অনেক ভালোর সঙ্গে প্রথম আলো

প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা সংস্করণের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত বন্ধু সমাবেশে আমন্ত্রিত অতিথিরা। ছবি: আম্বিয়া অন্তরা
প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা সংস্করণের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত বন্ধু সমাবেশে আমন্ত্রিত অতিথিরা। ছবি: আম্বিয়া অন্তরা

প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা সংস্করণের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বন্ধু সমাবেশ হয়েছে। এতে পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীরা তাঁদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। 

১৯ মে প্রবাসী বহুল নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের বেলাজিনো কনভেনশন সেন্টারে এই বন্ধু সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। নগরীর নানা প্রান্ত থেকে যেমন এসেছিলেন তেমনি আমন্ত্রিত অতিথিরা এসেছিলেন নিউইয়র্কের বাইরে থেকেও। দেশ থেকে বেড়াতে এসেও কেউ কেউ যোগ দিয়েছেন। এঁদের মধ্যে ছিলেন জনপ্রিয় আলোকচিত্রী নাসির আলী মামুন ও মকবুল চৌধুরী।

প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা সংস্করণের দুই বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কমিউনিটির নানা পর্যায়ের মানুষ। জমজমাট বন্ধু সমাবেশে উপস্থিত অতিথিদের সঙ্গে কুশল ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান।

আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে কয়েকজন মূলধারার রাজনীতিক, সংস্কৃতিকর্মী, সাংবাদিক, নাট্য ব্যক্তিত্বসহ পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীরা প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা নিয়ে জানিয়েছেন তাঁদের মূল্যবান মতামত।

নিউইয়র্ক ড্রামা সার্কেলের প্রেসিডেন্ট ও নিউইয়র্ক ফোবানা কনভেনশন ২০১৯-এর মেম্বার সেক্রেটারি আবীর আলমগীর বলেন, তিনি অনলাইনে উত্তর আমেরিকা প্রথম আলো পড়েন। কারণ তিনি লং আইল্যান্ডে প্রথম আলো পান না। তাঁর মতে যদি পত্রিকার ন্যূনতম একটা মূল্য ধার্য করা হতো, তাহলে হয়তো গ্রোসারি দোকানগুলোতে তা বেশ কয়েক দিন পর্যন্ত বিক্রির জন্য মজুত থাকত। পত্রিকায় তাঁর প্রিয় বিভাগ হলো ‘উত্তরের নকশা’। তিনি এই প্রিয় পত্রিকার শুভকামনা করেন।

নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে জনপ্রিয় মুখ বাংলাদেশি আমেরিকান মেরি জোবাইদা অঙ্গরাজ্য সরকারের অ্যাসেম্বলিওমেন পদে নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছেন। লং আইল্যান্ড সিটির কোর্ট স্কয়ারের বাসিন্দা মেরি জানালেন, নিউইয়র্কের অন্যান্য বাংলা পত্রিকার মধ্যে তিনি প্রথম আলোকে বেশ বস্তুনিষ্ঠ বলে মনে করেন। তবে পত্রিকাটি যদি কমিউনিটির অন্যান্য জাতি, ধর্ম ও ভাষাভাষী মানুষের নানা খবর আরও বেশি করে তুলে ধরে, তাহলে বাঙালিদের মধ্যে তাদের সম্পর্কে অজানা ভীতি, অনাগ্রহ ও দূরত্ব আরও কমে যাবে।

জাতিসংঘের ওমেন্স গিল্ডের প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত রানু ফেরদৌস একজন লেখক। তিনি প্রথম আলোর একজন পাঠক। সাহিত্য পাতাসহ অন্য সব খবরাখবর তিনি পড়তে ভালোবাসেন। তবে অনলাইনেই বেশির ভাগ সময় পত্রিকা পড়েন তিনি। পত্রিকার তিনি উত্তরোত্তর অগ্রগতি কামনা করেন।

প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা সংস্করণের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত বন্ধু সমাবেশে আমন্ত্রিত অতিথিদের একাংশ। ছবি: আম্বিয়া অন্তরা
প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা সংস্করণের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত বন্ধু সমাবেশে আমন্ত্রিত অতিথিদের একাংশ। ছবি: আম্বিয়া অন্তরা

