দুই বাংলার অরুণ সেন

সদ্য প্রয়াত লেখক-অধ্যাপক অরুণ সেনের দুই পা যেন ছিল দুই বাংলার দুই চরে পোঁতা। পশ্চিমবঙ্গে জন্ম হলেও স্বদেশ বলতে দুই বাংলার কথাই বলতেন তিনি। বাংলাদেশের লেখকদের সঙ্গে ছিল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। কলকাতায় বাংলাদেশের সাহিত্য পৌঁছে দিতে তাঁর ভূমিকা অগ্রগণ্য। শেষ দিকে এই মানুষটির সঙ্গে নিত্য যোগাযোগ ছিল কলকাতার ‘রাবণ’ পত্রিকার সম্পাদক সোমাইয়া আখতারের। ‘রাবণ’ প্রকাশনী থেকে ‘কলকাতার বাঙাল: উভচর স্মৃতি’ নামে তাঁর আত্মস্মৃতিও প্রকাশ করেছেন তাঁরা। এ লেখায় সোমাইয়া আখতার এঁকেছেন অন্তরঙ্গ অরুণ সেনের মুখ।
কণ্ঠশীলনের এক অনুষ্ঠানে অরুণ সেন ও সন্‌জীদা খাতুন। ছবি: সংগৃহীত
কণ্ঠশীলনের এক অনুষ্ঠানে অরুণ সেন ও সন্‌জীদা খাতুন। ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গে আজকের বাংলা কবিতার যে চেহারা, তার অনেকখানিই একটি বিশেষ পত্রিকার অবদান। ‘প্রতিক্ষণ’। কবিতাকে একেবারে ভিন্ন মর্যাদায় প্রকাশ করে পাঠকের সামনে নিয়ে এসেছিল এই পত্রিকা। সেই সময় পূর্ণেন্দু পত্রী, সিদ্ধেশ্বর সেন—এই নামগুলোর পরেই যে নামটি উচ্চারিত হতো, সেটি অরুণ সেন। ‘প্রতিক্ষণ’-এ প্রকাশিত বিভিন্ন কবির কবিতা একসঙ্গে করে ‘রাবণ’ থেকে একটি সংকলন প্রকাশের কথা হয়েছিল। কথা ছিল অরুণ সেন সেখানে একটি ভূমিকা লিখবেন। ‘প্রতিক্ষণ’-এর কবিতাগুলো সংগ্রহের তাগিদে তাঁর বাড়িতে নিত্য যাতায়াত শুরু। তিনতলায় চিলেকোঠার ঘরে ‘প্রতিক্ষণ’ পত্রিকার সংখ্যাগুলো বাঁধিয়ে রাখা। সেখানে বসেই কখনো ছবি তুলে, কখনো স্ক্যান করে সংগ্রহের কাজ চলত। এরই মধ্যে এসে যেত পানি আর চা। পায়ের সমস্যার কারণে তিনি ওপরে উঠতে পারতেন না। নিচ থেকেই ফোন করে বলতেন, ‘নেমে এসো, কিছু একটু খেয়ে যাও।’ গ্রীষ্মের কর্কশ দুপুরের রুক্ষতা আর চিলেকোঠার ঘরের সমস্ত ক্লান্তি মুছে যেত অরুণ সেন আর শান্তা সেনের স্নেহস্পর্শে। সেই শুরু। কত প্রশ্রয়, কত ভালোবাসা যে পেয়েছি। একেক দিন সকাল থেকে কাজ চলত, ওখানেই পরিবারের সবার সঙ্গে বসে নানা পদ দিয়ে দুপুরের খাওয়া সেরে আবার ওপরে উঠে যেতাম। গরমে খুব কষ্ট হলে গুটি গুটি পায়ে নেমে আসতাম একতলায়। নিস্তব্ধ বাড়ি, সবাই দুপুরের ভাতঘুমে। চুপচাপ শান্তাদির ঘরে ঢুকে মেঝেতে শুয়ে পড়তাম। সারা বাড়িটায় যেন এক নিবিড় স্নিগ্ধতার ছায়া। শান্তাদির স্নিগ্ধতার কথা বললে অরুণদা হেসে কপট অনুযোগ করতেন, ‘শান্তার স্নিগ্ধতার জন্য তোমার পছন্দের পাল্লা ওদিকেই ভারি, আমার মতো কর্কশ মানুষ তোমার পছন্দ হবে কেন?’ এভাবে গড়িয়ে চলত কথা।

