আবাসন খাতে দেখেশুনে বিনিয়োগ করা উচিত

আমেরিকার নিউইয়র্কে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকেই আবাসন খাতে বিনিয়োগ করেন। এই বিনিয়োগ একই সঙ্গে আকর্ষণীয় মুনাফার সম্ভাবনা ও লোকসানের ঝুঁকি নিয়ে আসে। ঝুঁকি এড়িয়ে বিনিয়োগকে লাভজনক করতে হলে সতর্কতা অবলম্বন জরুরি।
আবাসন খাতে সাধারণত দুই ধরনের বিনিয়োগ হয়ে থাকে। প্রথমটি হচ্ছে ফ্লিপিং ব্যবসা। এ ক্ষেত্রে মেরামত জরুরি এমন বাড়ি কিনে তা সংস্কারের পর অন্য কারও কাছে ভালো দামে বিক্রি করাটাই ফ্লিপিং ব্যবসা হিসেবে পরিচিত। মেরামত করতে হবে এমন বাড়ি প্রায়ই ভালো দামে পাওয়া যায়। তবে এ ধরনের বাড়ি কেনার সময় সতর্ক থাকাটা জরুরি। না হলে সংস্কারে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হতে পারে, যা লোকসানের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে কম দামে বাড়ি কিনতে পারাটাই এ ব্যবসার মূল বিষয়। টুকিটাকি নির্মাণকাজ, বিভিন্ন ইউটিলিটি লাইন সংস্কার ইত্যাদি কাজে নিজের কিছুটা আইডিয়া থাকলে এ ব্যবসায় সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। মনে রাখতে হবে বাড়ি কেনার সময়ই এর প্রকৃত অবস্থা বিবেচনা করে লাভ করতে হবে। কেনায় লাভ না হলে, বিক্রি করে লাভের আশার গুড়ে বালি। অর্থাৎ বাড়ির বাজারদর, সংস্কারে সম্ভাব্য ব্যয়, সংস্কার পরবর্তী সম্ভাব্য মূল্য ইত্যাদি কেনার সময়ই বিবেচনা করতে হবে। নতুন উদ্যোক্তারা এ ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত কোনো সনদধারী আবাসন এজেন্টের পরামর্শ নিয়ে বিনিয়োগ করলে ভালো ফল পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আবাসন খাতের দ্বিতীয় ব্যবসাটি হচ্ছে রেন্টাল ব্যবসা। বাড়ি কিনে ভাড়া দিয়ে আয় করাটাই এই বিনিয়োগের মূল কথা। এই বিনিয়োগের মূল সমস্যা হচ্ছে ভালো ভাড়াটিয়া না পাওয়া। এই ঝুঁকি এড়াতে ভাড়া দেওয়ার আগেই ভাড়াটিয়ার ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করা খুবই জরুরি। বিশেষত আয়ের উৎস ও এ সম্পর্কিত প্রমাণপত্র অবশ্যই দেখে নেওয়া উচিত। এ ব্যবসায় নতুন হলে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীর উচিত প্রোপার্টি ম্যানেজার নিয়োগ করা।
ফ্লিপিং হোক বা ভাড়া দিয়েই হোক, আবাসন ব্যবসায় সফলতা পেতে হলে ক্রেডিট লাইন ভালো থাকা জরুরি। ক্রেডিট ভালো ও ডব্লিউ-২ (ট্যাক্সযোগ্য আয়) ইনকাম থাকলে এবং এর সঙ্গে সঠিকভাবে শ্রম দিতে পারলে এই ব্যবসায় সফলতা আসতে পারে। তবে ঝুঁকির বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।