টিলারসন বরখাস্ত, টুইটে ধন্যবাদ ট্রাম্পের

মাইক পম্পেও, রেক্স টিলারসন
মাইক পম্পেও, রেক্স টিলারসন

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনকে বরখাস্ত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস এ–সংক্রান্ত ঘোষণা দেয়। নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) পরিচালক মাইক পম্পেও।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, টিলারসনকে সরিয়ে দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে বার্তা লিখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বার্তায় রেক্স টিলারসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি লিখেছেন, নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘দারুণ কাজ’ করবেন।

দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার টিলারসনকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর আফ্রিকা সফর সংক্ষিপ্ত করে গতকাল সোমবার ওয়াশিংটন ফেরেন টিলারসন।

এক্সনমোবিল নামের প্রতিষ্ঠানের সাবেক প্রধান নির্বাহী ছিলেন রেক্স টিলারসন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর এক বছরের কিছুটা বেশি সময় ট্রাম্প প্রশাসনে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) নতুন পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জিনা হাসপেল। দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন নারীকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হলো। জিনা একই সংস্থায় উপপরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁকে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়া এক বিবৃতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেছেন, ‘জিনা হাসপেল সংস্থাটির প্রথম নারী পরিচালক হবেন। এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।’

নিউইয়র্ক টাইমসের এক খবরে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সভায় রেক্স টিলারসনের আচরণে বিরক্ত হয়েছিলেন ট্রাম্প। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রকাশ্যেই ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে দ্বিমত প্রকাশ করতেন টিলারসন।

কিছুদিন ধরেই রেক্স টিলারসনের চাকরি খোয়ানোর গুজব বাতাসে ভাসছিল। কিছু কিছু সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছিল, উত্তর কোরিয়া ও ইরান ইস্যু নিয়ে টিলারসনের সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দিয়েছিল ট্রাম্পের। গত বছরের অক্টোবরে এ বিষয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করতে বাধ্য হয়েছিলেন টিলারসন। তখন তিনি বলেছিলেন, পদত্যাগের কথা ভাবছেন না।

টিলারসনের আগে যাঁরা
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ১৩ মাসের শাসনামলে হোয়াইট হাউসে শীর্ষ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে চলে যেতে হয়েছে। রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে যোগদানের ২২ কর্মদিবস পর ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগে বাধ্য হন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন।
প্রধান কৌশলবিদ (পরামর্শক) স্টিভ ব্যানন অন্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে ১৮ আগস্ট পদত্যাগ করেন। ২২ জুলাই পদত্যাগ করেন প্রেস সেক্রেটারি শন স্পাইসার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী টম প্রাইস ২০ সেপ্টেম্বর পদত্যাগে বাধ্য হন। ৩১ জুলাই সরে যেতে হয় চিফ অব স্টাফ রেইন্স প্রিবাসকে। দায়িত্ব গ্রহণের ১০ দিন পর ৩১ জুলাই অব্যাহতি নেন যোগাযোগ পরিচালক অ্যান্থনি স্কারামুচি। সাবেক দুই স্ত্রীকে পারিবারিক নির্যাতনের অভিযোগে এ বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগ করেন রব পর্টার। আর ২৮ ফেব্রুয়ারি যোগাযোগ পরিচালক হোপ হিকস পদত্যাগ করেন। সর্বশেষ ৭ মার্চ পদত্যাগের ঘোষণা দেন ট্রাম্পের শীর্ষ অর্থনৈতিক উপদেষ্টা গ্যারি কন।