বাসযাত্রার অভিজ্ঞতা

একটি স্বনামধন্য এসি বাসে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসছিলাম। প্রায় দুই ঘণ্টা পর হঠাৎ করে গাড়ির গতি ধীর হতে থাকল, পুরো গাড়ি ভীষণ গরম হয়ে গেল। গরমে বাচ্চাদের কাঁচা ঘুম ভেঙে গেল। তারা খালি গায়ে কান্নাকাটি শুরু করল। এক অতি বৃদ্ধ অসুস্থ নারী ভীষণ অসুস্থবোধ করছিলেন। সব যাত্রী করিডরে জমা হয়ে রাগে ফেটে পড়তে লাগল। চালক গাড়িটি বহু কষ্টে একটা হোটেলে থামাল, কিন্তু হেলপার ছেলেটি স্বয়ংক্রিয় দরজা খুলতে পারছিল না।

আতঙ্কিত মানুষজন ভয়ে তারস্বরে চিৎকার করছে আর গাড়ির দরজা খুলতে চেষ্টা করছে। চালক পাশের জানালা (১০ ইঞ্চি মাত্র) খুলে মারের ভয়ে পালাতে চেষ্টা করছিল, যখন সবাই একটা কিছু খুঁজছে, তখন হঠাৎ করেই গাড়ির স্টার্ট বন্ধ হতেই দরজাটা খুলে গেল। সবাই যেন প্রাণ ফিরে পেলাম। সানন্দে হোটেলে খাওয়াদাওয়া করলাম। গাড়ির ডায়নামো নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। দূর থেকে মিস্ত্রি এসে গাড়ি ঠিক করতে পাঁচ ঘণ্টার মতো লাগল। এরপর দোতলা বাসটা এত জোরে একবার এপাশ একবার ওপাশ করতে করতে চলল যে আমরা মাত্র দেড় ঘণ্টায় ঢাকায় পৌঁছে গেলাম।

এরপর বাসস্ট্যান্ডের টয়লেটে ঢুকে তো দুর্গন্ধে মূর্ছা যাওয়ার উপক্রম। এই আমাদের বাংলাদেশ। রাস্তাঘাটে আমাদের যদি এ রকম মারাত্মক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়, তাহলে দেশটা চলে কীভাবে। অথচ আমরা নাকি এগিয়ে চলেছি।

রাশিদা দোহা, ঢাকা।