মুলারকে সরাতে চেয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট মুলারকে চাকরিচ্যুত করতে চেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : এএফপি
বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট মুলারকে চাকরিচ্যুত করতে চেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : এএফপি

বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট মুলারকে চাকরিচ্যুত করতে চেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু হোয়াইট হাউসের এক পরামর্শক বেঁকে বসায় তিনি সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন বলে খবর বেরিয়েছে। তবে এই অভিযোগকে ‘ভুয়া খবর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প।

২০১৬ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ তদন্ত করছেন মুলার। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বারবার এই তদন্তের সমালোচনা করেছেন। গত বৃহস্পতিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, গত বছরের জুন মাসে মুলারকে চাকরিচ্যুত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু হোয়াইট হাউসের পরামর্শক ডন ম্যাকগান এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। শুধু তা-ই নয়, চাকরি ছাড়ারও হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। এরপর সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটেন ট্রাম্প।

অপ্রকাশিত কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস। এতে দাবি করা হয়, ডন ম্যাকগান ওই সময় হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, মুলারকে চাকরিচ্যুত করলে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বের ওপর তার প্রভাব হবে ‘বিপর্যয়কর’।

একই দিন ওয়াশিংটন পোস্টও অপ্রকাশিত সূত্রের বরাত দিয়ে একই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতেও বলা হয়, হোয়াইট হাউসের এক পরামর্শকের চাকরি ছাড়ার হুমকির মুখে তিনি মুলারকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।

এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ট্রাম্পের আইনজীবী টাই কব। তবে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে গতকাল শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভুয়া খবর, পুরোপুরি ভুয়া খবর।’

তবে নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মুলারের বিরুদ্ধে তিনটি স্বার্থসংশ্লিষ্ট বাদানুবাদের অভিযোগ তুলেছিলেন ট্রাম্প। এর মধ্যে অন্যতম হলো, ফি নিয়ে বনাবনি না হওয়ায় ট্রাম্পের একটি গলফ কোর্স থেকে নিজের সদস্যপদ বাতিল করেছিলেন মুলার। এ ছাড়া ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারকে প্রতিনিধিত্বকারী একটি আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানে অতীতে কাজ করেছেন মুলার। ট্রাম্পের তৃতীয় অভিযোগ হলো, বিশেষ কৌঁসুলির দায়িত্ব নেওয়ার আগে মুলার যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (এফবিআই) পরিচালক পদে ফেরার জন্য সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন।

মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের গোয়েন্দাবিষয়ক সিলেক্ট কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ডেমোক্র্যাট সিনেটর মার্ক ওয়ার্নার গত বৃহস্পতিবার বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, আবারও বলছি, বিশেষ কৌঁসুলিকে চাকরিচ্যুত করার বিষয়টি চূড়ান্ত সীমারেখা, যা প্রেসিডেন্ট অতিক্রম করতে পারেন না।’