অরুণ জেটলি কি ঠিক বলেছিলেন?

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির অর্থনৈতিক নীতি কি বুমেরাং হচ্ছে?
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির অর্থনৈতিক নীতি কি বুমেরাং হচ্ছে?

গত সপ্তাহে ভারতীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ঢাকায় এসেছিলেন। এই সফরকালে ভারত গত সাত বছরের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো বড় অঙ্কের (৪৫০ কোটি ডলার!) ঋণ বিক্রি করতে পেরেছে বাংলাদেশের কাছে। এটা সবার জানা এবং প্রচারমাধ্যমেও বিষয়টিই বিশেষ মনযোগ পেয়েছে।

তবে সফরের তৃতীয় দিন (৫ অক্টোবর) অরুণ জেটলি ঢাকায় একটি পাঁচ তারকা হোটেলে নীতিনির্ধারণী এক আলোচনায় মিলিত হয়েছিলেন, যেখানে ভারত সরকারের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক উদ্যোগগুলো সম্পর্কে আলোচনা করেন তিনি। এই আলোচনা সভাটি ছিল প্রকৃতই গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে ভারতীয় অর্থমন্ত্রী বিশেষভাবে তাঁর আমলে গৃহীত কাগুজে মুদ্রা রহিতকরণ উদ্যোগ ও নতুন ধারার ভোক্তা কর ব্যবস্থার যথার্থতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে দাবি করেন, ‘গত তিন বছরে ভারত বিশ্বের দ্রুততম প্রবৃদ্ধির অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে।’

অথচ জেটলির ঢাকা সফরের মাত্র ছয় দিন আগে ভারতের শাসক দলেরই অন্যতম সিনিয়র নেতা ৮০ বছর বয়সী যশোবন্ত সিনহা একটি সাড়া জাগানো লেখা প্রকাশ করেন। যশোবন্ত সিনহা দুইবার ভারতের অর্থমন্ত্রী ছিলেন এবং তাঁর এক পুত্র কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভারও সদস্য। গত ২৭ সেপ্টেম্বর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় জেটলি ও মোদির অর্থনৈতিক নীতি কৌশলের সমালোচনা করে যে লেখাটি লিখেছেন তা গত সপ্তাহ পর্যন্ত ৯৮ হাজারেরও বেশি শেয়ার হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় অর্থনীতি বিষয়ক কোনো লেখা তাৎক্ষণিকভাবে পাঠের এটা একটা রেকর্ড। বলা বাহুল্য, ভারতীয় রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে লেখাটি ছোটখাটো ভূমিকম্পতুল্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। ‘আমার এখন কথা বলা প্রয়োজন’ (আই নিড টু স্পিক আপ নাউ) শিরোনামের ওই লেখায় যশোবন্ত সিনহা ভারতীয় অর্থনীতির সর্বশেষ বিবরণ দিয়ে বলেছেন:

এক. ভারতীয় অর্থনীতি বর্তমানে এক নৈরাজ্যকর অবস্থায় পড়েছে; সরকারের অর্থনৈতিক পদক্ষেপগুলো লাখ লাখ বেকার তৈরি করেছে;

দুই. বিগত দশকগুলোর মধ্যে ভারতে বেসরকারি বিনিয়োগ বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে; প্রবৃদ্ধিও ক্রমে নিম্নমুখী;

তিন. দেশের অন্তত ৪০টি বড় কোম্পানি দেউলিয়া হওয়ার পথে আছে;

চার. ভারতীয় অর্থনীতির একটি কষ্টকর পতন আসন্ন।

লেখার শেষ পর্যায়ে ভারতীয় অর্থনীতির উদ্ধারকে দুইবারের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী আরেকটি ‘মহাভারত যুদ্ধ’-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন।

অন্যদিকে, যশোবন্ত সিনহা’র এই লেখার ১০ দিন আগে বিজেপি’র আরেক প্রভাবশালী নেতা অর্থনীতিবিদ এবং পরিকল্পনা কমিশনের প্রাক্তন সদস্য সুব্রামানিয়াম স্বামী এক সাক্ষাৎকারে মোদি সরকারের অর্থনৈতিক নীতির তীব্র সমালোচনা করে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, ‘মন্দা আসন্ন।’ বিজেপির আরেক প্রাক্তন মন্ত্রী এবং অর্থনীতিবিদ অরুণ সুরি ৩ অক্টোবর এনডিটিভিকে এক সাক্ষাৎকারে যশোবন্ত ও সুব্রানিয়ামের উত্থাপিত মন্দার শঙ্কার সঙ্গে একমত পোষণ করে এর জন্য মুখ্যত গত বছর নভেম্বরে নেওয়া জেটলি ও মোদির মুদ্রা রহিতকরণ উদ্যোগকে দায়ী করেছেন—যখন ভারতে গান্ধী সিরিজের সকল ৫০০ এবং ১০০০ রুপির নোট নিষিদ্ধ করা হয়। অরুণ সুরি ওই ঘটনাকে ইতিহাসের বৃহত্তম ‘মানি লন্ডারিং’ ইভেন্ট হিসেবেও অভিহিত করেন।

স্বাভাবিকভাবেই, খোদ আরএসএস পরিবারের অভ্যন্তর থেকে আসা এইরূপ সমালোচনা ভারত জুড়ে হইচই ফেলে দিয়েছে। বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ তাঁদের সরকারের সমালোচকদের ‘হতাশ রাজনীতিবিদ’ হিসেবে অভিহিত করে অর্থনীতির অধোগতি মূলত স্বল্পস্থায়ী ‘টেকনিক্যাল’ কারণে হচ্ছে বলে উল্লেখ করলেও ৪ অক্টোবর রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ঘোষণা দিয়ে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭.৩ থেকে ৬.৭-এ নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে। রিজার্ভ অব ইন্ডিয়ার ঘোষণা সিনহা-সুব্রানিয়াম-অরুণ সুরির বক্তব্যকেই ন্যায্যতা দেয় এবং ভারতের অর্থনীতির অধোগতির উদ্বেগকে বাস্তব ঘটনা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। অথচ এর পরদিনই ঢাকায় জেটলি ঠিক ভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছিলেন!

