সিআইএ পরিচালকের পদে প্রথম নারী

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে নিয়োগ পেয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) পরিচালক মাইক পম্পেও। এর ফলে শূন্য হয় সিআইএ পরিচালকের পদ। সেই পদ অর্থাৎ মার্কিন গোয়েন্দাদের প্রধান হয়েছেন জিনা হাসপেল। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম গোয়েন্দাদের চালানোর দায়িত্ব পেয়েছেন কোনো নারী।

মঙ্গলবার নতুন নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস নিশ্চিত করেছে তা। জিনা একই সংস্থায় উপপরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁকে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়া এক বিবৃতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেছেন, ‘জিনা হাসপেল সংস্থাটির প্রথম নারী পরিচালক হবেন। এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।’

সিবিএস নিউজের খবরে বলা হয়েছে, গোয়েন্দা কার্যক্রমে জিনা হাসপেলের অভিজ্ঞতা বেশ। বিদেশের মাটিতে বার কয়েক গোয়েন্দা স্টেশন চালিয়েছেন তিনি। ওয়াশিংটনে কয়েকটি জ্যেষ্ঠ সরকারি পদে কাজ করেছেন তিনি। ন্যাশনাল ক্ল্যান্ডেস্টাইন সার্ভিসের উপপরিচালক হিসেবে কাজ করেছিলেন জিনা।

ফরচুনের খবরে বলা হয়েছে, ১৯৮৫ সালে সিআইএতে যোগ দিয়েছিলেন জিনা হাসপেল। তবে চাকরিজীবনের বেশির ভাগ সময়ই গুপ্ত কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকারের কাছ থেকে কিছু পুরস্কারও পেয়েছিলেন জিনা।

জিনা হাসপেলের বিরুদ্ধে তদন্ত চালানোর সময় তথ্য বের করতে সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ছিল। ফরচুন ম্যাগাজিনের এক খবরে বলা হয়েছে, ২০০২ সালে থাইল্যান্ডে গোয়েন্দা সংস্থাটির এক গোপন কারাগারে চলা এ ধরনের কাজ তদারকি করেছিলেন জিনা। এমনকি নির্যাতনের প্রমাণও নাকি লোপাট করেছিলেন। এ নিয়ে গত বছর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল নিউইয়র্ক টাইমস। এ ধরনের নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জিনাকে সিআইএর ক্ল্যান্ডস্টাইন সার্ভিসের প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

জিনা হাসপেলের নিয়োগের বিষয়ে সিআইএর একজন মুখপাত্র সিবিএস নিউজকে বলেছেন, ‘এই নিয়োগের অর্থ হলো সঠিক কাজের জন্য শ্রেষ্ঠ ও সবচেয়ে দক্ষ মানুষকে বেছে নেওয়া হয়েছে।’

অন্যদিকে ফরচুনের খবরে বলা হয়েছে, সিআইএতে অনেকের কাছে হাসপেল একজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। ট্রাম্পের আগে বুশ ও ওবামা প্রশাসনও তাঁকে সমর্থন দিয়েছিল। তদন্ত চলাকালীন তথ্য বের করতে সন্দেহভাজনদের ওপর কঠোর পন্থা অনুসরণের পক্ষে তিনি। তবে এ নিয়ে কখনোই প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি জিনা।