কাগুজে চিঠি আর ডায়েরির দিনগুলো

ছোট্ট একটি শব্দ ‘চিঠি’। কিন্তু একটা সময়ে কী বিশাল আর ব্যাপক ছিল তার আবেদন। কত রোমাঞ্চ, ভালো লাগা, ভালোবাসা, আদর আর আশীর্বাদে ভরা ছিল সেই চিঠিগুলো। কতশত সুসংবাদ আর দুঃসংবাদ বয়ে নিয়ে আসত এই চিঠি। কাগজের বুকে ঘন কালো কালি দিয়ে লেখা সেই শরীরী চিঠির চেহারাই ছিল আলাদা। আমার মতো মধ্যবয়সের বা আমার চেয়েও দুই এক যুগ আগের মানুষেরা অবশ্যই আমার সঙ্গে এ ব্যাপারে একমত হবেন।
আজ আমার মনটা খুবই নস্টালজিক হয়ে আছে। মন ফিরে গেছে দূরে, বহুদূরের সেই পুরোনো দিনগুলোতে। পুরোনো, সবুজ শেওলায় ঢাকা, ন্যাপথলিনের গন্ধে ভরা কাগুজে চিঠি আর ডায়েরি লেখার যুগে। এ যুগের আধুনিক মানুষ, কম্পিউটার এক্সপার্ট ছেলেমেয়েরা হয়তো নাক কুঁচকে বলবে, ‘চিঠি আর ডায়েরি লেখা? তাও আবার কাগজ কলম দিয়ে? হা হা হা, সময় কোথায়?”
একেই বলে ‘জেনারেশন গ্যাপ’। আমার মতো পুরোনো মানুষ, যারা খুব প্রাচীন না হলেও খুব আধুনিকও নই, আমরা হলাম এই দুই যুগের সেতুবন্ধন। আমরা এখনো পুরোনোর জন্য হাপিত্যেশ করে মরি। আবার নতুনকেও স্বাগত জানাতে ভুলি না। চিঠি আর ডায়েরি—দুটিই এখনো আমাদের মনে শিহরণ জাগায়। আহা চিঠি! আহা সেই লুকানো গোপন ডায়েরি! সেই মিষ্টি সোঁদা কাগুজে গন্ধভরা চিঠি আর ডায়েরিগুলো কোথায় হারিয়ে গেল। জানি আমার মতো অনেকেরই মনের মণিকোঠায় জমে আছে এই চিঠি বা ডায়েরি শব্দ দুটির সঙ্গে হাজারটা স্মৃতি।
চিঠির কথায় অনেকেরই বুকে হয়তো শুরু হয়েছে প্রজাপতির নাচন। কারওবা বুকের বাম পাশে মোচড় দিয়ে উঠেছে পুরোনো কোন ব্যথা। কারও পুরোনো কোন ক্ষতে শুরু হয়েছে নতুন রক্তক্ষরণ।
যুগ যুগ ধরে সারা পৃথিবীর মানুষ, প্রতিটি ভাষায় কত কত চিঠি যে লিখেছে, তার কোনো হিসাব নেই। নিজেকে প্রকাশ করার জন্য, না বলা কথা বলার জন্য, অনুরাগ বা বিরাগ, সুখ বা দুঃখ, প্রয়োজন বা অপ্রয়োজনে মানুষ সেই আদিকাল থেকে কত চিঠিই না লিখেছে।
যদিও দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে চিঠির আকার, আয়তন বা চেহারা গেছে পাল্টে। পাল্টে গেছে চিঠি পাঠানোর ধরন। পায়রার পায়ে সুতোয় বাঁধা চিঠি বা লণ্ঠন হাতে টুনটুন ঘণ্টা বাজিয়ে ছুটে চলা ডাক হরকরার বয়ে নেওয়া একটি চিঠির অপেক্ষায় মানুষ দিনের পর দিন কাটিয়ে দিয়েছে। পাঠানো সেই চিঠিটি হয়তো সময়মতো কাঙ্ক্ষিত প্রিয় মানুষটির হাতে পৌঁছোয়নি। হয়তো সুসংবাদটি আর জানা হয়নি। তার আগেই কেউ হারিয়ে গেছে। হয়তো ফুরিয়ে গেছে প্রয়োজন। চিঠির জন্য কত ব্যাকুল অপেক্ষা, আকুল প্রতীক্ষায় কেটে যেত মানুষের অমূল্য সময় আর জীবন। একটা সময়ে, চিঠি মানেই ছিল অপেক্ষা।
