প্রতিটি শরণার্থী সমস্যার পেছনে রাজনীতি থাকে

>
রবার্ট ওয়াটকিন্স
রবার্ট ওয়াটকিন্স
তিন দশকের বেশি সময়জুড়ে সংঘাত-পরবর্তী উন্নয়নকাজের সঙ্গে যুক্ত আছেন রবার্ট ওয়াটকিন্স। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে লেবাননে জাতিসংঘের আবাসিক ও মানবিক সমন্বয়কারী এবং উপ-বিশেষ সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতিসংঘে যোগ দেওয়ার আগে তিনি জর্ডানে ইউরোপীয় কমিশনের মানবিক সংস্থা ও নাগরিক অধিকার-বিষয়ক সংস্থা ইকোর জর্ডান দপ্তরের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন: রাহীদ এজাজ

প্রথম আলো :রাখাইনের সর্বশেষ পরিস্থিতিকে কীভাবে দেখছেন?

রবার্ট ওয়াটকিন্স : রাখাইনে চলমান সহিংসতা ও সেখানকার সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সেখানকার পরিস্থিতির ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখছি। সহিংসতা শুরুর কারণটা আমরা জানি। তাই আইনের শাসন অনুযায়ী এবং জনগণের নিরাপত্তা ও মৌলিক অধিকার মেনে নিয়ে সব পক্ষকে সাবধানী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। তেমনি সীমান্ত পাড়ি দিয়ে যে লোকগুলো বাংলাদেশে প্রবেশ করছে, তাদের নিরাপত্তা ও কল্যাণের ব্যাপারেও আমাদের উদ্বেগ আছে। তাদের স্বার্থে বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড় সমন্বয়ের মাধ্যমে আমরা কাজ করছি। আমরা খুব স্পষ্ট করেই বলেছি, সীমান্ত খোলা রাখতে হবে। বাংলাদেশ, ইউরোপ কিংবা দক্ষিণ আমেরিকা পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তেই হোক না কেন, জীবন বাঁচাতে যারা জন্মভূমি ছাড়তে বাধ্য হয়, তাদের আন্তর্জাতিক সীমান্ত পার হওয়ার অধিকার রয়েছে। সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার পর তাদের সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব যেসব আন্তর্জাতিক সংগঠনের, তারা তা নিশ্চিত করবে। স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, খাবার, আশ্রয়সহ সবকিছু নিশ্চিত করবে। সরকার যাতে এসব সংগঠনকে সহযোগিতা করে, সে জন্য আমরা অনুরোধ জানিয়ে যাচ্ছি।

প্রথম আলো : জাতিসংঘ কি এই মুহূর্তে রোহিঙ্গাদের সবচেয়ে নির্যাতনের শিকার জনগোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করছে?

রবার্ট ওয়াটকিন্স : এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মতো অবস্থানে আমি নেই। রাখাইন রাজ্যের সমস্যা যে প্রকট, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সমস্যার জন্য এ মুহূর্তে আমরা সরাসরি কাউকে দায়ী করতে পারছি না। দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটা সত্যি যে এ মুহূর্তে আমাদের সেখানে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। সেখানে যেতে হলে আমাদের কী করতে হবে, তা নিয়ে মিয়ানমারের সরকারের সঙ্গে আমরা কথা বলছি। সহিংসতার কবলে পড়া লোকজনকে সহায়তা দিতে সেখানে যাওয়ার সুযোগ পাওয়াটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। শুধু জাতিসংঘই নয়, অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা ও গণমাধ্যম এ মুহূর্তে রাখাইনে যেতে পারছে না। বিভিন্ন সূত্র থেকে এ মুহূর্তে ব্যাপক সহিংসতার যে খবরগুলো আমরা পাচ্ছি, তা সরাসরি যাচাইয়ের সুযোগ আমাদের নেই। কাজেই এ ঘটনার জন্য কারা দায়ী, তার সাক্ষ্য-প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত সমস্যার মাত্রা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

প্রথম আলো : আপনি বলছেন, আপনাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে শুনেছি, মিয়ানমারে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে রাখাইনে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

রবার্ট ওয়াটকিন্স : বিষয়টি পুরোপুরি সে রকম নয়। আমাদের সীমিতভাবে রাখাইনে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এই অনুমতি খুবই সীমিত আকারে। আমরা চাই আমাদের ব্যাপক পরিসরে সেখানে যেতে দেওয়া হোক।

প্রথম আলো : সীমিত পরিসরে অনুমতি দেওয়ার অর্থ কী? আপনাদের কি খাবার বিলি করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে?

রবার্ট ওয়াটকিন্স : নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় খুব স্বল্প পরিমাণে খাবার বিলি করতে পারছি। সহিংসতার কবলে পড়া পুরো এলাকার লোকজনের জন্য আমরা মানবিক সহায়তার কাজ শুরু করতে চাই। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার লোকের ঘরবাড়ি ছেড়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। এই সংখ্যাটি ঠিক কি না, সেটি আমাদের যাচাই করে দেখতে হবে।

প্রথম আলো : রাখাইনে আপনাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানালেন। তাহলে এই ৩০ হাজার লোকের বাস্তুচ্যুত হওয়ার খবর কীভাবে পেলেন? খবরের সূত্র কী?

