জর্জিয়ার খামারে কোরবানির পশু আছে, কিন্তু ক্রেতা নাই

জর্জিয়ায় একটি পশু খামার। ছবি: প্রথম আলো
জর্জিয়ায় একটি পশু খামার। ছবি: প্রথম আলো

আমেরিকায় পবিত্র ঈদুল আজহা ৩১ জুলাই, শুক্রবার। করোনাভাইরাসের কারণে এবারের ঈদ উদযাপিত হবে ভিন্ন বাস্তবতায়। ঈদের জন্য জর্জিয়ার খামারগুলোতে কোরবানির পর্যাপ্ত পশু রয়েছে। কিন্তু ক্রেতা নেই। এতে অনেকটা চিন্তায় পড়েছেন খামারিরা।

খামারমালিকেরা বলছেন, করোনাভাইরাসের কারণে মানুষ আর্থিক সংকটে রয়েছে। শেষ পর্যন্ত বেচাকেনা জমবে কি না, এমন দুশ্চিন্তায়ও রয়েছেন খামারমালিক ও ব্যবসায়ীরা।

জর্জিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশিরা বলছেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে রাজ্য থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সব ধরনের সভা-সমাবেশ বন্ধ রয়েছে, এমনকি মসজিদে নামাজ আদায় সাময়িক স্থগিত রয়েছে। যদিও গত ৬ জুন থেকে মসজিদ খুলে দেওয়া হয়েছিল। করোনার সংক্রমণ বেড়ে গেলে তা আবার ১০ জুলাই থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে কি না, তা নিয়েও রয়েছে শঙ্কা। তাই এ বছর প্রবাসী মুসলমানদের মধ্যে কোরবানির ঈদ নিয়ে কোনো উৎসাহ নেই।

কমিউনিটি স্টোরগুলোরও একই মন্তব্য, একই আশঙ্কা। স্থানীয় ডোরাভিলে অবস্থিত বাংলাদেশ স্টেরের মালিক জয়নাল আবেদিন বলেন, প্রতিবছর বহু প্রবাসী বাংলাদেশি আমাদের মাধ্যমে কোরবানি দিতেন। এ বছর তার সিকি পরিমাণও অর্ডার নেই।

ব্যবসায়ী মুজিবুল আলম বলেন, প্রতিবছর আমি ও আমার ভাই মিলে খামারে গিয়ে পশু কোরবানি দিতাম। কিন্তু এ বছর দিতে পারছি না। এই কোভিডে কোন ঝামেলায় পড়ি। এর চেয়ে কোরবানির জন্য বরাদ্দ অর্থ দেশে পাঠিয়ে দিয়েছি। সেই অর্থ সেখানে গরিব মানুষের মধ্যে দান করা হবে।