দয়া, সহানুভূতি ও ইতিবাচক মনোভাব জীবনের জরুরি অনুষঙ্গ: মেলানিয়া

মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প মনে করেন, উদারতা, সহানুভূতি ও ইতিবাচক মনোভাব জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। গতকাল রোববার ওয়াশিংটনের একটি হোটেলে ‘স্টুডেন্ট অ্যাগেইনস্ট ডেসট্রাকটিভ ডিসিশন’-এর (এসএডিডি) বার্ষিক জাতীয় সভায় এ বক্তব্য দেন মেলানিয়া।

সম্প্রতি চরম সমালোচনা ও চাপের মুখে অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিচ্ছিন্নতাবাদী অভিবাসন নীতিতে পরিবর্তন আনেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই নীতির পরিবর্তন আনতে মেলানিয়া ট্রাম্পের ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। অবৈধভাবে মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে গিয়ে অনেক শিশু তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়—এ বিষয়কে ঘৃণা করেন বলে মন্তব্য করেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি। তিনি মার্কিন ওই নীতি পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ ছাড়া কিছুটা নিভৃতিতেই সমাজসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন মেলানিয়া। গত মে মাস থেকে শিশুদের সামাজিক, মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষা দিতে ‘বি বেস্ট’ বলে একটি প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি।

গতকালের সভায় সাড়ে চার শ শিক্ষার্থীর উদ্দেশে মেলানিয়া বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে প্রাপ্তবয়স্কদের অন্যতম কাজ হলো তোমাদের জীবনের সমস্ত ক্ষেত্রে সর্বোত্তম হয়ে উঠতে সাহায্য করা। এ জন্য আজ আমি এখানে এসেছি। আমি মনে করি, এসএডিডির মিশন হলো প্রতিদিন যে চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকিতে তোমরা পড়ো, তা যেন দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারো।’

মেলানিয়া বলেন, ‘উদারতা, সহানুভূতি ও ইতিবাচক মনোভাব জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। সহানুভূতি দেখিয়ে কিছু বলার চেয়ে কিছু না বলা অনেক সহজ। কোনো কিছু সময় নিয়ে বুঝতে চেষ্টা করার চেয়ে একটা ধারণায় দ্রুত চলে যাওয়া সহজ। একটি গ্লাস অর্ধেক পূর্ণ দেখার চেয়ে অর্ধেক খালি দেখা সব সময় সহজ। তবে মানুষের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করার শক্তি তোমাদের রয়েছে। একে অপরকে সম্মান দেখাও। নিজের সম্প্রদায়কে নিজের পরিবারের মতো ভাবো। একে অপরের কথা ভাবো।’

ছাত্রদের মদ্যপান করে গাড়ি চালনা বন্ধের উদ্দেশ্যে ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এসএডিডি। পরবর্তী সব পর্যায়ের ছাত্রদের ক্ষতিকর আচরণ পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে কাজ করে এসএডিডি।