রবার্ট ওয়াটকিন্স : বিভিন্ন সূত্র থেকে এই সংখ্যার কথা জেনেছি। এখনো সেখানে নানাভাবে যোগাযোগের সুযোগ আমাদের আছে।

প্রথম আলো : অক্টোবরে সেনাবাহিনীর অভিযান শুরুর আগে রাখাইনের রোহিঙ্গাদের লোকসংখ্যা কত ছিল? এ নিয়ে জাতিসংঘের কাছে কি কোনো তথ্য আছে?

রবার্ট ওয়াটকিন্স : আমার কাছে এ ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই।

প্রথম আলো : মিয়ানমারে জাতিসংঘ দপ্তরে কি এ ব্যাপারে কোনো তথ্য আছে?

রবার্ট ওয়াটকিন্স : অবশ্যই তাদের সেটা জানার কথা।

প্রথম আলো : ২০১২ সালের সংঘাতের তুলনায় এবারের পরিস্থিতির ভয়াবহতা অনেক বেশি। এ জন্য রাখাইন রাজ্যের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক উপাদান যুক্ত বলে বলা হচ্ছে। সমস্যাটি সমাধানে শুধু মানবিক দিকটিকে বিবেচনায় না এনে এর পাশাপাশি এখন থেকেই সমস্যার উৎসে যাওয়া কি জরুরি নয়?

রবার্ট ওয়াটকিন্স : যেকোনো মানবিক সমস্যা হঠাৎ হাওয়া থেকে সৃষ্টি হয় না। অবশ্যই এর সঙ্গে কোনো না কোনো রাজনৈতিক সমস্যার সম্পর্ক থাকে, যেটির সমাধান হওয়া জরুরি। ওই সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জাতিসংঘ ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ জন্যই আমরা ওই এলাকায় আমাদের যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার কথা বলছি। সেখানে যেতে পারলে আমাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাটা সহজ হবে। বিশেষ করে, সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনাপ্রবাহগুলো এবং এসবের উৎস সম্পর্কে জানা যাবে। তবে এটিও মনে রাখতে হবে, রাখাইনের সমস্যাই মিয়ানমারের একমাত্র সমস্যা নয়, দেশটিতে জাতিগত আরও অনেক সমস্যা আছে। কাজেই এ সমস্যাগুলোর সমাধানে আমাদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে, শুধু একটি সমস্যাতেই মনোযোগী হলে চলবে না।

প্রথম আলো : জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থায় কর্মরত আপনার এক সহকর্মী রাখাইনে জাতিগত নিধনের অভিযোগ এনেছেন। তাঁর এই মন্তব্যকে কীভাবে দেখছেন?

রবার্ট ওয়াটকিন্স : এটি জাতিসংঘের কোনো আনুষ্ঠানিক অবস্থান নয়, জাতিসংঘের একজন কর্মীর ব্যক্তিগত মূল্যায়ন। সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ ছাড়া আমাদের এ ধরনের মন্তব্য করার সুযোগ নেই। তবে রাখাইনের পরিস্থিতি সম্পর্কে নানা কিছু অনুমান করা হচ্ছে। এসব ঘটনার জন্য আসলেই কারা দায়ী, কেনই-বা তারা এসব করছে, তা জানতে হবে। সেখানে যেতে পারলেই পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে আমরা বিষয়গুলো জানাতে পারব। এর আগে আমাদের কোনো অবস্থান নেওয়ার সুযোগ নেই।

প্রথম আলো : রাখাইনে ২০১২ সালের জাতিগত সংঘাতের তুলনায় এবারের পরিস্থিতি অনেক বেশি খারাপ হয়েছে। অথচ পাশ্চাত্য এবং জাতিসংঘের কণ্ঠস্বর মোটেই জোরালো নয় বলে বাংলাদেশে সমালোচনা রয়েছে। বিশেষ করে, দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাটি সমাধানে মিয়ানমারকে চাপ দিতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার বন্ধুদের পাশাপাশি জাতিসংঘ জোরেশোরে বলছে না। এই সমালোচনা নিয়ে আপনার মত কী?

রবার্ট ওয়াটকিন্স : আবারও বলছি, মিয়ানমারের অনেক দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা আছে। এর সব কটিরই সমাধান হওয়া উচিত। রাখাইনের পরিস্থিতি বাংলাদেশের ওপর প্রভাব ফেলে বলে এটি এ দেশের জন্য জটিল সমস্যা তৈরি করেছে। সমস্যাগুলোকে আমরা সমন্বিত উপায়ে সমাধানের কথা বলছি, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মিয়ানমারের নতুন সরকার জটিলতার মূলে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তবে এই সমস্যাটা যে জটিল, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আর মিয়ানমারের অভ্যন্তরের পরিস্থিতি নিয়ে যেমন গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি বাংলাদেশে এর প্রভাব নিয়েও আমাদের দুশ্চিন্তা আছে।

