটুকুন শিশু দেখতে দেখতে বড় হয়ে গেল। দুদিন বাদে বিয়ে হবে কোনো এক রাজকন্যার সাথে। লাল টুকটুকে শাড়ি পরে বাড়িতে নতুন বউ আসবে, এমনটিই কল্পনা করি মনের অজান্তে। কিন্তু বিদেশে বেড়ে ওঠা এই প্রজন্মকে নিয়ে এমনটি আশা করতে নেই’— ফোনের অন্য প্রান্ত হতে আমার বন্ধুর ভাষ্য। সে বলে যাচ্ছিল, ‘ওঁরা এ দেশে বেড়ে উঠেছে। নিজস্ব পছন্দ-অপছন্দ থাকতে পারে। বাবা-মা হিসেবে নিজেদের ভাবনা চাপিয়ে দিলে হিতে বিপরীত হতে পারে। আমি আঁতকে উঠি। স্কুল-কলেজে আমাদের সন্তানদের সহপাঠী, বন্ধু হিসেবে যারা আছে, তাঁরা প্রায় সকলেই শ্বেতাঙ্গ, কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্প্যনিক কিংবা অন্য ভিন্ন কোনো জাতি।’ 

‘আমার সন্তান ভিনদেশি কাউকে জীবন সাথি হিসেবে বেছে নেবে এমনটি মেনে নিতে পারি না কোনোভাবেই। বরং যারপরনাই অবাক ও বিরক্ত হই।’— প্রচণ্ড রকমের রক্ষণশীল বন্ধুটি বলে। সে আমাকে থামিয়ে দিয়ে বলে, ‘তোমার ছেলেরা এখনো অনেক ছোট, ওঁরা বড় হতে হতে তোমার মানসিকতার পরিবর্তন হবে। এ পরিবর্তন সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছুই মেনে নেওয়ার, মানিয়ে নেওয়ার মানসিকতার পরিবর্তন। ওঁদের ভালো লাগার, ভালোবাসার ওপর আমাদের কারওরই হাত নেই। বরং ওঁদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে কিছু চাপিয়ে দেওয়াটা হবে ভুল।’
ফোন রেখে চুপটি করে বসে থাকি ক্ষণিক অজানা শঙ্কায়। বলে কি! ভাবা যায়, আমার ছেলেরা ভিনদেশি কন্যাকে বিয়ে করে ভিন্ন কালচারে তাঁদের পরবর্তী প্রজন্মকে গড়ে তুলবে? মাথার ওপরে সিলিং ফ্যান ঘুরছে। যেন আমার পুরো পৃথিবীটাই দুলছে। আমি যে আমার ভাষা, আমার ধর্ম, আমার সংস্কৃতির বাইরে কিছু ভাবতেই পারি না।
একদিন ছেলের স্কুলের কোনো এক অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফিরছি। গাড়িতে আমরা তিনটি মাত্র প্রাণী। আমরা— বাবা, মা আর ছেলে। যেহেতু ছেলেটি হাইস্কুলে পড়ছে, এখন তো আর সারাক্ষণ সাথে সাথে লেগে থাকা হয়ে ওঠে না। কার সাথে মিশছে, কারা তার বন্ধু, এসব অনেকটাই অজানা থেকে যাচ্ছে। তাই সুযোগ বুঝে ছেলেকে বললাম, ‘বাবা, তোমার বন্ধুরা মানুষ হিসেবে কেমন?’ সে বলল, ‘খুবই ভালো, এবং তাঁরা সকলেই আমার ভালো বন্ধুও বটে ।’ আমি আবারও বলি, ‘ওঁরা সারা জীবন তোমার ভালো বন্ধু হয়েই থাকুক। কিন্তু তুমি যখন জীবনসঙ্গী হিসেবে কাউকে ভাববে, দুটি বিষয় মনে রাখবে। আমরা বাংলাদেশি এবং আমরা মুসলমান। তোমার ভাষা আর তোমার ধর্মের বাইরের কাউকে নিয়ে একটা গোটা জীবন কাটিয়ে দেওয়াটা সহজ এবং সঠিক হবে না।’ সে চুপচাপ কথাগুলো শুনছিল। এবার ওঁর বাবাও সায় দিয়ে বলে, ‘আব্বু, তুমি বড় হচ্ছ, বিধায় বিষয়টি তোমায় জানিয়ে রাখছি। আশা করি তুমি আমাদের কষ্ট দেবে না।’ সে মাথা নেড়ে আমাদের সাথে সহমত পোষণ করে যদিও, কিন্তু আমরা জানি না, বড় হতে হতে আমাদের এই পারিবারিক, সাংস্কৃতিক আর ধর্মীয় মূল্যবোধের আবেগী কথাগুলো কতটুকু মনে রাখবে সে।
