'যুক্তরাষ্ট্রকে আর কখনো হুমকি দেবেন না'

ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স
ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

‘যুক্তরাষ্ট্রকে কখনো আর হুমকি দেবেন না। দিলে এমন পরিণাম ভোগ করবেন, ইতিহাসে যাদের সংখ্যা খুব অল্পই।’

আজ সোমবার এক টুইট বার্তা এ কথা বলে হুঁশিয়ার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মাত্র এক দিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। গত মে মাসে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে এসে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন প্রশাসন। তেহরানের বিরুদ্ধে শত্রুভাবাপন্ন এই নীতি অনুসরণ করার ওয়াশিংটনের ওপর ক্ষিপ্ত তেহরান। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে হাসান রুহানি বলেছেন, ‘ইরানের সঙ্গে শান্তি মানেই সব শান্তির প্রসূতি। আর ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ হলে তা হবে “সব যুদ্ধের মা”।’
রুহানির এই হুঁশিয়ারি জ্বালা ধরিয়েছে ট্রাম্পের মনে। গতকাল রোববার তাই এই টুইটে পাল্টা ওই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেন ট্রাম্প।

হাসান রুহানির উদ্দেশে বড় হরফে লেখা ওই টুইটে বলা হয়, ‘ইরানের প্রেসিডেন্ট রুহানির জন্য: আর কক্ষনো যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দেবেন না। আর তা না হলে আপনারা পরিণাম ভোগ করবেন। এমন পরিণাম যা ইতিহাসে অল্প মানুষই ভোগ করেছে। আমরা আর এমন দেশ নই, যারা আপনাদের সহিংসতা এবং মৃত্যুর উন্মাদনায় পাশে দাঁড়াবে। সাবধান হন।’

গত রোববার ইরানি কূটনীতিবিদদের উদ্দেশে এক ভাষণে রুহানি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জানা উচিত, ইরানের সঙ্গে শান্তি হচ্ছে সব শান্তির মা এবং ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ হচ্ছে সব যুদ্ধের মা। তিনি মার্কিন নেতাকে সতর্ক করে বলেন, ‘ট্রাম্প, সিংহের লেজ নিয়ে খেলবেন না। এটা শুধু অনুশোচনা বাড়াবে।’ রুহানি নিশ্চিত করেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দেশটি অন্য দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে।

২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া ও জার্মানি ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি করে। বারাক ওবামা তখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। চুক্তির মূল বিষয় ছিল ইরান পরমাণু কার্যক্রম বন্ধ রাখবে এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি কমিশন ইরানের যেকোনো পরমাণু স্থাপনায় যেকোনো সময় পরিদর্শন করতে পারবে। অর্থাৎ ইরান যাতে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে না পারে, সে জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইরানকে নজরদারির মধ্যে রাখতে পারবে। এর বিনিময়ে ইরানের ওপর থেকে অর্থনৈতিক অবরোধ তুলে নেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার পক্ষ থেকে আবার নতুন করে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করেছেন ইরানের ওপর। গত মে মাসে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়। ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র যাতে সরে না যায়, সে জন্য ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি ট্রাম্পকে বোঝানোর চেষ্টা করছিল, তবে তারা ব্যর্থ হয়।