চিঠি আসত নানা রঙে, নানা সুবাস নিয়ে। নীল খামে, প্রিয়তম চিঠি। চিঠির ভাঁজে অতি যত্নে রাখা থাকত শুকনো সুবাসিত ফুলের পাপড়ি। চিঠি আসত গোলাপ, বেলি বা বকুল ফুলের সুবাস নিয়ে। দুরুদুরু বুকে ডাকপিয়নের পথ চেয়ে বসে থাকা, কম্পিত হাতে খামটি হাতে নেওয়া, নিশ্বাস বন্ধ করে প্রতিটি লাইন বারবার পড়া, ভালোবাসার সেই শব্দমালা। পাশের বাড়ির, গলির ধারের মিষ্টি মেয়েটিকে বা সদ্য বিয়ে করা বাড়িতে ফেলে আসা নতুন বধূটিকে জানাতে হবে ভালোবাসার কথা। তোমার মুচকি হাসির জন্য আমি গোটা পৃথিবী দিয়ে দেব। তোমার চুলের অরণ্যে আমি হারিয়ে যাব। তুমি আমার সানশাইন। তুমি আমার বর্ষার রিমঝিম। তুমি আমার পূর্ণিমা রাত। তরুণ বয়সের সেই সব আবোলতাবোল, পাগল পারা কত শত চিঠি। সেই সব চিঠি লুকিয়ে রাখা হতো বইয়ের ভাঁজে, গোলাপের পাপড়িতে ঠাসা সুবাসিত জুতার বাক্সে, অথবা বুকের ভেতর লোনা গন্ধ মাখা জামার ভাঁজে। কিছু চিঠি আজীবন পরম যত্নে বেঁচে থাকত। হয়তো এখনো আছে। আর লুকিয়ে রাখা কিছু গোপন চিঠি কখনো মুক্তি পেত নদীর জলে, কখনো আগুনের শিখায়, কখনোবা টুকরো টুকরো হয়ে বাতাসে উড়ে যেত চোখের জলে।
আরও আসত বাবার লেখা আদর আর ভালোবাসায় ঠাসা বাদামি পোস্টকার্ডের চিঠি। ‘স্নেহের খোকা, পত্রে আমার দোয়া নিয়ো। আশা করি আল্লার কৃপায় সুস্থ আছ। পর সমাচার এই যে, আমাদের গরুটির নতুন বাচ্চা হয়েছে, তোমার মা সেই দুধ মুখে তুলতে পারে না, তোমার কথা মনে হলেই তার চোখ জলে ভরে যায়। সত্ত্বর বাড়ি আসার চেষ্টা করিও। আশীর্বাদক তোমার বাবা।’ সেই সব চিঠির আবেদনও কম ছিল না।
আমাদের কবি সাহিত্যিকরাও তাদের গল্প আর কবিতায় চিঠিকে দিয়েছেন অনেক আবেগী রূপ। শঙ্খনীল কারাগার উপন্যাসের ছোট ভাই খোকাকে লেখা রাবেয়ার দীর্ঘ করুন চিঠি, মৃত্যুক্ষুধার আনসারকে লেখা রুবির আবেগময় চিঠি, ডিয়ার জনকে লেখা সাভানার ‘গুড বাই’ চিঠি, শেষের কবিতার লাবণ্যকে লেখা অমিত রায়ের কবিতার চিঠি পাঠকের হৃদয়ে গভীর দাগ কেটে গেছে। কালজয়ী হয়ে আছে এমন শত শত প্রেমিক–প্রেমিকার পত্রাবলি। ইন্দিরা দেবী বা প্রিয় বিবিকে লেখা রবিঠাকুরের অজস্র চিঠি ছিন্নপত্র নামে সাহিত্যের পাতায় অমূল্য হয়ে আছে। কাদম্বরী দেবী প্রিয় সখা রবির বিচ্ছেদ বেদনায়, অপেক্ষার কষ্টে আর অবহেলার অপমানে বিষ খেলেন। মৃত্যুর আগে কৈশোর আর যৌবনের সেই প্রিয় সখা রবিকে একটা শেষ চিঠি লেখার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেছিলেন তিনি। হয়তো লিখেও ছিলেন জীবনের শেষ চিঠিটি। যা অগোচরেই হারিয়ে গেছে!