গত বসন্তে জরুরি কাজে ম্যানহাটন যাচ্ছিলাম আমি আর আমার প্রতিবেশী এক দাদা। সাত নম্বর ট্রেনে বসে আমরা গল্প করছিলাম নানান বিষয়ে। পথিমধ্যে কুইন্স বোরো প্লাজা স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠেন এক রমণী। সাথে ৪/৫ বছরের এক কন্যা। রমণী দেখতে বাঙালি হলেও শিশুটি কৃষ্ণাঙ্গ। দাদা এগিয়ে গেলেন, কথা বললেন। বহু বছর আগে তরুণ বয়সে দাদা আর রমণীর বাবা একই বাড়িতে রুমমেট হিসেবে ছিলেন অনেকগুলো দিন। অর্থাৎ নারীটি দাদার বন্ধু কন্যা। দীর্ঘদিন বাদে দেখা হওয়ায় তাঁরা নিজেদের, পরিবারের খোঁজ খবর নিচ্ছিলেন। রমণীর কণ্ঠে ক্ষোভ, অভিমান আর হতাশা। সে বলে যাচ্ছিল, ‘আংকেল, আমি না ছোট ছিলাম, না বুঝে ভুল করেছি, কিন্তু আমার বাবা মা কি পারতেন না আমাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে সঠিক পথে ফেরাতে? অভিভাবক হিসেবে তাঁরা যা করেছে, তা কি সঠিক ছিল?’ এমনতর প্রশ্নের মাঝে জল টলমল চোখে শিশুটির হাত ধরে সে নেমে যায় নির্দিষ্ট স্টেশনে। গল্পের বাকি অংশ শুনলাম দাদার কাছে।
সে এক হৃদয়বিদারক কাহিনি।
রমণীটি যখন টিনএজ, তখন স্কুলের এক কৃষ্ণাঙ্গ সহপাঠীর প্রেমে পড়ে। পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়, রাত করে বাড়ি ফিরতে শুরু করে। ধার্মিক বাবা-মা বিষয়টি টের পায়। কোনোভাবেই মেনে নিতে পারে না। মেয়েটির সাথে রূঢ় আচরণ করে, কথা বলা বন্ধ করে দেয়, মারধর করে। মেয়েটি ৯১১ কল করে পুলিশে অভিযোগ করে। নিজ কন্যাকে মারধরের অপরাধে পুলিশ বাবাকে গ্রেপ্তার করে। মামলা হয়। বর্ণনাতীত পেরেশানি শেষে বিধ্বস্ত, বিপর্যস্ত বাবা বাড়িঘর বিক্রি করে বিদেশের সাজানো সংসার গুটিয়ে দুঃখে, কষ্টে, ক্ষোভে, অপমানে দেশে ফিরে যায়। সাথে স্ত্রী আর একমাত্র পুত্র। দেশে গিয়ে অল্প বয়সী ছেলেটিকে মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দেয়। সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাসের সিদ্ধান্ত নেয়। এদিকে এ দেশে থেকে যায় মেয়েটি। বছর না ঘুরতেই লিভ টুগেদারের পাঠ চুকিয়ে কৃষ্ণাঙ্গ বয়ফ্রেন্ড মেয়েটিকে ছেড়ে যায়। সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুকন্যা নিয়ে মেয়েটি অথই সাগরে হাবুডুবু খায়। কিন্তু ডুবে যেতে যেতে মানুষ একচিলতে খড়কুটো ধরেও ভেসে থাকতে চায়, বেঁচে থাকতে চায়। মেয়েটিও তার ব্যতিক্রম নয়। 

সে আবার স্বপ্ন দেখে। এবারও আরেকজন কৃষ্ণাঙ্গের হাত ধরে ভবিষ্যৎ স্বপ্নের দিকে এগিয়ে যায় নতুন করে ঘর বাঁধবে বলে। কিন্তু হায়, আরেকটি কন্যাসন্তান জন্মানোর মাসখানেক বাদে নতুন বয়ফ্রেন্ডও মেয়েটিকে ছেড়ে যায়। এদিকে আত্মীয়, চেনা মানুষজনের মাধ্যমে জানতে পারে দেশে তাঁর ছোট ভাইটি অর্থাৎ অতিরিক্ত ধর্মপ্রবণ বাবার একমাত্র মাদ্রাসা পড়ুয়া ছেলেটি জঙ্গি সংগঠনের সাথে জড়িয়ে যায়, এবং গুলিতে আহত হয়ে মৃত্যুবরণ করে। সত্যিকারের এই গল্পটি শুনতে শুনতে আমরা গ্র্যান্ড সেন্ট্রাল স্টেশনে এসে নামি। ভেতরটা কেমন যেন ভারাক্রান্ত হয়ে থাকে অচেনা একটি পরিবারের জন্য। দেশ ছেড়ে এই বিদেশ বিভুঁইয়ে আসবার সময় আমাদের দু’চোখ ভরা স্বপ্ন থাকে, বুক ভরা আশা থাকে, সুন্দর একটি জীবনের হাতছানি থাকে। আমাদের সব স্বপ্ন আর আশাই কি পূরণ হয়! হাতছানি দেওয়া জীবনটি কি সব সময়ই সুন্দর পরিসমাপ্তির দিয়ে এগোয়?
