আমেরিকার ইউটিউব তারকা মারইয়াম

মারইয়াম মাসুদ
মারইয়াম মাসুদ

নিউজার্সিতে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকে শিশু মারইয়াম মাসুদ। পড়ালেখা করে সিক্সথ গ্রেডে। পড়ালেখার পাশাপাশি এই বয়সেই ইউটিউবার হিসেবে আমেরিকাজুড়ে ব্যাপক পরিচিত পেয়েছে এই শিশু। এ দেশে শিশু-কিশোরদের মধ্যে বিশেষ করে মুসলিম শিশু-কিশোরদের মধ্যে ইসলামি শিক্ষার প্রসারে অবদান রাখছে। এভাবে শিশু বয়সেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মারইয়াম।

আমেরিকায় অন্য সহপাঠীদের মতোই মারইয়াম বাস্কেট বল খেলে, পছন্দ করে বই পড়তে। এখনো শৈশবের চাঞ্চল্য আছে তার মধ্যে।

মারইয়াম মাসুদকে নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন করেছে মার্কিন গণমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা টেলিভিশন। তার পৈতৃক নিবাস বাংলাদেশের বগুড়া জেলা শহরের জলেশ্বরীতলায়। মারইয়াম মাসুদ পারিবারিক সম্পর্কে লেখিকা রোমেনা আফাজের নাতির নাতনি। অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী এই শিশুটি যেন জ্ঞান অর্জন, মেধায় রোমেনা আফাজের সঙ্গে মধুর সম্পর্কের সাক্ষ্য বহন করছে। সে এখন মা-বাবার সঙ্গে আমেরিকার নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যে বসবাস করছে।
মারইয়াম মাসুদ নামের ইউটিউব চ্যানেলে মারইয়াম কোটি কোটি মুসলিম শিশুকে আরবি পড়তে ও লিখতে শেখাচ্ছে। তাদের ইসলামি জ্ঞান অর্জনে অনুপ্রাণিত করছে। কিছু ভিডিওতে মারইয়াম ইসলামি গান গেয়েছে।
ভয়েস অব আমেরিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউটউবে মারইয়ামের ভিডিওগুলো ৭ কোটি ১০ লাখ বারের বেশি দেখা হয়েছে। মারইয়াম মাত্র নয় বছর বয়সে হাফেজে কোরআন হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমকে মারইয়াম বলেন, ‘আমি তরুণ প্রজন্মকে কোরআন শিখতে ও পড়তে উৎসাহিত করতে চাই। তাদের উচিত ছোটবেলা থেকেই কোরআন পড়া এবং মানবতার কাজে সক্রিয় হওয়া। আমি ইউটিউব ও সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে এই বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছি।’
পড়ালেখার ফাঁকে মারইয়াম নিউইয়র্কভিত্তিক গাইড টিভি ও আইটিভির উপস্থাপক হিসেবে কাজ করছেন। প্রযুক্তিগত জ্ঞানেও নিজেকে এগিয়ে নিচ্ছেন। মারইয়াম তার ইউটিউব ভিডিওগুলো নিজেই সম্পাদনা করে থাকে।
ভবিষ্যতে সে একজন ইঞ্জিনিয়ার ও মুসলিম চিন্তাবিদ হয়ে মানুষের সেবা করে যেতে চায়।