যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাদের কাণ্ড

প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী, চট্টগ্রামের আবাসিক ভবনের একটি ফ্ল্যাটকে টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন স্থানীয় যুবলীগের নেতা নামধারী অমিত। ব্যবসায়ীদের মারধর ও চাঁদাবাজির অভিযোগ ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজির ১৩টি মামলা রয়েছে। পূর্বাঞ্চল রেলের কোটি টাকার দরপত্র নিয়ে জোড়া খুনের মামলারও আসামি তিনি। ২ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার একটি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অমিত নিজেই স্বীকার করেছেন, তিনি ইয়াবায় আসক্ত। এ রকম একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদকসেবী কীভাবে যুবলীগের নেতা হন? যে সংগঠনের নাম ব্যবহার করে অমিত এসব অপকর্ম করেছেন, সেই সংগঠন কেন ব্যবস্থা নিল না?

অন্যদিকে বগুড়ায় কলেজের অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার ঘটনার হোতাও কলেজ ছাত্রলীগের নেতা বিশ্বজিৎ কুমার সাহা। অধ্যক্ষ নিজেই তাঁকেসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। শিক্ষার্থীরা কীভাবে একজন অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করেন? এই শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করে কিংবা তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে অধ্যক্ষ সঠিক কাজই করেছেন। এখন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।

প্রশ্ন হলো, যে দল বা সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে এক শ্রেণির নেতা-কর্মী বিভিন্ন স্থানে মাস্তানি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কাণ্ড ঘটিয়ে চলেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীনেরা কী ব্যবস্থা নিয়েছে? মাঝেমধ্যে নেতারা কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না কিংবা আইন সবার জন্য সমানভাবে চলবে বলে আওয়াজ দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। এই অবস্থায় তাঁদের ভাষায় ‘কাউয়া ও হাইব্রিডদের’ দৌরাত্ম্য বন্ধ করতেই হবে।

চট্টগ্রামের অমিত, বগুড়ার বিশ্বজিৎ এবং তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে দল ও সরকার কী ব্যবস্থা নেয়, সেটাই দেখার বিষয়।