ওপরের দুর্নীতির প্রভাব নিচের দিকে পড়ে

সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করার সময় একজন কর্মকর্তাকে সম্পদের বিবরণ দিতে হয়। এটা দেওয়া তাঁর দায়িত্ব। এটা শুধু একবার দিলেই হয় না, প্রতিবছরই সম্পদের বিবরণ দিতে হয়। অন্য চাকরিতে এ নিয়ে বাধ্যবাধকতা না থাকলেও পুলিশ বাহিনীতে সম্পদের হিসাব দেওয়াটা আইন। পুলিশ প্রবিধান বা পিআরবিতে বলা আছে, প্রতিবছরের একটি নির্দিষ্ট মাসে সব সদস্যকে সম্পদের বিবরণ দিতে হবে। বাহিনীর সদস্যদের ভেতরে যাতে স্বচ্ছতা 

থাকে, আবার কেউ যাতে দুর্নীতিতে জড়িয়ে না পড়েন, সে কারণেও এই ব্যবস্থাটা জরুরি।

কিন্তু বাস্তবে যা হচ্ছে তা উল্টো। কেউ কোনো কিছু নিয়ম মেনে করছেন না। একটি কথা পরিষ্কার যে শুধু পুলিশ নয়, যেকোনো বাহিনী বা সংস্থায় যদি ওপরের দিকে দুর্নীতি হয়, তাহলে তার প্রভাব নিচের দিকেও পড়বে।

সম্পদের বিবরণ দেওয়া পুলিশের জন্য আবশ্যকীয় কাজ। এটা না দেওয়াটা অপরাধ। সেই প্রবিধান লঙ্ঘন করলে নিয়মনীতি না মানলে তাঁকে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া ঠিক হবে না। এ ব্যাপারে কঠোর না হলে সবকিছু অকার্যকর হয়ে যাবে।