চুক্তি বাস্তবায়নে প্রস্তুত রাশিয়া, মুখ খুলছে না যুক্তরাষ্ট্র

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: রয়টার্স
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: রয়টার্স

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে ‘আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার খাতিরে’ যে চুক্তি হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করতে প্রস্তুত রাশিয়া। তবে দুই নেতার মধ্যে এমন কোনো চুক্তি সংগঠিত হয়েছে কি না বা ওই বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগন।

গত সোমবার ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কিতে বৈঠক করেন ট্রাম্প ও পুতিন। কেবল অনুবাদকের উপস্থিতিতে দুই ঘণ্টার ওই বৈঠক হয়। তাই ওই বৈঠকে আসলে দুই রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে কী নিয়ে আলাপ হয়েছে বা কী চুক্তি হয়েছে, তা এখনো পরিষ্কার নয় বলে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল আইগর কোনাশেনকভ গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় হেলসিঙ্কিতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহযোগিতায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে, তা বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত।’

রাশিয়া বাস্তবায়নে প্রস্তুত থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল (এনএসসি) ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে কী চুক্তি হয়েছে, সে বিষয়ে মুখ খুলছে না। এনএসসির এক মুখপাত্র জানান, তারা এখনো ওই বৈঠকে যে আলোচনা হয়েছে, তা পর্যালোচনা করে দেখছে।

ওই মুখপাত্র আরও জানান, দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনা কমাতে এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সহযোগিতা বাড়াতে হেলসিঙ্কি বৈঠক ছিল প্রথম পদক্ষেপ। তিনি বলেন, ‘আমরা ওই আলোচনা পর্যালোচনা করে দেখছি। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নিয়ে ভাবছি। এর বেশি কিছু এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়।’

গত সোমবার হেলসিঙ্কিতে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ বাতিল করে ট্রাম্প জানান, পুতিন তাঁকে জানিয়েছেন, রাশিয়া মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেনি। নিজের গোয়েন্দা দপ্তর ও পুতিনের মধ্যে তিনি কাকে অধিক বিশ্বাস করেন—এমন এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প জানান, রুশ প্রেসিডেন্ট অত্যন্ত জোরালো ভাষায় কোনো রকম হস্তক্ষেপের কথা অস্বীকার করেছেন। তাঁর এ কথায় বিশ্বাস না করার কোনো কারণ নেই। তিনি বুঝতে পারেন না, রাশিয়া কেন ডেমোক্রেটিক পার্টির কম্পিউটার-ব্যবস্থা থেকে তথ্য চুরি করতে যাবে।

এ বক্তব্যের পর তোপের মুখে পড়েন ট্রাম্প। সুর পাল্টে তিনি বলেন, ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়া হস্তক্ষেপ করে—এ কথা তিনি মানেন। পুতিনকে রেহাই দিয়ে যে বক্তব্য তিনি সংবাদ সম্মেলনে দিয়েছিলেন, তাতে সঠিক শব্দ ব্যবহৃত হয়নি।