সবাই যে যার মতো বিবরেই

সবাই যে যার মতো বিবরেই। অথচ কোমল চাঁদ

এখনো ছড়াচ্ছে জ্যোৎস্না অবিকল। শুধু বালির ভেতর
মুখ গুঁজে পড়ে আছে উটপাখি। কখনো দেখে না
সে, ‘হাজার এক রাত্রি’ থেকে উঠে আসে দৈত্যের আকৃতি ।

ধুলোয় ছড়িয়ে যায় রক্ত, ঠান্ডা চোখ নির্লিপ্তির
ভান বুনে, বিশ্ব কেন্দ্রে জরায়ুর মতো কুঁকড়ানো ভ্রূণ
যেন, শুধু ইতিউতি মরু র‍্যাটলের ফণা উঠে আসে;
শিল্পের ওপরে ফেলে দাগ দর্পে হাঁটে সাঁজোয়া বাহিনী।

ক্ষেপণাস্ত্রের ভাষায় উপ্ত হয়ে ওঠে নিদাগ নীলিমা
মানুষ কুঁকড়ে যায়, পার হয় দূরত্বের সীমা, পরিসীমা ।

পদ্য-১
চারপাশে ঘন কুয়াশা চাদর মেঘলা মেঘের দিন
হাঁটি জবুথবু একা যাত্রী, উদাসীন,
রোদেরা তাতানো, উষ্ণতা যেনবা দস্যি
ওজোনস্তরের ফুটো ভেদ করে অতি বেগুনি রশ্মি-

নামছে এখানে, নামছে ওখানে, গ্লেসিয়ার ফেটে চৌচির
দূষণে পেষণে জল ও হাওয়া, নোনা সাগরের তীর।
উঠে আসে সব ডলফিন আর নীলতিমিদের ঝাঁক
ঠোঁটে হাত রেখে স্থির যেন সব সারি সারি মৈনাক ।