টার্কিশ এয়ারলাইনসের ওই বাংলাদেশি যাত্রীর মৃত্যু

প্রতীকী
ফাইল ছবি

নিউইয়র্কগামী টার্কিশ এয়ারলাইনসের কানাডার কুইবেক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করা ওই ফ্লাইটের অসুস্থ বাংলাদেশি যাত্রী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর নাম দেলোয়ারা বেগম (৫৭)।

অধিকাংশ বাংলাদেশি যাত্রী নিয়ে ১৮ আগস্ট নিউইয়র্কগামী টার্কিশ এয়ারলাইনসের ওই ফ্লাইটটি কানাডার কুইবেক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছে। ফ্লাইটে থাকা একজন বাংলাদেশি যাত্রী দেলোয়ারা বেগমের শারীরিক অসুস্থতার কারণে ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করে।

শাহজাহান সরকার তাঁর স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম ও মেয়েকে নিয়ে টার্কিশ এয়ারলাইনসের ওই ফ্লাইটে নিউইয়র্ক আসছিলেন। নিজ আসনে বসা দেলোয়ারা বেগম হঠাৎ ঢলে পড়েন। এ খবর জানা মাত্র পাইলটের আচমকা ঘোষণা আসে, একজন যাত্রীর শারীরিক অসুস্থতার কারণে জরুরি অবতরণ করতে হবে।

ওই ফ্লাইটে প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার লেখক মাহবুবুর রহমান সস্ত্রীক নিউইয়র্ক আসছিলেন। তিনি বলেন, ফ্লাইটে জীবনে এক নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন। ফ্লাইটে একজন যাত্রীর জীবন সংকট কীভাবে মোকাবিলা করা হয়, এ নিয়ে আগে কোনো ধারণা ছিল না। তাঁর পাশের আসনেই সপরিবারে বাংলাদেশ থেকে আসছিলেন শাহজাহান সরকার ও তাঁর স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম। নিউইয়র্কে অবতরণের কিছুক্ষণ আগেই দেলোয়ারা বেগম আসন থেকে ঢলে পড়ে যান। এ খবর ককপিটে পৌঁছানো মাত্র পাইলটের ঘোষণা আসে। এর কয়েক মিনিটের মধ্যে কানাডার কুইবেক বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করে।

মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, ফ্লাইট ল্যান্ড করার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ, দমকল, চিকিৎসকসহ অন্তত ১৫ জনের একটি দল দ্রুত বিমানে প্রবেশ করে। মুমূর্ষু দেলোয়ারা বেগমকে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে উঠিয়ে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা দেরিতে অন্য যাত্রীদের নিয়ে টার্কিশ এয়ারের ফ্লাইটটি ১৮ আগস্ট রাত ১০টার দিকে জেএফকে বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।

জানা গেছে, শাহজাহান সরকারের পরিবারকে দেলোয়ারা বেগের মৃত্যুর সংবাদ জানানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি।

নিউইয়র্কে দেলোয়ারা বেগমের ছেলে, মেয়ে ও স্বামী ছাড়াও অনেক আত্মীয়স্বজন রয়েছে। তাঁর দেশের বাড়ি বৃহত্তর কুমিল্লা জেলায়।