ভেনেজুয়েলায় হামলা করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প?

ভেনেজুয়েলায় হামলার ব্যাপার খতিয়ে দেখতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত বছরের আগস্ট মাসে শীর্ষ পর্যায়ের পররাষ্ট্রনীতি-বিষয়ক কয়েকজন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ নিয়ে কথা বলেন।

দেশটির একজন জ্যেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা, যিনি বিষয়টি সম্পর্কে জানেন, সিএনএনকে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এক বৈঠকে এমন কথা বলেন ট্রাম্প।

ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা এইচ আর ম্যাকমাস্টারসহ অন্য কর্মকর্তারা ভেনেজুয়েলায় অভিযানের বিরোধিতা করেন। এতে করে পাল্টা উত্তর আসতে পারে বলে সতর্ক করেন তাঁরা। যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু দেশগুলোও দেশটির হঠাৎ এ ধরনের আচরণের বিরোধিতা করতে পারে বলে তাঁরা অভিমত ব্যক্ত করেন।

ট্রাম্পের প্রশাসনিক ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, বিভিন্ন সময় ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে বলেছেন, সেনা অভিযানের জন্য তাঁর কোনো পরিকল্পনা নেই। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, বিভিন্ন সময় ট্রাম্প নিজে নিজেই অনেক কথা ভাবেন এবং জোরে জোরে আওড়ান। প্রেসিডেন্টের ভাবা ও বলার মধ্যে পার্থক্য অনেক।

বৈঠকের এক দিন আগেই ট্রাম্পের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন এবং জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালিকে ট্রাম্প বলেন, তিনি ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের সেনা অভিযানের কথা ভাবছেন না।

ওই সময় জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের পার্শ্ব বৈঠকে ট্রাম্প লাতিন আমেরিকার নেতাদের হামলার সম্ভাবনার কথা জানান। সে সময় ওই নেতারা ট্রাম্পকে বলেন, তাঁরা ভেনেজুয়েলায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো অভিযান চান না।

নির্বাচন দিতে ভেনেজুয়েলা সরকারকে চাপ দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ভেনেজুয়েলার বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে কয়েকবার বৈঠক করেছেন। লাতিন আমেরিকা সফরের সময় তিনি ভেনেজুয়েলা সরকারের সমালোচনা করেন।

কোনো দেশের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের জন্য ট্রাম্পের হুমকি এই প্রথম নয়; জানুয়ারি মাসেও তিনি উত্তর কোরিয়ায় সেনা অভিযানের হুমকি দেন।