বাজারে আসছে 'কৃত্রিম' মাংস

কৃত্রিম মাংসের ব্যবহার বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কমিয়ে আনবে বলে দাবি পরিবেশবিদদের। ছবি: রয়টার্স
কৃত্রিম মাংসের ব্যবহার বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কমিয়ে আনবে বলে দাবি পরিবেশবিদদের। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের মাংস উৎপাদক প্রতিষ্ঠান জাস্ট ঘোষণা দিয়েছে, চলতি বছরের শেষ দিকে তারা ‘কৃত্রিম’ বা ‘পরিচ্ছন্ন’ মাংস বাজারে ছাড়বে। কেউ কেউ হয়তো এই লাইন পড়েই ভ্রু কোঁচকাবেন। বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঁকি দেবে মনে।

বিষয়টি খোলাসা করা যাক। প্রাণিদেহ থেকে বায়োপসির মাধ্যমে কোষ সংগ্রহ করে গবেষণাগারে কোষ বিভাজনের মাধ্যমে বহু কোষের সৃষ্টি করা হয়। পরিবেশবিদেরা এভাবে উৎপাদিত মাংসকে ‘পরিচ্ছন্ন মাংস’ উপাধি দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, এই মাংসের ব্যবহার বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কমিয়ে আনবে। একটা গবেষণায় দেখা গেছে, এ ধরনের মাংস থেকে ৯৬ শতাংশ পর্যন্ত গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কম হবে।

জাস্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জোশ টেট্রিক দাবি করেছেন, চলতি বছরেই তাঁর প্রতিষ্ঠান এই মাংস বাজারে ছাড়তে পারবে। তিনি সিএনএনকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও এশিয়ার বাজারে প্রথম ছাড়া হবে এই মাংস। এটি দিয়ে চিকেন নাগেট, সসেজসহ নানা খাবার প্রস্তুত করা সম্ভব হবে।

তবে এই মাংসের দাম নিয়েই রয়েছে সমস্যা। যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক খাদ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেমফিস মিটসের ৪৫০ গ্রাম গরুর মাংস তৈরি করতে খরচ পড়েছে প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন ডলার। তবে উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এ খরচ কমে আসবে বলে মনে করছে প্রতিষ্ঠানগুলো। মেমফিস মিটস ২০২১ সাল নাগাদ বাজারে ‘পরিচ্ছন্ন’ মাংস আনার পরিকল্পনা করেছে।