আজকের এই কম্পিউটার যুগের আধুনিক মানুষেরা চিঠির অপেক্ষার সেই আনন্দ না পাওয়া থেকে বঞ্চিত। সত্যি বলতে কি, বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে প্রচুর, আবার কেড়েও নিয়েছে অনেক। এক জোড়া জলভরা চোখের টেলিগ্রাম আর মুচকি হাসির টেক্সট মেসেজ জীবনে কি পরিমাণ ঝড় তুলত, হৃদয়কে কী প্রবল প্রেমের বন্যায় ভাসিয়ে নিত, এখনকার মানুষের সাধ্য কী তা বোঝার! এখন তো জীবন মানেই ছুটে চলা। তাকিয়ে দেখার, অনুভব করার মতো ফুরসত কোথায় তাদের?
আমাদের চোখ, কান, মন, মাথা এখন সদা ব্যস্ত। হাত বাড়ালেই ল্যান্ডফোন, সেলফোন, কম্পিউটার, টেলিভিশন। ইমেইল, মেসেঞ্জার, ভাইবার, ফেসবুক, স্কাইপ আর ফেসটাইম। মুখোমুখি বসে কথা বলা আর মুহূর্তেই চিঠি বা খবর পাঠানোর কী দারুণ সব সুযোগ। পৃথিবী এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। চাঁদ, তারা, ফুল, পাখিরা এখন আর আমাদের মন ভোলায় না। আর কাগুজে চিঠি? কাগজ কলম দিয়ে লেখার সময় কোথায় ভাই?
তবুও হয়তো পুরোনো সেই হলদে হয়ে যাওয়া বিবর্ণ চিঠি বা পোস্টকার্ড আজও কারও কারও শাড়ির ভাঁজে, আলমারির ড্রয়ারে বা জুতোর বাক্সে পুরোনো ছবির সঙ্গে সযত্নে রাখা আছে। আজও মাঝে মাঝে কোন বিশেষ দিনে, নির্জন দুপুরে, ঘন বর্ষায় বা নির্ঘুম রাতে চিঠিগুলো বের করে হাত বুলাতে ইচ্ছে করে। ঘ্রাণ নিতে বা পড়তে গিয়ে বুক ভার হয়ে আসে, চোখের কোণ ভিজে যায়!
আহা চিঠি! সুবাসিত কাগজে প্রিয়তম চিঠি। আমরা কী পারি না একটু সচেতন হয়ে, আদর করে, ভালোবাসা দিয়ে একে আজন্ম কাল বাঁচিয়ে রাখতে?
