মেরিল্যান্ডে ইস্টার সানডে উদ্যাপন

নৃত্য পরিবেশনা
নৃত্য পরিবেশনা

৫ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে বসবাসরত বাংলাদেশি খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা মহান যিশুখ্রিষ্টের পুনরুথান দিবস বা ইস্টার সানডে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় পালন করেছেন। মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দারা ইস্টার পর্বের ৪০ দিন আগে থেকেই তাঁদের কার্যক্রম শুরু করেন। এর মধ্যে ছিল পাড়ায় পাড়ায় ক্রুশের পথ, রোজা ও সান্ধ্য প্রার্থনা।
ওই দিন সকাল ১০টায় পবিত্র খ্রিষ্টযাগ অর্পণ করেন সাপ্তাহিক প্রতিবেশীর সাবেক সম্পাদক ফাদার সুব্রত বনিফাস টলেন্টিনু, সিএসসি। সিলভার প্রিং শহরের সেন্ট ক্যামিলাস কাথলিক গির্জার সেন্ট ক্যামিলাস হলে অনুষ্ঠিত এই খ্রিষ্টযাগে সহস্রাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল বাংলা খ্রিষ্টযাগ পরিচালনা কমিটি। ফাদার সুব্রত তাঁর উপদেশে সারা বিশ্বের শান্তি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করেন। তিনি সব জাতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে যিশুর বাণী সবার অন্তরে পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানান।
খ্রিষ্টযাগ শেষে সবাই একে অপরের সঙ্গে মনোমালিন্য ভুলে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এই সময় ছোটরা বড়দের বিশেষ আশীর্বাদ গ্রহণ করে। অঙ্গরাজ্যের বাইরে থেকে এসেও অনেকে পবিত্র খ্রিষ্টযাগে অংশগ্রহণ করেন।

সংগীত পরিবেশনা
সংগীত পরিবেশনা


এ পর্বের আয়োজনে ছিল দই-মিষ্টি-মুড়িসহ নানা বাংলা খাবারের সমারোহ। সবার বাড়িতে ছিল বিশেষ বাংলা খাবারের আয়োজন। ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবাই একাত্ম হয়ে ইস্টার পর্বে শামিল হয়ে সম্প্রীতির বন্ধনের ভালবাসা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের অনুষ্ঠান: মেরিল্যান্ডের অন্যতম সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশন প্রতিবারের মতো এবারও ইস্টার পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্থানীয় আর নিক্স এলিমেন্টারি স্কুল অডিটোরিয়ামে। প্রায় ৩০০ মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানে ছিল নাচ-গান-কবিতা-নাটকসহ নানা আয়োজন। সংগঠনের সভাপতি মাইকেল খোকন রোজারিওয়ের স্বাগতিক ভাষণের পর অনুষ্ঠান শুরু হয়। শুরুতে জাতিয় সংগীত পরিবেশন করেন সংগঠনের নিয়মিত শিল্পীরা। সোনিয়া কস্তা-রে গমেজ, সুমিত কলিন্স ও আইভেনের সাবলীল উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে এক বৈচিত্র৵ময়তা তৈরি হয়।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

নাচে অংশ নেন মঞ্জুরী নৃত্যালয়ের পিটার, রিতি ও মনিষা। নৃত্য পরিচালনা করেন গ্লোরিয়া শিল্পী রোজারীও। সৃষ্টি নৃত্যাঙ্গনের চৈতি, এঞ্জেলিনা, মেঘা উপহার দেন বিশেষ নাচ। পরিচালনায় ছিলেন রোজ মেরী মিতু গনছালভেস। জেরিন ও জয়িতার নাচ দর্শকের মন জয় করে নেয়। নাচে আরও অংশ নেন সুকন্যা, এলিনা, রিয়া, এঞ্জেল, প্রিয়না, সিনথিয়া, শ্রুতি ও রেইন।
অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন ঐশী মুরমু ও অর্চি ব্যান্ডেল। ইস্টারের বিশেষ নাটকে অংশ নেয় জেসিকা-মারিও-নিক্সন-বিভাস-ডেরিক ও রাখী রোজারিও। আরবফেরত দুই যুবকের কাহিনি নিয়ে নির্মিত নাটকে ছিল হাস্য-কৌতুকে ভরপুর। মারীও-নিক্সনের পরিকল্পনায় নাটকটি দর্শকদের মাতিয়ে রাখে।
আয়োজনের মঞ্চ পরিকল্পনায় ছিলেন বিপুল এলিট গনছালভেস। মঞ্চসজ্জায়-ডেনিস-রাখী-সিনথিয়া-ডলি রড্রিক্স- নিয়তী। সাউন্ড সিস্টেমে ছিলেন স্টালিন লাহিড়ী। শেষে ছিল লটারি পর্ব।