যোশেফ ক্রাউলির প্রার্থীতা

মার্কিন কংগ্রেসম্যান যোশেফ ক্রাউলি বাংলাদেশ ও বাঙালিদের অকৃত্রিম বন্ধু। তিনি যে বন্ধু, তার প্রমাণ তিনি একাধিকবার দিয়েছেন। সর্বশেষ গত বছরের নভেম্বরে মার্কিন কংগ্রেসে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠী নিধনের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব তুলে তিনি যেন আবারও বললেন, তিনি বাংলাদেশের বন্ধু। তিনি সব সময় বাংলাদেশের পাশে আছেন।
যোশেফ ক্রাউলির পরিচয় দেওয়াটা বাহুল্য। তবুও লেখার স্বার্থে দিতে হয়। ক্রাউলি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে ডিস্ট্রিক্ট-১৪ থেকে ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী হিসেবে ১৯৯৮ সাল থেকে জয়ী হয়ে আসছেন। একই সঙ্গে তিনি মার্কিন কংগ্রেসে বাংলাদেশ ককাসের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। অভিজ্ঞ এই কংগ্রেসম্যান জানিয়েছেন, আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় মধ্যবর্তী নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হবেন। নির্বাচনের তহবিল সংগ্রহের জন্য সম্প্রতি নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে তিনি মতবিনিময় করেছেন। সভায় উপস্থিত কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশি ঘোষণাও দিয়েছেন, তাঁরা ক্রাউলির নির্বাচনী তহবিল গঠনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন। তাঁদের এই ঘোষণার কতটা যৌক্তিক তা আর বলার প্রয়োজন নেই।
যোশেফ ক্রাউলির নির্বাচনী আসন ডিস্ট্রিক্ট-১৪-এর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোটার বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অভিবাসী। যে কারণে ক্রাউলিও বিভিন্ন সময় এসব অভিবাসীদের স্বার্থরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
রক্ষণশীল রিপাবলিকান পার্টি ক্ষমতায় আসার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি অবৈধ অভিবাসীদের আমেরিকা ছাড়া করবেন। বর্তমানে আমেরিকা জুড়ে এই আতঙ্ক অভিবাসীদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। এমন একটি সংকটময় মুহূর্তে ডেমোক্র্যাটরা অভিবাসীদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার হয়েছেন। আর এই জায়গায় এই দলটির অন্যতম নেতা হলেন ক্রাউলি। অসাম্প্রদায়িক ও উদারনৈতিক এই লোকটি এখনো আইনসভার ভেতরে ও বাইরে ট্রাম্পের সাম্প্রদায়িক, বর্ণবাদী ও নারীবিদ্বেষী নীতির তীব্র সমালোচনা করে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় অভিবাসী ভোটারদের যথাযথ বিবেচনা প্রসূত হয়ে করণীয় ঠিক করতে হবে। নির্বাচনের মাঠে সঠিক লোকটির পাশে দাঁড়াতে হবে। কারণে এর সঙ্গে অভিবাসীদের অস্তিত্বের সম্পর্ক জড়িত।