নির্বাচনী উন্মাদনা ও আমরা প্রবাসীরা

সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের সবারই চোখ এখন বাংলাদেশি নিউজ চ্যানেলগুলোতে। সেসব দেশের স্থানীয় বাংলা সংবাদপত্রগুলোও বসে নেই। তারাও নির্বাচনের নানা খবরাখবর পরিবেশন করছে তাদের প্রতিবেদন ও জনপ্রিয় কলামগুলোতে। দারুণ উত্তেজনা, শঙ্কা ও উৎকণ্ঠা নিয়েই আমরা প্রবাসীরা চোখ রাখছি দেশের চলমান নির্বাচন প্রক্রিয়া, ধরন, নির্বাচন কমিশনের আচরণ, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর প্রার্থী মনোনয়ন ও তাদের প্রচার অভিযানের দিকে। দেশবাসীরা অবশ্য প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচনের এই ডামাডোল, মিছিল-মিটিং, ধর-পাকড়, পক্ষপাতমূলক আচরণসহ আসন্ন নির্বাচনের আমেজ ভালোভাবেই অনুভব করছেন। তবে নির্ধারিত তারিখটি যতই ঘনিয়ে আসছে দেশবাসীসহ আমাদেরও উৎকণ্ঠা ততই বাড়ছে।
কথা হলো একটি গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন হবে, সেখানে জনমনে উৎসাহের পরিবর্তে এত উৎকণ্ঠা কেন? কেন নানা রকম ভয় বা আতঙ্ক কাজ করছে? এই প্রজন্মের প্রবাসী তরুণদের এবং আমেরিকায় বেড়ে ওঠা নিজের সন্তানদের করা এই প্রশ্নগুলো আমাকে, হয়তো আমার মতো আরও বাবা-মাকেও বিব্রত করে। আমাদের দেশের গণতন্ত্রের চর্চা, সরকার ব্যবস্থা, নির্বাচন ও নির্বাচনে প্রার্থীর যোগ্যতা নিয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে বা দেশের রাজনৈতিক নৈরাজ্যের কারণ ব্যাখ্যা করতেও দুর্ভাবনা হয়। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও আমাদের দেশটি এখনো একটি স্বচ্ছ, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হিমশিম খাচ্ছে। একটি সফল নির্বাচন পদ্ধতি তৈরি করা আজও সম্ভব হয়নি। স্বয়ং আমাদের জাতির পিতা, আমাদের দেশের সংবিধান রচয়িতারা, বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতারা, প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রীরা কোনো শক্ত, অনড়, কার্যকরী নির্বাচন পদ্ধতি তৈরি করতে পারেননি, ব্যাপারটা আমাদের জন্য দুঃখ ও হতাশাজনক।
দেশের বাইরে বসবাসের কারণে আমরা সরাসরি এই ভোটযুদ্ধে অংশ নিতে পারছি না। ভোটের উত্তাপ সরাসরি আমাদের গায়ে লাগছে না। কিন্তু নিজের শেকড়ের টানেই দেশের কোনো ব্যাপারকেই আমরা উপেক্ষা করতে পারি না। যেমন পারে না আমাদের নতুন প্রজন্মও। বিদেশে জন্ম নেওয়া বা বড় হয়ে ওঠা ছেলেমেয়েদের সংগত কারণেই আমাদের পরিচিত করে তুলতে হয় নিজস্ব সংস্কৃতি, সমাজব্যবস্থা, জাতীয়তাবোধ, দেশের রাজনীতি বা সরকার ব্যবস্থা সম্পর্কে। কারণ এসবের মধ্য দিয়েই তারা চিনতে বা জানতে পারবে নিজেদের দেশকে, নিজের শেকড়কে।
