'ট্রাম্পের সঙ্গে আর নয়'

জন ফিলে। ছবি: রয়টার্স
জন ফিলে। ছবি: রয়টার্স

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে চাকরি করতে অপারগতার কথা জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন পানামায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জন ফিলি। ধারণা করা হচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাইতি, এল সালভাদর ও আফ্রিকার দেশগুলোকে ‘শিটহোল’ বলে বিতর্কিত মন্তব্য করার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি পদত্যাগ করেছেন।

আজ শনিবার সকালে বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, মেরিন হেলিকপ্টারের সাবেক পাইলট জন ফিলির পদত্যাগ আগামী ৯ মার্চ থেকে কার্যকর হবে। তবে তিনিই এই সরকারের প্রথম পদত্যাগী রাষ্ট্রদূত নন; এর আগে গত ডিসেম্বরে সোমালিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এলিজাবেথ শ্যাকেলফোর্ড ‘মানবাধিকারকে অগ্রাধিকার দেওয়া যুক্তরাষ্ট্র তার পররাষ্ট্রনীতি থেকে সরে গেছে’ বলে উল্লেখ করে পদত্যাগ করেন।

জন ফিলি জানিয়েছেন, ‘সম্মান রক্ষায়’ তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত বৃহস্পতিবার ওভাল অফিসে অভিবাসন বিষয়ে সিনেটরদের সঙ্গে এক বৈঠকে হাইতি, এল সালভাদর ও আফ্রিকার দেশগুলোকে ‘শিটহোল’ (অত্যন্ত নোংরা স্থান) বলে মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর এ মন্তব্যের বিষয়ে জানাজানি হলে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে।

তবে পানামা রাষ্ট্রদূতের পদত্যাগ ওই ঘটনার সরাসরি প্রতিক্রিয়া না হলেও আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেট স্টিভ গোল্ডস্টেন বলছেন ভিন্ন কথা। তাঁর মতে, প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্যের কারণেই জন ফিলি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, একজন পেশাদার কূটনীতিক হিসেবে জন ফিলি তাঁর কর্মজীবনের বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছেন লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।

পদত্যাগপত্রে জন ফিলি লিখেছেন, ‘একজন কূটনীতিক হিসেবে আমি শপথ নিয়েছিলাম যে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে আমি প্রেসিডেন্ট ও তাঁর প্রশাসনের জন্য বিশ্বস্তভাবে কাজ করব। যদিও আমি কিছু নীতির বিষয়ে একমত ছিলাম না। তবে আমার ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে আমি যা বিশ্বাস করি, তা এখানে করতে পারব না। সে ক্ষেত্রে সম্মান রক্ষা করতে চাইলে আমাকে পদত্যাগ করতে হয়। সেই সময় চলে এসেছে।’