নির্বাচনে হস্তক্ষেপ অন্য কোনো দেশের: ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্প। রয়টার্স
ডোনাল্ড ট্রাম্প। রয়টার্স
>

• মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ আবার নাকচ করেছেন ট্রাম্প।
• নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচন।
• আসন্ন রাশিয়ার সাধারণ নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপেরও অভিযোগ উঠেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশদের কোনো ধরনের প্রভাব ছিল না। কিন্তু নির্বাচনে হস্তক্ষেপ যে হয়েছে, তা নিশ্চিত। অন্য কোনো দেশ বা কোনো গোষ্ঠী এ কাজ করে থাকতে পারে।
আর কিছুদিন পরই রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ঠিক এমন একটি সময়ে মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ আবারও নাকচ করেন ট্রাম্প। আর মস্কোর দাবি, আমেরিকার নির্বাচনে কোনো হস্তক্ষেপ করেনি রাশিয়া।

৬ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র সফররত সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লোফভেনের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠক করেন ট্রাম্প। পরে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি মনে করি, খুব সতর্কতার সঙ্গে আমাদের তদন্তের কাজ চালিয়ে যেতে হবে। কেননা ভোটদান পদ্ধতিকে কোনোভাবেই হুমকির মুখে ঠেলে দেওয়া যাবে না এবং আমরা তা হতে দেব না।’

মার্কিন গণমাধ্যম ইউএস টুডের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ ঠেকাতে যথেষ্ট তৎপরতা না থাকায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রশাসন ঘিরে এখনো সমালোচনার ঝড় চলছে। খোদ ট্রাম্প নিজেই এবার জানালেন, তাঁর প্রশাসন মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছে এবং এ প্রশ্নের সমাধানের চেষ্টা করছে।

মার্কিন গণমাধ্যম জানায়, ২০১৬ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের তথ্য-প্রমাণাদি থাকা প্রসঙ্গটি নাকচ করতেন ট্রাম্প। শুরু থেকে এ বিষয়ে তিনি বিতর্ক করলেও মঙ্গলবার অকপটে বলেন যে নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ হয়তো থাকতে পারে। তবে তা ভোটের ফলাফলে কোনো প্রভাব ফেলেনি বলে দাবিও করেন তিনি।

চলতি বছরের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানেরা অনেক আগেই এই নির্বাচনেও রুশ হস্তক্ষেপের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। তাই এবার আগেভাগে সতর্ক হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। আগামী নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ প্রতিহত করার সব চেষ্টাই চলাবে ওয়াশিংটন—এমনটাই আশ্বাস দিয়েছেন ট্রাম্প।

নির্বাচনী প্রচারণার সময় মস্কোর সঙ্গে ট্রাম্পের আঁতাত ছিল কি না—এ নিয়ে কংগ্রেস কমিটি ছাড়াও মার্কিন বিচার বিভাগে তদন্ত চলছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে সাইবার হামলার হুমকি নিয়ে এখন পর্যন্ত ট্রাম্প কোনো অধ্যাদেশ জারি না করায় পুরো ঘটনাটি সাধারণ জনগণ সন্দেহের চোখে দেখছে।

১৮ মার্চ রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আসন্ন নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই রিয়াকোভর বরাত দিয়ে রুশ গণমাধ্যম এ খবর প্রচার করে।