যুক্তরাষ্ট্র সরকার ফের অচলের পথে?

মাত্র তিন সপ্তাহ আগে বাজেট ও অভিবাসন প্রশ্নে মতৈক্য না হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকার তিন দিনের জন্য অচল হয়ে পড়ে। সে সময় রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক পার্টি তড়িঘড়ি করে মোট ১৯ দিনের জন্য ফেডারেল বাজেট বরাদ্দে সম্মত হয়। ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেশের দুই প্রধান দলের মধ্যে মতৈক্য না হলে ফেডারেল সরকারের অধিকাংশ কাজকর্ম আবার অচলাবস্থার সম্মুখীন হতে পারে। বৃহস্পতিবারের মধ্যে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্য দুই দলের নেতারাই আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছেন, যদিও এখন পর্যন্ত কোনো মতৈক্য নেই।

দুই দলের মতানৈক্যের কেন্দ্রে ‘ডাকা’ কর্মসূচির অন্তর্গত প্রায় ১৮ লাখ বৈধ কাগজপত্রবিহীন তরুণ-তরুণীর বৈধতার প্রশ্ন। ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি মোট ১৮ লাখ ‘ডাকা’ সদস্যের বৈধতা দিতে প্রস্তুত, কিন্তু তার পরিবর্তে তাঁকে মেক্সিকোর সঙ্গে দেয়াল নির্মাণের জন্য ২৫ বিলিয়ন ডলার দিতে হবে এবং দেশের অভিবাসন ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে। দেয়াল নির্মাণ ও সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য অর্থ বরাদ্দে সম্মত হলেও ডেমোক্র্যাটরা অভিবাসন প্রশ্নে ট্রাম্পের অন্যান্য দাবি মেনে নিতে প্রস্তুত নন।

ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর দাবি পূরণ না হলে যদি আবারও অচলাবস্থা ঘটে, তাতে তিনি আপত্তি করবেন না। গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প মন্তব্য করেন, ‘শাটডাউন’ হলে তিনি খুশিই হবেন। ‘ডেমোক্র্যাটরা যদি দেশের নিরাপত্তা না চায়, আর সে জন্য সরকার অচল করে দেয়, ঠিক আছে, তাহলে তা-ই হোক।’

কিন্তু দুই দলের অধিকাংশ সদস্যই অচলাবস্থার বিপক্ষে। একটি সম্ভাব্য সমাধানের জন্য উভয় দলের সদস্যরাই দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে একাধিক প্রস্তাব নিয়ে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। সিনেটে রিপাবলিকান নেতা মিচম্যাককনেল ও ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার বাজেট বরাদ্দ প্রশ্নে একটি সমঝোতা প্রস্তাবে অনেক দূর এগিয়েছেন বলে জানা গেছে। এই প্রস্তাব অনুসারে অভ্যন্তরীণ ও সামরিক খাতে পরবর্তী দুই বছরের জন্য বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করা হবে। মিচম্যাককনেল বলেছেন, শুমারের সঙ্গে একটি সমঝোতার ব্যাপারে তিনি অত্যন্ত আশাবাদী।

এদিকে কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ শুধু রিপাবলিকান সদস্যদের সমর্থনে ২৩ মার্চ পর্যন্ত বাজেট বরাদ্দে সম্মত হয়ে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। এই প্রস্তাব অনুসারে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সামরিক খাতে ব্যয় বরাদ্দ অনুমোদিত হয়েছে, কিন্তু অভ্যন্তরীণ খাতের জন্য যে ব্যয় বরাদ্দ রয়েছে, তাতে সরকারের কাজকর্ম চলবে মাত্র ২৩ মার্চ পর্যন্ত।