আমেরিকায় বাংলাদেশি নার্সদের চাকরির সম্ভাবনা

আমেরিকায় বিভিন্ন হাসপাতালে নার্সিং-এর চাকরির ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। বিজনেস উইকের প্রতিবেদন অনুযায়ী এই খাতে কর্মীর চাহিদা রয়েছে এক লাখেরও বেশি। বর্তমানে আমেরিকার নার্সিং খাতে সবচেয়ে ভালো অবস্থায় আছে ভারত ও ফিলিপাইন। বলা যায় এই খাতে একচেটিয়া আধিপত্য এই দুই দেশের। তারাই আমেরিকায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্সিং জনশক্তি রপ্তানিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এই খাতে বাংলাদেশেরও যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন অব উত্তর আমেরিকার ক্যারোলিনা চ্যাপ্টারের একজন আজীবন সদস্য হিসেবে আমি মনে করি, শুধু আমেরিকা নয় সারা বিশ্বেই স্বাস্থ্য খাতে জনশক্তি রপ্তানির উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের। এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হলে জনস্বাস্থ্যে বিশেষত নার্সিং ও ফার্মেসি প্রযুক্তি শিক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশি তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহ দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ থাকা উচিত, যাতে তারা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পায়। আমরা সবাই জানি চিকিৎসক, নার্সিং, ফার্মেসি, ডেন্টিস্ট্রি পেশা আমেরিকা, ইউরোপ ও স্ক্যান্ডিনেভিয়ান বিভিন্ন দেশে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ ক্যারিয়ার। বেতন স্কেলও অনেক ভালো।
একজন নিবন্ধিত নার্সের জন্য মধ্যম পর্যায়ে বছরে ৬২ হাজার ২৬৫ ডলার, সাধারণ আরএন ৬৪ হাজার ২১৮ ডলার, অভিজ্ঞ আরএন ৮০ হাজার ৭৪১ ডলার বেতন পান। আইসিইউ বিশেষজ্ঞদের ক্ষেত্রে এই আয় ৬৪ হাজার ২৯৪ থেকে ৮২ হাজার ৪২৫ ডলারের মধ্যে। আর এনপি’র ক্ষেত্রে আয় ৮৫ হাজার ৬৩৭ থেকে ১ লাখ ৭ হাজার ১৭৩ ডলারের মধ্যে। অর্থাৎ এই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্সরা আমেরিকায় অনায়াসে মাসে ৫-১০ হাজার ডলার করে আয় করতে পারেন। এটা খুব কম পেশার মাধ্যমেই আয় করা সম্ভব। প্রবাসে নার্স পেশার বিশাল চাহিদা রয়েছে। তৈরি পোশাক শিল্পের মতো বাংলাদেশে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্সের দ্বারা বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব।