চামড়ায় নৈরাজ্য

কোরবানির পর পশুর চামড়ার প্রক্রিয়াজাতকরণ নিয়ে প্রতিবারই উৎকণ্ঠা দেখা যায়। বিশ্ববাজারে দাম কমে যাওয়ার একটি কথা তো প্রচলিত আছেই। প্রতিবারই যদি দাম কমতে থাকে, তবে চামড়ার বাজার মূল্য শূন্যের কোঠায় চলে আসার কথা!

কোরবানির পর আমাদের গরু ও খাসির চামড়া বিক্রি করতে গেলে ব্যবসায়ীরা বলেন, খাসির চামড়া চল্লিশ টাকা এবং গরুর চামড়া সর্বোচ্চ পাঁচ শ টাকা মাত্র। চামড়া বিক্রির টাকা সাধারণত এতিমখানা ও মসজিদের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 

এবার এত কম টাকায় চামড়া বিক্রি হলে এতিমখানা ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের কী হবে? একজন ব্যবসায়ীর কাছে শুনতে চেয়েছিলাম চামড়ার দাম এত কম কেন। তিনি বলেছিলেন, চাহিদা কমে যাওয়া ও ট্যানারি মালিকদের চামড়া নেওয়ার ব্যাপারে অনীহাই এর মূল কারণ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ট্যানারি শিল্প সরিয়ে সাভারে নেওয়ার কারণে ছোট ছোট ট্যানারি শিল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রভাব। সিন্ডিকেট করে এই সময়ে বাড়ানো হয়েছে লবণের দামও।

প্রায় দ্বিগুণ দামে লবণ ক্রয় করে চামড়া সংরক্ষণে বড় ধরনের ঝক্কি সামলাতে গিয়ে চামড়ার বাজারে বর্তমানে চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে।

অথচ চামড়া আমাদের কত-না কাজে লাগে। দেশে বিকাশমান জুতার শিল্পের কাঁচামাল দেশ থেকেই জোগাড় করা সম্ভব। কিন্তু এই সম্ভাবনাগুলো আমরা দেখতে পাচ্ছি না।

সাঈদ চৌধুরী

গাজীপুর।