ট্রাম্পের মাথা পরীক্ষায় আগ্রহ

ডোনাল্ড ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প

এই অবস্থায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত বলে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ও মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের মত প্রকাশের বিষয়টি জানা গেল। এ জন্য তাঁরা সম্মিলিতভাবে হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক জ্যাকসনকে গত বৃহস্পতিবার জরুরি একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা আবশ্যক। কারণ প্রেসিডেন্টের শারীরিক ও মানসিক সুস্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করে দেশের নিরাপত্তা।

যুক্তরাষ্ট্রের বিগত পাঁচ প্রেসিডেন্টের শারীরিক পরীক্ষার সময় তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি খুব কম করেই উল্লিখিত হয়েছে। কিন্তু হোয়াইট হাউসের চিকিৎসকের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, শারীরিক পরীক্ষার সময় মানসিক পরীক্ষা করানোটাও স্বাভাবিক, বিশেষ করে যাঁদের বয়স ৬৬ বা তার বেশি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বয়স ৭১ বছর।

মার্কিন সরকারের স্বাস্থ্যগত বিমা কর্মসূচি মেডিকেয়ারের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এই (ট্রাম্পের) বয়সী রোগীদের বোধশক্তি ও স্নায়বীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো উচিত। চিঠিতে আরও বলা হয়, ট্রাম্পের মানসিক পরীক্ষা ছাড়া আমেরিকার জনগণের পক্ষে তাঁর সুস্থতা বোঝা সম্ভব নয়। মার্কিন নাগরিকেরা যেকোনো প্রেসিডেন্টের এ বিষয়টি জানার অধিকার রাখে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এ-ও বলেছেন, ট্রাম্পের স্মৃতিভ্রম হয়ে থাকতে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু এ ধরনের উদ্বেগ বা আশঙ্কা কেন হয়েছে সে সম্পর্কে চিঠিতে বিস্তারিত কিছুই বলা হয়নি।

প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউস প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন উড়িয়ে দিয়েছে। বলেছে, এটি ‘হাস্যকর ও মানহানিকর’।

সম্প্রতি লেখক সাংবাদিক মাইকেল উলফের ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি: ইনসাইড দ্য ট্রাম্পস হোয়াইট হাউস প্রকাশিত হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন আবারও নতুন করে সামনে এসেছে। বইতে মাইকেল উলফ লিখেছেন, ট্রাম্প একই কথা বারবার বলেন, কী বলেছেন তা দ্রুত ভুলে যান। যার প্রতিক্রিয়ায় টুইটে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি নিজেকে কেবল বুদ্ধিমানই নয়, স্থিতিশীল ও প্রতিভাবান বলে মনে করি।’

যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সংগঠন ইউএস প্রিভেনটিভ সার্ভিসেস টাস্কফোর্স চিকিৎসকদের পরামর্শ দিয়েছে ট্রাম্পের স্মৃতিশক্তি বা মনোভাব পরিবর্তনের সমস্যাসহ বোধশক্তির সমস্যার কোনো উপসর্গ রয়েছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করার।

উল্লেখ্য, যে চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা হোয়াইট হাউসের চিকিৎসককে চিঠি লিখেছেন, তাঁদের মধ্যে অন্তত ১৫ জন নির্বাচনের সময় ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে তহবিল জুগিয়েছিলেন এবং অন্তত ২ জন রিপাবলিকানদের সমর্থনে অর্থ দেন।