আমার জীবনসঙ্গীর অবসরজীবনের বেশির ভাগ সময় কাটে তার হাঁটাহাঁটি গ্রুপের দেশীয় সঙ্গীদের সঙ্গে দেশের কথা আলোচনা করেই। যতক্ষণ সে বাসায় থাকে, তার চোখ আর রিমোট ঘুরে বেড়ায় দেশীয় চ্যানেলগুলোতে। দেশের খবরাখবরগুলো জানা আর ক্রিকেট খেলা দেখা; এই তার নিত্যদিনের রুটিন। যেহেতু আমি নিজে বাংলায় লেখালেখি করি এবং বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংবাদপত্র প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা সংস্করণের একজন নিয়মিত লেখক, তাই আমাদের ঘরে বাংলা ভাষায় কথা বলা, বাংলা সাহিত্যচর্চা অক্সিজেন গ্রহণের মতোই একটি ব্যাপার। আমাদের মধ্য দিয়ে এভাবেই আমাদের দুই ছেলেও প্রতিদিন একটু একটু করে দেশকে চিনতে শিখেছে। দেশের সম্পর্কে তাদের জানার আগ্রহ তৈরি হয়েছে। আমাদের মতো করে তারাও তাদের মাতৃভূমিকে ভালোবাসে।
বলার অপেক্ষা রাখে না যে, আমার পরিবারের মতো আরও সব প্রবাসী বাংলাদেশিরা একই মানসিকতা নিয়ে তাদের সন্তানদের গড়ে তুলছেন। উন্নত ও অবাধ বাক্‌স্বাধীনতার দেশের নাগরিক হিসেবে এই সব ছেলেমেয়েও নিজস্ব মতামত প্রকাশে স্বাধীন ও খোলামেলা মানসিকতা নিয়েই বড় হয়ে উঠছে। আশার কথা হলো এসব প্রবাসী তরুণের মতো দেশীয় তরুণ প্রজন্মেরও চোখ-কান খোলা। তারা কাছের-দূরের, ভালো-মন্দ, সত্য-মিথ্যা সবকিছু যাচাই-বাছাই করার ক্ষমতা রাখে। ভালোকে ভালো বলার, মন্দকে মন্দ বলার সৎসাহস রাখে। স্বজনপ্রীতি, তোষামোদের শিক্ষা তারা পায়নি। সেই প্রমাণই আমরা পেয়েছি দেশের ছাত্রসমাজের ‘কোটা আন্দোলন’ ও ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। 
দেশে বা বিদেশে বড় হওয়া এই তরুণ প্রজন্মের কাছে আমরা পূর্বসূরিরা দেশকে ভালোবাসার, দক্ষ হাতে দেশ পরিচালনার, দেশের জন্য সম্পন্ন একটি সংবিধান রচনা করা, কার্যকরী আইন-কানুন, নিয়ম-নীতি তৈরি করে অনুসরণীয় কোন দৃষ্টান্ত রেখে যেতে পারছি না। বরং নানা কারণে প্রশ্নবিদ্ধ কাজ করে দেশ ও জাতিকে হেয় করছি। তরুণ প্রজন্মের কাছে এমন কোন ভালো ও শক্ত দৃষ্টান্ত আমরা রাখতে পারিনি, যা অনুসরণ করে তারা দেশকে এগিয়ে নিতে পারবে। আমাদের সরকারগুলোর লাগাতার ব্যর্থতার কারণেই স্বাধীনতার এত বছর পরও স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্র মেরামতের কাজে রাস্তায় নামতে হয়।
১৯৭১ সালে পুনর্জন্ম নেওয়া আমাদের এই দেশের বয়স তো কম হলো না। এখন তাকে আর শিশু-রাষ্ট্র বলার কোনো সুযোগ নেই। ‘পুনর্জন্ম’ বলার কারণ হলো, ১৯৪৭ সালেও দেশটি ছিল অখণ্ড ভারতের একটি অংশ। তখন দেশটির নাম ছিল, পূর্ববঙ্গ বা পূর্ববাংলা। এর পর মুসলিম লীগ বা মুহম্মদ আলী জিন্নাহর অদূরদর্শী রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে দেশটির নাম হলো পূর্ব পাকিস্তান। আমরা গেলাম ‘বড় ভাইয়ের’ ছায়াতলে। সেখানে দাদাগিরির যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আমাদের বেরিয়ে আসতে হলো। জন্ম হলো বাংলাদেশের। স্বজনপ্রীতি, ক্ষমতার লড়াই, ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে আমরা নিজেরা কখনোই নিজেদের শক্তপোক্ত করে গড়ে তুলতে পারিনি। ভাইয়ের ছায়া থেকে বেরিয়ে এসে আমরা পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা মায়ের ছায়াও এড়াতে পারছি না। বড় গাছের ছায়ার নিচে ছোট গাছ সবল হয়ে বেড়ে উঠতে পারে না; তার প্রমাণ আমাদের এই দুর্বল দেশটি।