এবার বলি কাছ থেকে দেখা একটি পরিবারের কথা।
ছেলেকে নিয়ে মসজিদে যাওয়ার পথে একজন মধ্যবয়সী নারীকে দেখতাম বাড়ির সামনে বাগান পরিচর্যা করেন। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে ফায়ার হাইড্রেন্ট এর ঢাকনা খুলে সেখান থেকে প্রবল বেগে নির্গত পানি নিয়ে খেলা করছিল, একে অপরকে ভিজিয়ে দিচ্ছিল কিছু স্প্যানিশ ছেলে মেয়ে। একজন চেঁচিয়ে রূঢ় ভাষায় বিবাদে জড়িয়ে পড়েছে মধ্যবয়সী নারীর সাথে। একটু মনোযোগ দিতেই বুঝলাম, মেয়েটি সেই নারীর কন্যা। আমি ভীষণ অবাক হলাম। কেননা, মেয়েটির সংক্ষিপ্ত পোশাক, আচরণ, এবং মায়ের সাথে দুর্ব্যবহার, কোনোভাবেই বাঙালি সংস্কৃতির সাথে মেলাতে পারছিলাম না। এটি বছর দুই আগের কথা। পরের বছর ও পথ দিয়ে ফিরবার সময় সেই নারীকে তাঁর বাড়ির সামনের মাটি খুঁড়তে, পরিষ্কার করতে দেখে কুশল বিনিময় করি। কন্যাদের কথা জিজ্ঞেস করি। বললেন, ওরা এখানে থাকে না। বড় মেয়েটির বয়স আঠারো। সে স্প্যানিশ বয়ফ্রেন্ডের হাত ধরে চলে গেছে এই বলে যে, ‘এ বাড়িতে তাঁর কোনো প্রাইভেসি নেই।’
ছোট মেয়েটি তেরো বছর। সে-ও কখনো বাড়ি ফিরে, কখনো ফিরে না! আমি আঁতকে উঠি! এর আগে দুবার এ বাড়িতে এসেছি, গল্প করেছি। বৈকালিক চা পান করেছি। নামাজের ওয়াক্তে মেয়েদের বাবাকে বাড়ির পাশের মসজিদে যেতে দেখেছি। পর্দানশিন মা, পরহেজগার বাবা। এমন পরিবারে এমন বেপরোয়া কন্যা! বললেন, মেয়েদের সঠিক পথে আনবার জন্য তিনি তিল তিল করে গড়া ক্যারিয়ার, চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এনেছেন। কিন্তু হায়, এ যে বড় দেরি হয়ে গিয়েছে। সন্তানদের বেড়ে ওঠার সময়ে তাঁদের পাশে না থেকে বাবা-মা ডলারের পিছু ছুটেছেন দিনরাত। এখন তাঁরা বিপথে যাওয়ার পর টনক নড়েছে। তাই চাকরি ছেড়েছেন। কিন্তু যে সময় একবার চলে যায়, তা তো আর ফিরে আসবার নয়! কন্যাদের সঠিকভাবে মানুষ করে উপযুক্ত পাত্রের হাতে তুলে দেওয়ার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায় পরিবারটির।
প্রবাসে বেড়ে ওঠা আমাদের এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের বিয়ে, পরিবার, দেশীয় ঐতিহ্য নিয়ে অনেক নিরাশার মাঝে আবার বেশ কিছু আশার গল্পও আছে। যা শুনলে ভালো লাগায় ছেয়ে থাকে মন। তখন মনে হয়, সময় এবং পরিবেশ বিবেচনায় আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন আনাও জরুরি। নিউইয়র্কের বাইরে ফ্লোরিডায় বসবাস করছেন আমার এক কাজিন। তাঁর সন্তানেরা এ দেশে জন্মেছে। বিদেশ বিভুঁইয়ের বাড়িতে বেড়ে উঠেছে দেশীয় সংস্কৃতিময় পরিবেশে। কন্যার বিয়ের দাওয়াত দিতে ফোন করেছিলেন সেই কাজিন। ফোনের অন্যপ্রান্তে কি স্বতঃস্ফূর্ত আর উচ্ছ্বসিত কণ্ঠস্বর। জানালেন, পাত্র শ্বেতাঙ্গ পরিবারের। উচ্চ শিক্ষিত