ফ্লোরিডায় হামলাকারীর মোকাবিলা করেননি কর্মকর্তা

১৪ ফেব্রুয়ারি ফ্লোরিডায় মার্জোরি স্টোনম্যান ডগলাস হাইস্কুলে বিদ্যালয়টির প্রাক্তন এক ছাত্র এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে ১৭ জনকে হত্যা করে। ছবি: এএফপি।
১৪ ফেব্রুয়ারি ফ্লোরিডায় মার্জোরি স্টোনম্যান ডগলাস হাইস্কুলে বিদ্যালয়টির প্রাক্তন এক ছাত্র এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে ১৭ জনকে হত্যা করে। ছবি: এএফপি।

ফ্লোরিডার স্কুলে বন্দুক হামলার দিনে অস্ত্রধারী যে কর্মকর্তা দায়িত্বরত ছিলেন, তিনি ঘটনার সময় ভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং কোনো হস্তক্ষেপ করেননি বলে জানিয়েছেন ব্রডওয়ে কাউন্টি শেরিফ ইসরায়েল। স্কট পিটারসন নামের ওই কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করা হলে তিনি পদত্যাগ করেন।

১৪ ফেব্রুয়ারি ফ্লোরিডায় মার্জোরি স্টোনম্যান ডগলাস হাইস্কুলে বিদ্যালয়টির প্রাক্তন এক ছাত্র এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে ১৭ জনকে হত্যা করে। ঘটনার সময় স্কুলের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ পিটারসন কোনো সাহায্যে এগিয়ে আসেননি বলে জানিয়েছেন শেরিফ ইসরায়েল। তিনি বলেন, ‘আমি বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিলাম, পেটে মোচড় দিয়ে উঠেছিল, সে ভেতরেই ঢোকেনি।’

আজ শুক্রবার বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শেরিফ ইসরায়েল জানান, যখন গোলাগুলি শুরু হয়, পিটারসন স্কুল ক্যাম্পাসেই ছিলেন। ইউনিফর্ম পরা ছিলেন, অস্ত্রও ছিল তাঁর সঙ্গে। তিনি বলেন, ঘটনার দিনের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, স্কুলের যে জায়গায় প্রথম একজনকে গুলি করা হয়, সেই জায়গায় ৯০ সেকেন্ড পর প্রবেশ করেন পিটারসন। এরপর স্কুল ভবনের বাইরে চার মিনিট ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। গোলাগুলি চলে ছয় মিনিট ধরে।

শেরিফ মনে করেন, পিটারসনের উচিত ছিল স্কুল ভবনে ঢুকে, হত্যাকারীকে চিহ্নিত করে তাকে হত্যা করা। তিনি কেন ওই দিন ভবনের ভেতর ঢোকেননি, সে বিষয়ে কোনো কারণ দেখাতে পারেননি।

তবে, ওই দিনের ঘটনার বিষয়ে জনসম্মুখে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি পিটারসন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হবে কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলগুলোতে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ নিয়োগ দেওয়া হয়। ‘স্কুল রিসোর্স অফিসার’ নামের ওই পুলিশ কর্মকর্তারা নিরাপত্তা রক্ষার পাশাপাশি স্কুলের অপরাধ দমনে কাজ করেন। যুক্তরাষ্ট্রে এ রকম প্রায় ১৪ থেকে ২০ হাজার অফিসার রয়েছেন। পিটারসন ২০০৯ সাল থেকে স্কুল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।