এবার আসি গোপন ডায়েরির কথায়। আমাদের যুগে গোপনে দুপাতা ডায়েরি লেখেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। ছোটবেলায় কত কী স্বপ্ন দেখতাম। না, না ঘুমের ঘোরের স্বপ্ন নয়। দিবা স্বপ্ন। আমি এই হব, ওই হব। আমার কেমন খ্যাতি হবে। নাম ডাক হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। এসব তেমন গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় না। পৃথিবীর তাবৎ আমজনতা ছোটবেলা থেকেই এসব স্বপ্ন দেখে এবং এসব স্বপ্নের কথা, ভালোবাসার কথা, প্রিয় মানুষ বা প্রিয় মুহূর্তের কথা আমরা অনেকেই আমাদের গোপন ডায়েরিতে লিখে রাখতাম।
আজকাল এসব স্বপ্ন এবং স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য কাগুজে চিঠির মতো কাগুজে ডায়েরিরও প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে। আজকাল ক্লিক করলেই ছবি উঠে যায়। সুতরাং স্মৃতি ধরে রাখার জন্য বা গোপন নামটি লিখে রাখার জন্য ডায়েরি লেখার দিন আর নেই। এখন ডায়েরির জায়গা করে নিয়েছে ফেসবুকের ওয়াল। মার্ক জাকারবার্গ ফেসবুক আবিষ্কার করে আমাদের সবার জন্যই ঢালাওভাবে বিশাল সুযোগ এনে দিয়েছেন। এখন ফেসবুকে নিজের টাইমলাইনে যার যত খুশি প্যাঁচাল পাড়তে পারে। নিষেধ করার কেউ নেই। বাধা দেওয়ারও কেউ নেই। তোমার শুনতে ইচ্ছা করলে শোন, পড়তে ইচ্ছা করলে পড়, নইলে এড়িয়ে যাও। আমার দেয়ালে আমি লিখব। আমার উঠোনে বসে আমি গলা ছেড়ে গান গাইব। তোমার ভালো না লাগলে কানে তুলা দাও, চোখ অন্য দিকে ঘুরাও।
আমাদের মতো অসফল আমজনতার গল্প কেইবা শুনতে চাইবে? তবে এখন আমরা অসংকোচে, আইনিভাবেই অনেকের ফেসবুক দেয়ালের লেখাগুলে পড়ি। এভাবেই এখানে অনেক গোপন প্রতিভার প্রকাশ ঘটে। অনেকেই দৌড়ঝাঁপ ছাড়াই সেলিব্রেটি বা ফেসবুক তারকা হয়ে ওঠেন। এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞান আমাদের জন্য আশীর্বাদ হিসেবেই কাজ করছে। অনেক দিন ধরেই লক্ষ্য করছি, অনেক ফেসবুক সেলিব্রেটি তাদের দেয়ালে প্রতিদিনের রোজনামচা লিখতে শুরু করেছেন। যারা সেলিব্রেটি পর্যায়ের না, তারাও দুই চার লাইন লিখে মনের আনন্দ, ক্ষোভ বা কষ্ট প্রকাশ করেন। আজ আকাশে সুন্দর চাঁদ উঠেছে, তাই তাদের জোছনা খেতে মন চাইছে। ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে, তাই বৃষ্টিতে ভিজতে মন চাইছে। কারও হিমু হতে মন চায়। কারও বা মিসির আলী হতে মন চায়। কেউ লিখেন, জীবন ত্যানা ত্যানা হয়ে গেছে, আর বেঁচে থেকে কি লাভ? আবার কেউ কেউ তাদের জীবনের সাফল্য বা ব্যর্থতার গল্প লেখেন। পড়ে মন খারাপ হয়, আবার মন ভালোও হয়ে যায়। আমার পরিচিত কয়েকজন ফেসবুক বন্ধু আছেন, যারা রীতিমতো বিখ্যাত। তারা তাদের পোড় খাওয়া অতীতের গল্প অবলীলায় লিখে