রাস্তা পারাপারের সময় মুঠোফোন ব্যবহার নয়

নিউইয়র্কের রাস্তা পারাপারের সময় মুঠোফোন ব্যবহার, এতে খুদে বার্তা লেখা বা পাঠানো নিষিদ্ধ হচ্ছে। এ লক্ষ্যে অঙ্গরাজ্যের সিনেটে ইতিমধ্যে একটি বিল পেশ করা হয়েছে। এই বিলটি আইনে পরিণত হলে রাস্তা পারাপারের সময় পথচারীদের মুঠোফোনে খুদেবার্তা লেখা ও পাঠানো আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হবে।
নিউইয়র্কে হাঁটার সময় মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠানো কেবল বিপজ্জনক নয়, এটি শিগগিরই নিউইয়র্কে একটি অপরাধ বলে গণ্য হবে। অঙ্গরাজ্যর আইন প্রণেতারা অপরাধের সংখ্যা অনুসারে ৫০ ডলার থেকে ১৫০ ডলার পর্যন্ত জরিমানা আরোপের করার বিবেচনা করছেন। কুইন্সের সিনেটর জন লিউ বলেন, রাস্তায় পার হওয়ার সময় কোন খুদেবার্তা চালাচালি করবেন না, ১০ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন। রাস্তা পার হয়ে মুঠোফোন ব্যবহার করুন। সিনেটর লিউ আরও বলেন, ইতিমধ্যেই হাওয়াই ও ক্যালিফোর্নিয়ার ছোট শহরে পাস করা একই রকম আইন রয়েছে।
‘এটি এমন একটি আইন হবে শহর বা পৌরসভার আয়তনের ওপর নির্ভর করে পুলিশ বা আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তার ওপর এর প্রয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হবে বলে সিনেটর লিউ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
বর্তমান সময়ে স্থান–কাল–পাত্র বিবেচনা না করেই মুঠোফোন স্ক্রিনে আমাদের চোখ আটকে থাকতে দেখা যায়। এটা এখন খুবই সাধারণ ব্যাপার হয়ে উঠেছে। রাস্তায় ব্যবহৃত ব্যক্তিগত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ট্রাফিক অনেক দুর্ঘটনার কারণ। এতে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। তাই অঙ্গরাজ্যের আইন প্রণেতারা মুঠোফোনে মেসেজিং বা রাস্তায় গেম খেলাসহ এসব কার্যক্রমকে অপরাধ বলে বিবেচনা করছেন। অপরাধের ধরণ অনুসারে ৫০ ডলার থেকে ১৫০ ডলার জরিমানা হতে পারে বলে বলছেন।

এই প্রজন্মের স্মার্টফোনের ব্যবহারকারী জয়লা থমাস বলেন, ‘এটি ঠিক, তবে আমি মনে করছি, ফোন আর হাতে রাখা যন্ত্রই যেন এখন খুব বেশি আমাদের নিয়ন্ত্রণ করছে।’
আবার এ বিষয়ে গাড়িচালক ওয়ান্ডা রিচমন্ড বলেন, ‘আমি রাস্তার সারা দিন গাড়ি চালাচ্ছি। দেখা যায়, রাস্তা পারাপারে কেউ কেউ মনোযোগ দিচ্ছে না এবং তারা গাড়িতে আঘাত পাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে চালকদের বিরুদ্ধেই সব মামলা হচ্ছে অথচ দুর্ঘটনা ঘটছে পথচারীর অসতর্কতা আর ফোনালাপ বা খুদেবার্তা পাঠানো নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে।’
জনস্বার্থে রাস্তা পারাপারের সময় মুঠোফোন ব্যবহার বন্ধ করাই এই নতুন বিলের উদ্দেশ্য। অঙ্গরাজ্য সভায় পাস হওয়ার পর গভর্নরের স্বাক্ষরের পরই আইনটি কার্যকর হবে।