পশ্চিমা দেশগুলোর আগ্রাসন নিয়ে আমরা বাংলাদেশিরা মুক্তকণ্ঠে প্রচুর সমালোচনা করি। কিন্তু আমরা নিজেদের ভুলত্রুটি থেকে শিক্ষা নিতে পারি না। ওদের ভালো দিকটা থেকে শেখার কোনো চেষ্টা করতেও আমাদের প্রচণ্ড অনীহা কাজ করে। ওরা আর যাই করুক নিজের ঘর সামলাতে জানে। নিজের দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই ওরা অন্য দেশে গিয়ে মোড়লি করে। অথচ আমরা নিজের ঘরেই আগুন জ্বালিয়ে সেখানে মনের সুখে আলু পুড়িয়ে খাই। আমরা বাঙালিরা আর কবে মানুষ হব? আরও কত শত বছর লাগবে আমাদের শিক্ষা হতে?
বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ বলে আমরা জোর গলায় দাবি করি। অথচ গণতন্ত্রের চর্চা কীভাবে করতে হয়, তা-ই আমরা আজও শিখিনি। সারা বিশ্বে গণতন্ত্র দুটি পদ্ধতিগত ব্যবস্থায় চলে আসছে। একটি হলো পার্লামেন্টারি ফর্ম অব গভর্নমেন্ট। এতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী। যেমন-যুক্তরাজ্য। এই যুক্তরাজ্যকে গণতন্ত্রের সূতিকাগারও বলা হয়। অন্যটি হলো প্রেসিডেনশিয়াল ব্যবস্থা। এতে প্রেসিডেন্ট থাকেন নির্বাহী ক্ষমতার শীর্ষে; যেমন- আমেরিকা।
আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর মানুষদের একজন বলে গণ্য করা হয়। কিন্তু কীভাবে নির্বাচিত হন এই ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট? পদ্ধতিটি নিশ্চয়ই নিরপেক্ষ হওয়া জরুরি ছিল। কারণ আমেরিকার সরকার ব্যবস্থায় প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা অনেক। তিনি একই সঙ্গে দেশটির সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্বাহী বিভাগের প্রধান ও সামরিক বাহিনীর কমান্ডার ইন-চিফ। কংগ্রেসের যেকোনো আইনকে অনুমোদন ও বাতিল করার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর হাতে। মন্ত্রিসভা গঠন, উপদেষ্টা নিয়োগ, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ও রাষ্ট্রদূত নিয়োগে তাঁর রয়েছে একচ্ছত্র ক্ষমতা। এমন ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পদ্ধতিটিও তাই খুবই জটিল। আমেরিকার সংবিধান রচয়িতারা মনে করেছিলেন এত গুরুত্বপূর্ণ পদে কেউ সরাসরিভাবে নির্বাচিত হলে দেশ ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। অর্থাৎ কোনো অযোগ্য ব্যক্তি নির্বাচিত হয়ে যেতে পারেন। তাই নির্বাচিত যোগ্য ও দায়িত্বশীল প্রতিনিধিরা যাচাই-বাছাই করে তবেই তাদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন।
গণতান্ত্রিক দেশ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় প্রতি চার বছরে একবার। প্রেসিডেন্টের মেয়াদকালও চার বছর। নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার ধার্য করা আছে নির্বাচনের দিন। তাই যুগ যুগ ধরে একটুও নড়চড় হয় না নির্বাচনের এই নির্ধারিত দিনক্ষণ। আগের প্রেসিডেন্টের মেয়াদ চলাকালেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যবস্থা নেই এখানে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রয়েছে বেশ কয়েকটি ধাপ। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে প্রথমে দলীয় মনোনয়ন জিতে নিতে হয় প্রার্থীকে। আর এই মনোনয়ন পেতেও প্রচার চালাতে হয় তাদের। দলের প্রার্থী চূড়ান্ত করার পদ্ধতিতে তেমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। সাধারণত কনভেনশনের মাধ্যমেই দলগুলো তাদের প্রার্থী নির্ধারণ করে থাকে। প্রথমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে ইচ্ছুক প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়নের জন্য নিজেদের প্রার্থিতা ঘোষণা করেন। আর কেউই দুই মেয়াদের বেশি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। অর্থাৎ বারাক ওবামা কিংবা বিল ক্লিনটন যতই জনপ্রিয় হোক, কেউই আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার যোগ্য নন। মূলত আমেরিকার স্থপতি ও প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেই এই আইনটি করা হয়েছিল। তিনি পরপর দুবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ইচ্ছে করেই তৃতীয়বার প্রেসিডেন্ট পদে আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। ভোটের দিন কোনো সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয় না। তাই নাগরিকদের নিজ দায়িত্বে সময় বের করে ভোট দিয়ে আসতে হয়।
আমেরিকা দেশটি গোটা বিশ্বের কাছে প্রকৃত গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে স্বীকৃত। এই দেশটি গণতন্ত্রের পুরোধা, ঐতিহ্যের প্রতীক। জনগণ ও গণতন্ত্রের প্রতি পূর্ণ সম্মান রেখে একটা কার্যকর রাষ্ট্রব্যবস্থার মধ্য দিয়ে দেশটা চলে। একটি অতি সুপরিকল্পিত নির্বাচনের মাধ্যমে এখানকার জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হয়। এ দেশের নাগরিকেরা সংবিধানের খাতিরে তা মেনেও চলে।
বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু শুরুতেই নির্বাচন কমিশন তার নিরপেক্ষতা ও পক্ষপাতহীন অবস্থান প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই নির্বাচনটা অতীতের অন্য সব নির্বাচনের চেয়ে ভিন্ন হবে এটাই জনসাধারণের প্রত্যাশা। হতাশার কথা হলো, আজও আমাদের দেশের নেতারা জনগণকে বা ভোটারদের মূল্যায়ন করতে শেখেননি। তাঁরা মনে করেন ভোটার বা জনগণ রাজনীতি বোঝে না। নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে দেশের ও রাজনৈতিক নেতাদের জন্যও তা ক্ষতিকর হবে। এই ক্ষতি আমাদের সবার জন্যই অনাকাঙ্ক্ষিত। তাই একটি অবাধ, পক্ষপাতহীন ও সবার জন্য অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক—দেশ ও বিদেশের সবার এটাই প্রত্যাশা।
আমেরিকা নামক দেশটিতে বসবাস করার সুবাদে এই দেশটির সমাজব্যবস্থা, সরকার, নির্বাচন পদ্ধতি, আইন-কানুন দেখে ভালোকে ভালো, মন্দকে মন্দ হিসেবে বোঝার সাধারণ জ্ঞান থেকেই আমার এই নির্বাচন সচেতনতা। অন্য সবার মতো আমাদের প্রবাসীদের মনেও এই আসন্ন নির্বাচন নিয়ে নানা রকম সংশয় হচ্ছে। নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়েও মনে নানা প্রশ্ন দানা বাঁধছে। যেমন— নির্বাচন কমিশনের আচরণ কি পক্ষপাতমুক্ত? অংশগ্রহণমূলক হলেও নির্বাচন আদৌ অবাধ হবে কি? দেশের জন্য কিছু ত্যাগ ও ক্ষমতার লোভ সামলানোর শিক্ষা আমাদের নেতাদের আদৌ কখনো হবে কি? সময়ই আমাদের এই প্রশ্নগুলোর উত্তর বলে দেবে। এখন শুধু দেখা আর অপেক্ষার পালা!