চীনা পণ্যে আরও ২০০ বিলিয়ন ডলার শুল্ক ধার্যের হুমকি দিলেন ট্রাম্প

চীন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধ কি অবশ্যম্ভাবী? ছবি: এএফপি
চীন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধ কি অবশ্যম্ভাবী? ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত আরও ২০০ বিলিয়ন ডলার শুল্ক আরোপ করার হুমকি দিয়েছেন। ট্রাম্প বলেছেন, চীন যদি তাদের নীতি থেকে সরে না আসে, তাহলে এই ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। খবর বিবিসির।

ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত দুই দেশের মধ্যকার বিবাদ উসকে দিতে পারে, যেটা শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বাণিজ্যযুদ্ধ পর্যন্ত গড়াতে পারে।

ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে চীন বছরের পর বছর অনৈতিক বাণিজ্য সুবিধা পেয়ে আসছে।

গত সপ্তাহে ট্রাম্প বলেন, ৫০ বিলিয়ন মূল্যের চীনা পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।

এর জবাবে বেইজিং বলেছিল, ৫০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ৬৫৯টি মার্কিন পণ্যের ওপর সমহারে শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। এসবের মধ্যে রয়েছে কৃষি, গাড়ি ও নৌপণ্য।

যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য সম্পর্ক আরও অবনতির আশঙ্কায় গতকাল সোমবার শেয়ারবাজারে ধস নেমেছে।

ট্রাম্প বলেন, ‘চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি, তাদের কর্মী এবং কৃষকদের হুমকি দিয়েছে। অথচ এদের কোনো দোষ নেই।’

বাণিজ্য সম্পর্কে আরও অবনতির আশঙ্কায় এরই মধ্যে গতকাল থেকে শেয়ারবাজারে পতন শুরু হয়েছে।

গতকাল ট্রাম্প জানান, তিনি তাঁর বাণিজ্য উপদেষ্টাকে সেই সব চীনা পণ্য চিহ্নিত করতে বলেছেন, যেগুলোর ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করা হবে।

ট্রাম্প বলেন, ‘যদি চীন তাদের নীতি পরিহার না করে, তাহলে এসব শুল্ক কার্যকর হবে। এ ছাড়া তারা যেসব নতুন শুল্ক বসানোর ঘোষণা দিয়েছে, সেগুলো আরোপ করলেও এ শুল্ক আরোপ করা হবে। এরপরও যদি চীন তাদের শুল্ক বৃদ্ধি করে, আমরা আরও অতিরিক্ত ২০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করব। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্ক ভারসাম্যপূর্ণ হওয়া উচিত।’

এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ৮০০ ধরনের চীনা পণ্যে বছরে ৩৪ বিলিয়ন ডলার শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে।

এসব পণ্যের মধ্যে এয়ারক্রাফটের টায়ার, টার্বাইন থেকে শুরু করে ডিশওয়াশার পর্যন্ত রয়েছে।

হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আরও ১৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের চিন্তা করা হচ্ছে এবং এগুলো পরে কার্যকর করা হবে।