জর্জিয়ায় বৈশাখী প্রস্তুতি

এখন ফাগুন, এর পর চৈত্র। তারপর আসবে বৈশাখ। বৈশাখ মানে বাংলা নববর্ষ। নববর্ষের ঢের বাকি। তাতে কী? সেই বাংলা নববর্ষ বৈশাখকে বর্ণিল উৎসবে বরণ করে নিতে ইতিমধ্যে নানা আয়োজনে ব্যস্ত জর্জিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশিরা। অতীতের মতো এবারও বাংলা নববর্ষকে বরণ নিয়ে চলছে তোড়জোড়।
এ বছর বাংলা নববর্ষবরণ আয়োজনের প্রথম সারিতে রয়েছে জর্জিয়া সোশ্যাল অ্যান্ড কালচার অর্গানাইজেশন। তাদের আয়োজনে জর্জিয়ায় বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ১ এপ্রিল জর্জিয়ায় জনপ্রিয় ভেন্যু বার্কমার হাইস্কুলে বর্ষবরণ, বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। অনুষ্ঠানে পারফরম্যান্স করতে বাংলাদেশ থেকে আসছেন শিল্পী তাসবিয়া বিনতে শহীদ মিলা, যিনি মিলা নামেই বেশি পরিচিত। থাকবেন প্রবাসের শিল্পী শম্পা জামান।
দ্বিতীয় আসর বসবে ১৫ এপ্রিল বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন অব জর্জিয়ার আয়োজনে ‘রঙে রঙে বৈশাখ। বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন অব জর্জিয়া ১০ বছর ধরে জর্জিয়ায় বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপন করে আসছে। এটি তাদের ১১তম আসর। বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন অব জর্জিয়ার অনুষ্ঠান মাতাবেন সুরকার, গীতিকার ও অভিনয় শিল্পী এস আই টুটুল। ১৯৯২ সালে জর্জিয়ার সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মোহনা শিল্পী গোষ্ঠীর উদ্যোগে জর্জিয়ায় বৈশাখী মেলার যাত্রা শুরু হয়। এ সময় সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন যথাক্রমে শাহাব সিদ্দিকী ও গোলাম মহিউদ্দিন। ২০০৪ সালে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন ও নাজমুল মুরাদের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় লাকী সোলস পার্কে জাঁকজমক আয়োজনের মধ্য দিয়ে বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর থেকেই প্রতিবছরই এক বা একাধিক সংগঠন জর্জিয়ায় বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপন করে আসছে।