প্রথম আলো : বাংলাদেশের নিজেরই অনেক সমস্যা আছে। নতুন করে আসা রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য বাড়তি বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। সমস্যাটি নিয়ে বাংলাদেশকে না বলে এর সমাধানের জন্য উৎসে যেতে জাতিসংঘসহ অন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মিয়ানমারকেই তো বলা উচিত।

রবার্ট ওয়াটকিন্স : সমস্যা সমাধানের জন্য যে এর মূলে যেতে হবে, এ নিয়ে আমি পুরোপুরি একমত। কিন্তু আমাদের সমস্যার ফলে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটিকেও মোকাবিলা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আপনি একটি সমস্যা সমাধান করবেন, অন্যটি এড়িয়ে যাবেন, এটি হতে পারে না। শরণার্থী-বিষয়ক কোনো মানবিক সমস্যাই রাজনৈতিক উপাদান ছাড়া ঘটে না। কাজেই সমাধানের জন্য আমাদের উৎসে যেতে হবে।

প্রথম আলো : রাখাইনের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছে বলে কি আপনার মনে হয়েছে?

রবার্ট ওয়াটকিন্স : আমার তো মনে হয়েছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যা যা করা সম্ভব, তার সবটাই তারা করেছে। বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা হয়েছে।

প্রথম আলো : কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের ওই আলোচনা অনানুষ্ঠানিক ছিল। তা ছাড়া ওই আলোচনার পর কোনো প্রস্তাব নেওয়া হয়নি।

রবার্ট ওয়াটকিন্স : আলোচনাটি অনানুষ্ঠানিক ছিল, তা ঠিক। তবে কোনো একটি বিষয় নিরাপত্তা পরিষদের নজরে আসা মানেই সমস্যাটি গুরুতর। গুরুত্বহীন কোনো বিষয় নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা হয় না। তা ছাড়া এ বিষয়টি নিয়ে সারা বিশ্বে উদ্বেগ আছে। ইউনিসেফ ও ইউএনএইচসিআরের পাশাপাশি আনান কমিশন এ ব্যাপারে বিবৃতি দিয়ে সেখানে নিরবচ্ছিন্নভাবে মানবিক সহায়তার কাজ শুরুর বিষয়টি সামনে এনেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সমস্যাটি সম্পর্কে জানে না কিংবা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না, এমনটা বলা সমীচীন নয়। এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গভীর উদ্বেগের বিষয়। গত বছর মিয়ানমারের নির্বাচনের পর থেকে দেশটির ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নজর রাখছে।

প্রথম আলো : সীমান্ত পুরোপুরি খুলে না দিলেও রাখাইনে সাম্প্রতিক সহিংসতার পর থেকে মানবিক বিবেচনায় এ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাদের মিয়ানমারে চলে যাওয়ার কথা বলবে। তবে সমস্যার উৎস যেহেতু মিয়ানমারে, তাই সেখানে এমন পরিবেশ ফিরিয়ে আনা জরুরি, যাতে করে লোকজন আর সীমান্ত পেরোতে বাধ্য না হয়। বাংলাদেশের অবস্থানকে কীভাবে মূল্যায়ন করতে চান?

রবার্ট ওয়াটকিন্স : বাংলাদেশ স্পষ্টতই এ মুহূর্তে জটিল পরিস্থিতির সামনে দাঁড়িয়ে আছে। সীমান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হলে মিয়ানমার থেকে বিপুল হারে অনুপ্রবেশ ঘটবে। এটি হলে তা বাংলাদেশের ওই এলাকায় জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট করার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে। বিষয়টি আমি পুরোপুরি বুঝতে পারছি। কিন্তু বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে মানবিক কারণে সীমান্ত পার হয়ে আসা লোকজনকে আশ্রয় দিয়ে তাদের খাবার, চিকিৎসাসহ সব ধরনের মানবিক সহায়তা দিচ্ছে। বাংলাদেশের এই ভূমিকা যথেষ্ট প্রশংসনীয়।

প্রথম আলো : রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা না বলায় নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অং সান সু চির সমালোচনা হচ্ছে। তাঁর এই অবস্থানকে কীভাবে দেখছেন?

রবার্ট ওয়াটকিন্স : আমি মনে করি, তিনি কী বলেন সেটি শোনার জন্য আমাদের অপেক্ষা করা উচিত।

প্রথম আলো : রাখাইন থেকে প্রাণের ভয়ে পালিয়ে যাওয়া লোকজনের জন্য জাতিসংঘ কি নৌযান পাঠিয়ে আপৎকালীন এলাকা প্রতিষ্ঠার বিষয়টি বিবেচনা করছে?

রবার্ট ওয়াটকিন্স : অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত লোকজনের জন্য আমাদের অস্থায়ী শিবির আছে। যেহেতু আমাদের যাওয়ার সুযোগ নেই, তাই শিবিরগুলোর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানি না। রাখাইন সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের স্থলে কোনো নো ম্যানস ল্যান্ড নেই। ওই রাজ্যের পাশে দুই দেশের মাঝে শুধু নদী আছে।

প্রথম আলো : আপনাকে ধন্যবাদ।

রবার্ট ওয়াটকিন্স : আপনাকেও ধন্যবাদ।