অনুদান কমাল যুক্তরাষ্ট্র

গাজার আল-শাতি শরণার্থী শিবিরের নিজ বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে এক ফিলিস্তিনি শিশু। গতকাল তোলা ছবি l এএফপি
গাজার আল-শাতি শরণার্থী শিবিরের নিজ বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে এক ফিলিস্তিনি শিশু। গতকাল তোলা ছবি l এএফপি

দুই সপ্তাহ আগে ফিলিস্তিনিদের অর্থ বরাদ্দ কমানোর হুমকি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে সত্যি সত্যি ঘোষণা এল, যেই জাতিসংঘ সংস্থা ফিলিস্তিনে সহায়তা দিয়ে থাকে, সেটির অর্থ অনুদান অর্ধেকে নামিয়ে আনা হবে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, ইউএন রিলিফ অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার এজেন্সিকে (ইউএনআরডব্লিউএ) ২০১৮ সালে তারা ছয় কোটি মার্কিন ডলার দেবে। তবে এখনই আরও ছয় কোটি ডলার তারা দেবে না।

পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা, জর্ডান, সিরিয়া ও লেবাননে বসবাসকারী ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের শিক্ষা, চিকিৎসা ও মানবিক সহায়তার জন্য ২০১৮ সালে ইউএসআরডব্লিউএকে ১২ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার অনুদান দেওয়ার কথা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের।

প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের কর্মকর্তা (পিএলও) ওয়াসেল আবু ইউসুফ এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের অধিকার অস্বীকারে এটি যুক্তরাষ্ট্রের ইচ্ছাকৃত পদক্ষেপ।

পবিত্র ভূমি জেরুজালেমকে গত ৬ ডিসেম্বর ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনিদের জন্য অর্থ বরাদ্দে যুক্তরাষ্ট্রের অনুদান কমিয়ে আনার সিদ্ধান্তের বিষয়ে অবগত নই। কিন্তু এর সম্ভাব্যতা নিয়ে “অত্যন্ত উদ্বিগ্ন”।’ এদিকে আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, ইউএনআরডব্লিউএ তহবিলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বরাদ্দ অর্ধেকের বেশি কমিয়ে আনার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে একাধিক আন্তর্জাতিক এনজিও।

আইএএনএসের খবরে বলা হয়, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা ওই জাতিসংঘ সংস্থা গতকাল বুধবার জানিয়েছে, তারা এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তহবিল জোগানোর চেষ্টা শুরু করেছে।

ইউএনআরডব্লিউএর মুখপাত্র সামি এম শাশা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে ৫ লাখ ২৫ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী এবং লাখ লাখ ফিলিস্তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

এই মুখপাত্র আরও বলেন, ‘আমাদের এমনিতেই প্রচুর অর্থ ঘাটতি রয়েছে। শরণার্থীদের সেবা ও সুরক্ষার জন্য আমরা এখন আন্তর্জাতিক সব অনুদানদাতার সঙ্গে যোগাযোগ করছি।’