লেখক অরুণ সেন, অধ্যাপক অরুণ সেন, আমাদের প্রিয় অরুণবাবু, পরে ঘনিষ্ঠতা বাড়লে অরুণদার বাড়িতে কোনো রকম ভেদাভেদ নেই। চিন্তাগতভাবেও নেই, যাপনের মধ্যেও নেই। তাঁর ঠাকুমার সময় থেকেই বাড়িতে সামাজিক বিভাজন বলতে কিছু ছিল না। সাম্প্রদায়িক বিভেদ, উচ্চবর্ণের নিম্নবর্ণের বিভেদ, নারী-পুরুষের প্রতি আচরণের বিভেদ কিছুমাত্র নেই। বাড়ির ও বাইরের সবাইকে নিয়ে, যাঁরা গৃহস্থালির কাজে সাহায্য করেন, তাঁদেরও নিয়ে একই টেবিলে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া। মনের মধ্যে জাতপাতের কোনো জায়গাই নেই। ফুপু, খালা, চাচি, আপা, নানা, নানি—এসবের মানে কোনো দিন গল্প করতে গিয়ে বোঝাতে হয়নি অরুণদাকে। কলকাতায় এমন হিন্দু পরিবার কমই আছে, যারা মুসলমানদের বাকরীতি, তাদের খাওয়াদাওয়া, পোশাক-পরিচ্ছদ সম্পর্কে সম্যক অবহিত। একটা পর্যায়ের পর অনেক হিন্দু পরিবারে দেখেছি মুসলমানরা অবধারিত ভাবে ‘ওরা’ হয়ে যায়। এমনকি সেটা ‘শিক্ষিত’ মহলেও। তেমনটা কিন্তু একেবারেই নেই অরুণদার বাড়িতে। খুব কম দিনই হয়েছে ওঁর বাড়ি গিয়ে কলবেল টিপেছি। গিয়ে দেখতাম, বসার ঘরের বাইরে বারান্দায় চেয়ারে বসে আছেন। দেখলেই শিশুর মতো একমুখ হাসি নিয়ে বলতেন, ‘এসো, তোমার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম।’ সৌজন্যবোধ তো ছিলই, কিন্তু তার বাইরে বেরিয়ে এসেও একজন মানুষ কতটা আন্তরিক হতে পারেন, তা যাঁরা তাঁর সান্নিধ্য পেয়েছেন, সবাই জানেন। বাংলাদেশের মানুষদের জন্য তো অরুণদার অবারিত দ্বার। বলতেন, তাঁর পরিচিত কোনো এক রসিক ব্যক্তি নাকি তাঁকে বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে আগত কেউ ট্রেন থেকে নামলেই তাঁদের উদ্দেশে স্টেশনে মজুত কেউ একজন বলে দেন, ‘অরুণ সেনের বাড়ি যাবেন তো? এই দিকে।’ নিজেকে নিয়ে সবাই মজা করতে পারেন না, অরুণ সেন পারতেন।

ঢাকায় সেলিম আল দীন উৎসবের মঞ্চে (বাঁ থেকে) বেগমজাদী মেহেরুন্নেসা, অরুণ সেন, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ফেরদৌসী মজুমদার ও নাসির উদ্দীন ইউসুফ। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকায় সেলিম আল দীন উৎসবের মঞ্চে (বাঁ থেকে) বেগমজাদী মেহেরুন্নেসা, অরুণ সেন, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ফেরদৌসী মজুমদার ও নাসির উদ্দীন ইউসুফ। ছবি: সংগৃহীত

