নিউইয়র্কে গ্রন্থমেলার উদ্বোধন

ঢাকায় অমর একুশে বইমেলায় যেতে পারেননি বলে মন খারাপ নিউইয়র্কে বসবাসরত অনেক বাংলাদেশি অভিবাসীর। তাঁদের সেই অতৃপ্তি কিছুটা হলেও মুছে দিতে ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে জ্যাকসন হাইটসের মুক্তধারা কার্যালয়ে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা।

ওই দিন সন্ধ্যায় ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন করেন সাংবাদিক ও লেখক মনজুর আহমদ।

মেলার দ্বিতীয় দিনে আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি থাকছে কবি শামস আল মমীনের সঞ্চালনায় স্বরচিত কবিতা পাঠ ও আবৃত্তি অনুষ্ঠান। তৃতীয় দিন ১৮ ফেব্রুয়ারি থাকছে লেখক আদনান সৈয়দের পরিচালনায় নতুন বই নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান। ২০ ফেব্রুয়ারি দুপুর একটায় জাতিসংঘ ভবনের সামনে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।

সংস্কৃতিকর্মী ফাহিম রেজা নুরের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কথা বলেন প্রধান অতিথি মনজুর আহমদ, লেখক হাসান ফেরদৌস, ফেরদৌস সাজেদীন, মনজুর আলী ননতু, নারী সংগঠক রানু ফেরদৌস, লেখক নাসরিন চৌধুরী, সংস্কৃতিকর্মী সেমন্তী ওয়াহেদ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘বাংলা এখন পৃথিবীর চতুর্থ ভাষা। মান্দারিন, স্প্যানিশ, ইংরেজির পরে বাংলার অবস্থান এখন। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সামনে শহীদ মিনার স্থাপন, স্কুল-হাসপাতাল-নির্বাচনী ব্যালটে যে বাংলার জয়জয়কার, তার সব কৃতিত্ব এককভাবে বাংলাদেশের বাঙালিদের।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আলোকচিত্রী শাহীদ রেজা নুর, লেখক ও সাংবাদিক দর্পণ কবির, সাংবাদিক শাহবুদ্দিন সাগর ও সাখওয়াত হোসেন সেলিম, মেজর মো. আহসান উল্লাহ (অব.), আবদুল্লাহ সাঈদ, শাহ এম এ সোবহান, জসীম সরকার, সেলিম আহমেদ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মুক্তধারার উদ্যোগে ১৯৯২ সালে জাতিসংঘের সামনে একুশের শহীদ মিনার স্থাপন করে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন এবং উত্তর আমেরিকায় একুশের বইমেলা শুরুর মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক বলয়ে উঠে আসে। ২৭ বছর আগে মুক্তধারা নিউইয়র্কে যে কাজটি শুরু করে আজ তা যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানিসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলা একাডেমি, কলকাতা বুক ফেয়ার ও আমেরিকায় মুক্তধারা নিউইয়র্কের কার্যক্রম বাঙলা সাহিত্যের প্রতি প্রবাসী বাঙালিদের নিরন্তর ভালোবাসারই প্রতিচ্ছবি।