বাবা-মায়ের উচ্চ শিক্ষিত, ভদ্র, মার্জিত সন্তান। পরিবারটি তাঁদের সকল সদস্যের মতামতকে সম্মান করে, শ্রদ্ধা করে। সত্যিকারের পারিবারিক আবহে জীবনযাপন করে। ভিনদেশি পরিবার মানেই অনেক ক্ষেত্রে আমরা ভাবি, ব্রোকেন ফ্যামিলি কিংবা পারিবারিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী নয়, এমন। কিন্তু না, এটা তো অস্বীকার করার উপায় নেই যে, সবক্ষেত্রে, সবখানে ভালো এবং মন্দ পাশাপাশি অবস্থান করে।

মা রুমা দিলরুবা আলম (বাঁমে), বাবা শাহ আলম দুলাল ও স্বামী চার্লসের (বাঁ থেকে দ্বিতীয়) সঙ্গে রুবি আলম
মা রুমা দিলরুবা আলম (বাঁমে), বাবা শাহ আলম দুলাল ও স্বামী চার্লসের (বাঁ থেকে দ্বিতীয়) সঙ্গে রুবি আলম

আমার কাজিনের মেয়েটির গায়েহলুদ হলো দেশীয় স্টাইলে। শ্বেতাঙ্গ পাত্র, এবং পাত্রপক্ষের সকল পুরুষেরা পাঞ্জাবি আর নারীরা শাড়ি পরে হলুদের আসরে এল। দু’পক্ষের সম্মতিতে জমজমাট এক আয়োজন ছিল সেটি। বিয়ের বেশ ক’বছর পেরিয়ে গিয়েছে, সে দম্পতি সন্তানাদিসহ সুখে শান্তিতে বসবাস করছে। মাঝে মধ্যে ফেসবুকে আমার কাজিন এবং তাঁর বেয়াই, বেয়াইন সহ পারিবারিক আনন্দমুখর সময়ের ছবি দেখি। কি অদ্ভুত সুন্দরভাবেই না একটি বাংলাদেশি আর একটি আমেরিকান শ্বেতাঙ্গ পরিবার পারিবারিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সুখী একটি জীবন যাপন করছে, সহাবস্থান করছে।
এ বছর গ্রীষ্মে নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ফেয়ার মেরিনায় আমাদের সাহিত্য জগতের এক বড়ভাইয়ের কন্যার বিয়েতে উপস্থিত থাকার সুযোগ হয়েছিল অনেকেরই। শিক্ষিত বাবা-মায়ের শিক্ষিত সন্তান সেই পাত্র। বাবা-মা আর তাঁদের তিন ছেলে নিয়ে যারপরনাই অমায়িক পাত্রের পরিবার। ভিনদেশি পরিবার বলে আমাদের যে শঙ্কা, তা কেটে গিয়েছে অনেকাংশেই পরিবারটিকে দেখে। সে বিয়েতে আমরা সকলেই বেশ আনন্দে মেতেছিলাম। দু’দেশের মিলিত আবহে নদীতীরে চমৎকার একটি অনুষ্ঠান ছিল সেটি। সেই দম্পতি ভালো আছে, সুখে আছে।
এই বিদেশ বিভুঁইয়ে বেড়ে ওঠা আমাদের সন্তানেরা শুধু বেড়ে ওঠার সময়টুকুতে যদি বাবা-মায়ের কাছ হতে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ আর সঠিক শিক্ষাটুকু পায় পরিবার সম্পর্কে, ভালো মানুষ হয়ে ওঠা সম্পর্কে, তবে জীবনের যে কোনো পর্যায়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে, জীবন সঙ্গী নির্বাচন করতে তাঁরা ভুল করবে না বলে আমার বিশ্বাস। তাঁদের ভুল সময়ের ভুলগুলো ঠান্ডা মাথায় শুধরে দিতে হবে, অহেতুক রাগারাগি না করে। সন্তানদের সুন্দর সুখী যাপিত জীবন দেখলে, যে স্বপ্ন নিয়ে, আশা নিয়ে একটি নিরাপদ সুন্দর জীবন গড়ার উদ্দেশ্যে একদিন এক ভূখণ্ড ছেড়ে অন্য ভূখণ্ডে আবাস গেড়েছি, সে স্বপ্ন তবেই না পূর্ণতা পাবে।