পূর্ব বাংলা থেকে পূর্বপুরুষেরা এসেছিলেন এ দেশে। তাঁর জন্ম উত্তরবঙ্গের মালদা জেলায়। কিন্তু তিনি নিজেকে পুরোপুরি ‘কলকাত্তাই’ বলে মনে করতেন। খুব ছোটবেলায় বাবা, মা, ঠাকুমার সঙ্গে কলকাতার বৃন্দাবন মল্লিক লেনে একটা ভাড়াবাড়িতে এসে ওঠেন। শৈশবের সবচেয়ে পুরোনো স্মৃতি এই বৃন্দাবন মল্লিক লেনের বাড়িকে ঘিরেই। প্রায়ই কথার ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দিত ছোটবেলা, ঝাপসা হয়ে উঠত চারপাশ, শৈশবের নানা স্মৃতি ছবির মতো স্পষ্ট হয়ে উঠত তাঁর কথায়। সদ্য-আসা বাঙাল পরিবারের সঙ্গে এদেশীয় ‘ঘটি’দের আচার-আচরণের কথা উঠত মাঝেমধ্যেই। একদিন শুঁটকি খাওয়ার প্রসঙ্গ ওঠায় বললেন, ‘জানো, ছোটবেলায় বাড়িতে শুঁটকি রান্না হয়, তা ভয়ে বলতাম না, পাছে ঘটিরা কিছু মনে করে। শুঁটকি রান্নার গন্ধ পাশের বাড়ি গেলে যদি জানাজানি হয়, সেই লজ্জায় গুটিয়ে যেতাম।’ শুনে কোথাও যেন নিজেকেও শামিল করতে পারতাম এই কষ্টের সঙ্গে। আসলে এটা সংখ্যালঘুর সমস্যা। এই অসহায়তার সঙ্গে আমি পরিচিত। কলকাতার আদি বাসিন্দারা পূর্ববঙ্গ থেকে আসা মানুষদের বিভিন্নভাবে খ্যাপাত। ‘বাঙাল’ একটা আজব জীব—এই রকমের একটা মনোবৃত্তি কোথাও কাজ করত। ঘটিবাড়ির বালকের আওড়ানো ‘বাঙাল চিংড়ির কাঙাল’—এই কথা একটি শিশুর মনে কোথায় ক্ষত তৈরি করত, সেটা বুঝতে অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। অরুণদা আরও অনেক গল্প করতেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা, দেশভাগের কথা, মুক্তিযুদ্ধের কথা—সব শুনতে শুনতে একদিন বলেই ফেললাম, ‘আপনি এসব কথা লিখুন না, আমি সবার সঙ্গে আপনার এই অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নেব।’ সেই শুরু হলো লেখা।

লেখার সঙ্গে সঙ্গে চলত দেদার গল্প আর আড্ডা। তারপর একদিন ৩২০ পৃষ্ঠার একটি বইয়ের পাণ্ডুলিপি সম্পূর্ণ নিজের হাতে টাইপ করে, পরিচ্ছদগুলো সাজিয়ে, আলাদা আলাদা স্পাইরাল ফাইলে বন্দী করে হাতে তুলে দিলেন। সঙ্গে দিলেন বিরল কিছু ফোটোগ্রাফ। সন্‌জীদা খাতুন, ফাহমিদা খাতুনের ঘরোয়া আসরে গান গাওয়ার ছবি, ‘প্রতিক্ষণ’-এর ঘরে অরুণদার সঙ্গে স্বপ্না দেব, পূর্ণেন্দু পত্রী, দেবেশ রায়। এ ছাড়া বিষ্ণু দে, অরুণ মিত্র, শঙ্খ ঘোষ, মোহাম্মদ রফিক, সেলিম আল দীন, অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, যোগেন চৌধুরী, জয় গোস্বামী—এমন আরও অনেকের ছবি। প্রকাশক হিসেবে এমন পাণ্ডুলিপি হাতে পাওয়া অবশ্যই এক নতুন অভিজ্ঞতা। ৮২ বছরের ‘তরুণ’ লেখককে চোখের সামনে দেখতাম। কী তাঁর উদ্যম, উৎসাহ! বয়সের ভারে তাঁকে নুয়ে পড়তে দেখিনি, বরং নিত্যনতুন অভিজ্ঞতায় তিনি তারুণ্যের গতি পেয়েছেন। বইয়ের পরিকল্পনায় আর ভাবনায় এই বয়সেও উদ্দীপনায় ভাটা পড়েনি।

বাংলাদেশের মানুষদের জন্য তো অরুণদার অবারিত দ্বার। বলতেন, তাঁর পরিচিত কোনো এক রসিক ব্যক্তি নাকি তাঁকে বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে আগত কেউ ট্রেন থেকে নামলেই তাঁদের উদ্দেশে স্টেশনে মজুত কেউ একজন বলে দেন, ‘অরুণ সেনের বাড়ি যাবেন তো? এই দিকে।’ নিজেকে নিয়ে সবাই মজা করতে পারেন না, অরুণ সেন পারতেন।

অতঃপর একসময় প্রকাশিত হলো ‘কলকাতার বাঙাল: উভচর স্মৃতি’। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, মহামারি, স্বাধীনতা, দেশভাগ, কমিউনিস্ট পার্টি, নকশাল আন্দোলন, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, বাবরি মসজিদ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, আরও কতশত স্মৃতি উঠে এসেছে তাঁর এই আত্মকথায়। বইটি পড়লে মনে হয় ‘উভচর’ তো নয়, যেন ‘বহুচর’ স্মৃতি। তাঁর দুই পা যেন দুই বাংলার চরে পোঁতা। স্বদেশ বলতে তিনি দুই বাংলার কথাই বলতেন। ওপার বাংলায় পূর্বপুরুষের ভিটেমাটির টান প্রকৃত অর্থেই তিনি বহন করতেন। বাংলার সংস্কৃতি বলতে তিনি অখণ্ড বাংলার সংস্কৃতিকেই চিরকাল দেখেছেন, বুঝেছেন। ‘বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি’ বলতে ভেবেছেন দুই বাংলার কথাই।

