ওয়াশিংটন-পিয়ংইয়ং গোপন আলোচনা!

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উন
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উন

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আলোচনায় বসার আগ্রহ দেখিয়েছেন আগেই। দুই নেতার এই বৈঠককে সম্ভব করে তুলতে ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ংয়ের উচ্চ মহলের মধ্যে সরাসরি আলোচনা চলছে। গোপন এই আলোচনা সম্পর্কে অবগত এমন একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আজ শনিবার এই তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।

ট্রাম্প প্রশাসনের উচ্চপদস্থ ওই কর্মকর্তারা সিএনএনকে জানান, সিআইএর পরিচালক মাইক পম্পেওর নেতৃত্বে একটি দল এই আলোচনা চালাচ্ছে। মূলত ট্রাম্প-উন বৈঠকের ক্ষেত্র প্রস্তুতের লক্ষ্যেই দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ পর্যায়ের মধ্যে এই আলোচনা চলছে। এরই মধ্যে একাধিকবার দুই পক্ষের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এমনকি দুই দেশের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা তৃতীয় একটি দেশে সাক্ষাৎও করেছেন। মূল লক্ষ্য আলোচনার সম্ভাব্য স্থান ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্র প্রস্তুত করা।
উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রেসিডেন্টকে আলোচনার টেবিলে বসানোর জন্য মধ্যস্থতার কাজটি করছে দক্ষিণ কোরিয়া। এরই মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার মাধ্যমে ট্রাম্পের কাছে আলোচনার প্রস্তাবও পাঠিয়েছে পিয়ংইয়ং। যদিও উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
ট্রাম্প প্রশাসনের ওই সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে, দুই পক্ষের মধ্যে চলমান এই গোপন আলোচনায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে দুই নেতার বৈঠকের সম্ভাব্য স্থান নির্ধারণের বিষয়টি। উত্তর কোরিয়া পিয়ংইয়ংকেই বৈঠকের জন্য উপযুক্ত মনে করছে। সম্ভাব্য স্থান হিসেবে উঠে এসেছে মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলানবাটরের নামও। এই বিষয়ে হোয়াইট হাউসের অবস্থান সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। এই বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর লক্ষ্যে সিআইএ প্রধান ও উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা আরজিবি প্রধানের মধ্যে একটি বৈঠকের পরিকল্পনাও রয়েছে। বৈঠকের স্থান নির্ধারণের পরই এর সম্ভাব্য তারিখ ও বিস্তারিত আলোচ্যসূচি নির্ধারণ করা হবে।
এদিকে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাইক পম্পেওর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের কথা রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে চলমান আলোচনা পরিণতিতে পৌঁছার আগেই সিআইএ প্রধানের পদ থেকে তিনি সরে গেলে সংকট তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিষয়টি মার্কিন প্রশাসনও ভালোভাবে বোঝে। তাই ট্রাম্পের দিক থেকে বৈঠক আয়োজনে সংশ্লিষ্টদের আরও তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী মাসের শেষ কিংবা জুনের শুরু নাগাদ বহুল প্রতীক্ষিত এই বৈঠক হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।