কবি ও ছড়াকার মঞ্জুর কাদের উডসাইডে থাকেন। প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের সঙ্গে পরিচিত হয়ে তিনি খুব আনন্দিত হয়েছেন। তাঁর মতে প্রথম আলোর ভাষা জোরালো ও নির্ভীক। প্রথম আলো সত্য, সুন্দর, শোষিত ও নির্যাতিত মানুষের পক্ষে। নারীদের পক্ষে। প্রথম আলো অনেক ভালো সঙ্গে জড়িত। তিনি প্রথম আলোর আরও উন্নতি কামনা করেন।

ব্রঙ্কসের অধিবাসী ও বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টসের সংগঠক ফরিদা ইয়াসমিন প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা প্রথম আলো ছাপা সংস্করণ পড়েন। সব বিভাগই তাঁর খুব প্রিয়। তিনি মনে করেন স্থানীয় সংগঠনগুলো যারা নিউইয়র্কে শিল্প, সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করেন, আমাদের দেশীয় ও বাঙালি ঐতিহ্যকে বিদেশের মাটিতে তুলে ধরছেন, লালন করছেন তাদের কর্মকাণ্ড আরও ভালো করে তুলে ধরা উচিত।

নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত নারী ম্যাগাজিনের সম্পাদক, সাউথ এশিয়া ক্রিয়েটিভ ওমেনের সভাপতি, ক্রিয়েটিভ ডিজাইন ও পাবলিকেশনের স্বত্বাধিকারী পপি চৌধুরী। জানালেন, অনেক আগে থেকেই তিনি প্রথম আলো পত্রিকার একনিষ্ঠ পাঠক। বাংলাদেশের প্রথম আলোর ‘বন্ধুসভা’ র মতো আমেরিকাতেও করা যায় কি না তিনি এই ব্যাপারে বেশ আগ্রহ দেখিয়েছেন।

নিউইয়র্কের পাবলিক স্কুলে কাজ করার পাশাপাশি কমিউনিটির নানা কাজে সক্রিয় অংশগ্রহণ আছে রূপা খানমের। তিনি বলেন, প্রথম আলো তাঁর প্রিয় পত্রিকা। পত্রিকাটির সাহিত্য পাতা ও উত্তরের নকশা তাঁর প্রথম পছন্দ। সময় পেলে প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার বৃহস্পতিবারের আড্ডায় যোগ দিতে ভালোবাসেন বলে জানান তিনি।

ছড়াকার শামস চৌধুরী রুশো কুইন্সের হলিসে বাস করেন। তিনি বেশির ভাগ সময়ই অনলাইনে প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা পড়েন। তিনি পত্রিকার উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি কামনা করেন।

নিউইয়র্ক পুলিশ বাহিনীর ক্যাপ্টেন খন্দকার আবদুল্লাহ প্রথম আলো বন্ধু সমাবেশে এসে খুব আনন্দিত। তিনি প্রথম আলোর আরও প্রসার কামনা করেন।

বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট ব্যাংকার নুরুল আলম। জ্যাকসন হাইটসের বাসিন্দা। বর্তমানে নিউইয়র্কে অবসর জীবনযাপন করছেন। তিনি বলেন, তিনি প্রতি শুক্রবারে জ্যাকসন হাইটস থেকে প্রথম আলো সংগ্রহ করেন। তিনি মনে করেন বাংলা পত্রিকার মধ্যে প্রথম আলোই সেরা।
সাবেক ছাত্রনেতা মামুন আহমেদ বলেন, তিনি নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে থাকেন। শুক্রবারে প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা হাতে নিয়ে তিনি দেশকে অনুভব করেন।

লেখক এম আর ফারজানা বলেন, প্রথম আলো উত্তর আমেরিকায় লিখতে তিনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তিনি নিউজার্সিতে থাকেন, সেখানে পত্রিকা পাওয়া যায় না। তাই অনলাইনে পড়তে হয়।