অরুণ সেনের আত্মস্মৃতি ‘কলকাতার বাঙাল: উভচর স্মৃতি’
অরুণ সেনের আত্মস্মৃতি ‘কলকাতার বাঙাল: উভচর স্মৃতি’

অরুণদার আগ্রহ ছিল বিবিধ এবং বিচিত্র বিষয়ে। গ্রামবাংলার পোড়ামাটির শিল্প তথা টেরাকোটার কাজ থেকে শুরু করে যামিনী রায়ের ছবি—সবকিছুর প্রতি তাঁর সমান উৎসাহ। বাড়িতে টেরাকোটার আস্ত একটা জাদুঘরই প্রায় তিনি তৈরি করে ফেলেছিলেন। নানান আকৃতির পাত্র থেকে শুরু করে মাটির ছোট ছোট পুতুল—সবই সেখানে মজুত। ওপার বাংলা থেকে বহু বিদগ্ধ মানুষ নাকি তাঁর জন্য মাটির হাঁড়ি–কলসি নিয়ে এসেছেন, এ কথাও শুনেছি। পুরো বাড়িটার মধ্যে শিল্প যেন ছড়িয়ে–ছিটিয়ে, অথচ সুন্দর করে প্রতিটি জিনিস নিজের জায়গা করে নিয়েছে। আর সেই থাকার মধ্যে কোনো কৃত্রিমতা নেই। কোনারক নিয়ে লিখেছেন বই। ‘প্রতিক্ষণ’-এর অনেক কাজের কান্ডারি ছিলেন তিনি। সমকালীন বাংলা কবিতার একনিষ্ঠ পাঠক ছিলেন। ক্রমাগত লিখেছেন নতুন কবিদের নিয়ে। সংকলন করেছেন তরুণদের কবিতা। এখন সেই কবিদের অনেকেই প্রতিষ্ঠিত। ‘প্রতিক্ষণ’-এর কারণেই হোক অথবা নিজের কবিতা পড়ার তাগিদে, বাংলা কবিতার হালফিলের সঙ্গে নিজেকে সব সময়ে যুক্ত রাখার একটা ঐকান্তিক চেষ্টা বজায় রেখেছিলেন শেষ পর্যন্ত।

অরুণদা সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে জানতেন। নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে তাঁর কোনো দ্বিধা ছিল না, বরং নতুন প্রযুক্তিকে স্বাগত জানাতেন। নিয়মিত আপডেটেড রাখতেন নিজেকে। কম্পিউটারে বসে গান শুনতেন, সিনেমা দেখতেন। নিজের লেখা যে নিজে হাতেই টাইপ করতেন, তা তো আগেই বলেছি। ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন দুপার বাংলায়। উভচরের জীবন সাইবার স্পেসে অনায়াস হয়ে উঠেছিল।

উভচরের স্মৃতিকথায় এমন সব ব্যাপার উঠে আসে, যা বহুমাত্রিক। কলকাতার গলিজীবন থেকে ঢাকার নাট্যমঞ্চের ফুটলাইট, বিষ্ণু দে-যামিনী রায় থেকে জয় গোস্বামী, মোহাম্মদ রফিকের কবিতার পরিসর থেকে কীর্তিনাশার দুকূল ছাপিয়ে যাওয়া বাংলা তাঁর রচনার পরতে পরতে। স্মৃতিকথা পড়তে বসলে পাঠকের মনে হতেই পারে, পাশটিতে বসে স্বভাবসিদ্ধ মৃদুস্বরে অরুণ সেন নামের এক বটগাছ তার পাতা বাজিয়ে শোনাচ্ছে এক দেশের গল্প, যার নামটি বাংলা। সেখানে কোনো কাঁটাতার নেই, আমি-তুমি-আমরা-ওরা বিভাজন নেই, কলকাতা সেখানে ঢাকার পাশের গলি। মোহাম্মদ রফিক আর সিদ্ধেশ্বর সেন সেখানে অন্তরঙ্গ প্রতিবেশী। সেই বটগাছটি থাকল। তার ছায়া থাকল। আবহমানের হাওয়ায় দুলতে থাকা তার পাতার ফিসফিস থাকল। থাকল ‘কলকাতার বাঙাল: উভচর স্মৃতি’ নামের এক আশ্চর্য বই।

অন্য আলোতে লেখা পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]