যাচ্ছেন। সবার সঙ্গে শেয়ার করছেন। ভাঙা সংসার, নতুন সংসার, সাবেক আর বর্তমানের গল্পও লিখছেন সাবলীলভাবে। আমি তাদের স্যালুট জানাই। কারণ তাদের সত্যকে স্বীকার করার মতো সাহস আছে। মনের জোর আছে। তাদের এই ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প আর দশজনকে অনুপ্রাণিত করে, শিক্ষা দেয়। ভুল না করার শিক্ষা, ভুল থেকে বেরিয়ে আসার শিক্ষা।
আমাদের মধ্যে অতি ভাগ্যবান কারও কারও স্বপ্ন ফলে–টলে যায়। তাঁরাই একসময় স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তাদের ফেলে আসা দিনগুলোর দুঃখ–কষ্ট, আনন্দ–বেদনার নানা গল্প বলে। টেলিভিশনে, মঞ্চে, খবরের কাগজে এসব বিশেষ মানুষের বিশেষ বিশেষ সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। হাসি হাসি মুখের সেসব সফল মানুষের ফেলে আসা দুঃখের গল্পগুলোও শুনতে কেমন যেন সুখ সুখ লাগে তখন। যে বলে সেও মনের আনন্দেই সেই গল্প বলে। সাফল্য তার মনে এক ধরনের আত্মবিশ্বাস, আত্মতৃপ্তি এনে দেয়।
আমাকে ওপর থেকে যতটা শক্ত বা সাহসী মনে হয়, বাস্তবে আমি তত সাহসী নই। আমি মানুষ হিসেবে খুবই স্পর্শকাতর। মানুষের শক্ত কথা, বাজে কথা আমাকে ভেতরে-ভেতরে ভেঙে দেয়। কিন্তু আমি ওপরে এমন কঠিন একটা ভাব ধরি যেন এসব, ‘পাছে লোকে কিছু বলে’ ধরনের কথা আমি থোড়াই কেয়ার করি। সাধারণত এ কারণে আমি নিজের সম্পর্কে খোলামেলা কথা খুব কমই বলি।
আগের দিনে যখন ফেসবুক হয়নি, তখন ডায়েরি লেখার যেমন চল ছিল, এখনো অনেকেই নিশ্চয়ই লেখে। যারা আমার মতো তাদের ব্যক্তিগত কথা প্রকাশ করতে চান না। কিন্তু মনের কথাগুলো, স্মরণীয় স্মৃতিগুলো লিখে রাখতে চান, তার হয়তো আজও অল্পবিস্তর ডায়েরি লেখেন। পুরোনো মলাটের যে ডায়েরিটি হাতে নিলে মন উচাটন হবে। পুরোনো সুখ–দুঃখের দিনগুলোকে হাত বুলিয়ে স্পর্শ করা যাবে।
আমি প্রায়ই ভাবি, পুরোনো দিনগুলোতো আর ফিরে আসবে না। নতুনের জোয়ারে ভেসে গেলেই বা মন্দ কী? ফেসবুকের দেয়ালের রোজনামচাগুলোও কম আবেদনময় নয়। কত মানুষের প্রতিদিনের বেঁচে থাকার লড়াই, প্রিয়জনদের কথা, নিজের কাজকর্ম, নতুন নতুন মানুষকে জানা, নতুন জায়গা দেখা, এসব গল্পগুলো পড়ে আমরা জানতে পারছি নানাজনের নানা রঙের দিনগুলির গল্প।
তবু এসবের মধ্যে, এত উঁচু লয়ে প্রবহমান জীবনের মধ্যে আসুন না আমরা খুব প্রিয় মানুষগুলোকে দু-একটা কাগজের চিঠি লিখে চমকে দিই। স্মরণীয় হয়ে থাক কিছু চিঠি, যা আপনার অবর্তমানে একদিন সে ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখবে। ড্রয়ার হতে খুলে পাতা উল্টিয়ে আপনার লেখা ডায়েরিটি স্পর্শ করে আপনাকে অনুভব করবে কাছের মানুষেরা। কিছু কিছু জিনিসের জন্য আমরা না হয় অতীতেই ফিরে যাই, প্রযুক্তিকে বুড়ো আঙুল দেখাই!