নিউইয়র্ক নগরে ঘুরছে জাল ডলার!

বিভিন্ন রেস্তোরাঁ, দোকানসহ সবখানে ছড়িয়ে পড়ছে জাল নোট। বলা হচ্ছে নিউইয়র্ক নগরের কথা। সবচেয়ে বেশি জাল নোট ধরা পড়ছে ২০ ডলারের। রয়েছে ৫০ ও ১০০ ডলারের নোটও। বিষয়টিকে শুরুতে অতটা গুরুত্ব না দিলেও এখন আর অগ্রাহ্য করার সুযোগ নেই। কারণ এখন মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে গেছে এই জাল নোট। খোদ নিউইয়র্ক পুলিশ এ বিষয়ে সতর্ক করেছে।
নিউইয়র্ক পুলিশের বরাত দিয়ে সিবিএস নিউজ জানায়, পুরো শহরের বিভিন্ন দোকানের ক্যাশবাক্সে জায়গা করে নিয়েছে জাল নোট। বিশেষত আপার ইস্ট সাইডে এই জাল নোটের দৌরাত্ম্য সবচেয়ে বেশি। এ ধরনের কোনো জাল নোট ধরা পড়লেই তা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।
নিউইয়র্ক পুলিশের কর্মকর্তা রায়ান ও’নেইল বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি যেটা পাওয়া যাচ্ছে, তা হলো ২০ ডলারের জাল নোট। আপার ইস্ট সাইডেই এ ধরনের জাল নোট বেশি পাওয়া যাচ্ছে। গত দুই সপ্তাহে ওই এলাকায় ২০ ডলারের পাশাপাশি আরও বেশ কিছু জাল নোট পাওয়া গেছে। বার, রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে এ ধরনের অভিযোগ আসছে।’
আপার ইস্ট সাইডে বনডুরান্ট ও জ্যা অ্যান্ড ফ্যানি নামের দুটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালান চেইটি প্রাংকা। তিনি জানান, দুটি প্রতিষ্ঠানেই তাঁর কর্মীরা ভালোভাবে পরীক্ষা করেই নোট গ্রহণ করছেন গ্রাহকদের কাছ থেকে। কিন্তু তারপরও কিছু জাল নোট ঢুকে পড়ছে। আগে ছোট নোটের জাল ডলার পাওয়া যেত। ইদানীং ৫০ ও ১০০ ডলারের জাল নোটই বেশি ধরা পড়ছে। কিছুদিন আগে এক ব্যক্তি তাঁর দুই প্রতিষ্ঠানেই একটি ২০ ডলারের জাল নোট চালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আগে এতে ধোঁকা খেলেও এখন তাঁর কর্মীরা এটি ধরে ফেলতে পারছেন।
নিউইয়র্ক নগরের বিভিন্ন এলাকার কিছু দোকানের ক্যাশ কাউন্টারের সামনে এখন জাল নোট আটকাতে ডলার চেনার উপায় জানিয়ে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে। এমনকি পাঁচ ও এক ডলারের জাল নোটও ধরা পড়ছে। আপার ইস্ট সাইডের এক ব্যবসায়ী জানান, কিছু লোক জাল নোট ব্যবহার করে সস্তা পণ্য ক্রয় করেন। পরে ভাঙতি আসল নোট নিয়ে তাঁরা চলে যান। বিষয়টি বড় ধরনের চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিষয়টি এতটাই গড়িয়েছে যে মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের পক্ষ থেকে জাল নোট চেনার উপায় বাতলে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, জাল নোট চিনতে হলে প্রথমেই এর আকার নিরীক্ষণ করতে হবে। পরে এর টেক্সচার দেখতে হবে আসল নোটের সঙ্গে মিলিয়ে। দুটি এক রকম হবে না। আর সব শেষে আলোর বিপরীতে ধরে ডলারে থাকা উলম্ব স্ট্রাইপ ও হলোগ্রাফটি আছে কি না, তা পরীক্ষা করতে হবে। এ ছাড়া ছবির ডান পাশের ওয়াটারমার্কটিও দেখতে হবে পরীক্ষা করে। এই সবকিছুর অস্তিত্ব জাল নোটে একসঙ্গে পাওয়া যাবে না।