প্রশ্ন উঠেছে, ভারতীয় অর্থনীতির অবস্থা কতটা খারাপ? মন্দা কী আসন্ন?

এইরূপ প্রশ্নের উত্তর খোঁজা এই কারণেও জরুরি যে, ভারতীয় অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ শুধু ভারতীয়দের দুর্ভাবনার বিষয় নয়—বিশ্ব পুঁজিতন্ত্রের জন্যও এটা এক বড় মনযোগের বিষয়—কারণ বর্তমানে সপ্তম বৃহৎ অর্থনীতি এটা।

বিভিন্ন সময় ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের প্রচারিত তথ্য মতে, দেশটিতে প্রতি বছর এক কোটি ২০ লাখ নতুন কর্মসংস্থান দরকার। মোদির প্রধান নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল তাঁর সরকার অন্তত বছরে এক কোটি নতুন চাকরি তৈরি করবে। কিন্তু এর জন্য অর্থনীতিতে অন্তত ৮ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি দরকার ছিল। ২০১৪ পরবর্তী কিছুটা সময় সেরকম লক্ষণও দেখা যাচ্ছিল। তখন এমন প্রচারণাও ছিল, ভারত হতে যাচ্ছে বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দেশ। কিন্তু ২০১৬-এর নভেম্বর থেকে পরিস্থিতি উল্টোমুখী। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য কমার সুসময়ও শেষ হয়। বর্তমানে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক পূর্বাভাস হলো ভারতে আগামী বছর অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৬.৫ শতাংশ। অথচ এটা ৭.৩ হারে হবে বলেই ঘোষণা করা হয়েছিল। চলতি অর্থ বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫.৭ শতাংশ হারে। ২০১৩-এর পর প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে এটাই ছিল সবচেয়ে খারাপ অবস্থা।

দেশটির এইরূপ প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশিত কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি করতে পারছে না। ফলে বেকারত্ব বাড়ছে তীব্রভাবে। ২০১১-এর পূর্বে যে হারে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছিল- বর্তমানে তার চেয়েও ২৫ শতাংশ কম কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে বলে তথ্য বেরিয়েছে। জরিপ বলছে, ১৫ থেকে ২৯ বয়সী তরুণদের এক-তৃতীয়াংশের বেশি (৩০.৮৩ শতাংশ) বেকার; শিক্ষা, কাজ, প্রশিক্ষণ কোথাও উপস্থিত নেই তারা। চীনে এই হার মাত্র ১১ শতাংশ। বলাবাহুল্য, ভারতের এই কর্মসংস্থানহীনতা ও বেকারত্ব অনিবার্যভাবেই দেশজুড়ে পণ্য চাহিদায়ও মন্দাভাব নিয়ে এসেছে।

এ ক্ষেত্রে অন্তত দুটি পদক্ষেপের জন্য ভারতীয় অর্থনীতিবিদরা মোদি সরকারকে দুষছেন। প্রথমটি হলো কয়েক ধরনের মুদ্রা রহিতকরণ—যাতে কোনো ধরনের সতর্ক সংকেত ছাড়াই দেশটির প্রায় ৮৬ ভাগ কাগুজে মুদ্রা হঠাৎ নাটকীয়ভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়। ফলে নগদ-মুদ্রা-নির্ভর ক্ষুদ্র ব্যবসায় ধস নামে। এটিএম বুথগুলো দীর্ঘদিনের জন্য শূন্য হয়ে যায়। এমনকি নগদ রুপি না পেয়ে কৃষকেরা অন্তত একটি মৌসুমে বীজ ও সার কিনতে পারেনি।

বিজেপি নেতা সাবেক অর্থমন্ত্রী যশোবন্ত সিনহা দাবি করেছেন মন্দা আসন্ন
বিজেপি নেতা সাবেক অর্থমন্ত্রী যশোবন্ত সিনহা দাবি করেছেন মন্দা আসন্ন

অরুণ জেটলি সেই সময় এবং ৫ অক্টোবর ঢাকার শ্রোতাদেরও বলেছেন, কাগুজে নোট থেকে ‘ক্যাশলেস ইকোনমি’ রাজস্ব বাড়ায়, সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধ করে এবং গরিবের জীবনে ঝুঁকি হ্রাস করে। কিন্তু ভারতে এর কোনোটাই ঘটেনি। বরং নগদ মুদ্রার অভাবে সেখানে গ্রামীণ অর্থনীতি সামগ্রিকভাবে ও শহুরে অর্থনীতির ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা অসহনীয় আঘাত পেয়েছে।

আবার এই বিধ্বংসী সিদ্ধান্তের রেশ কাটার আগেই এ বছরের জুলাই থেকে সরকার পণ্য ও সেবার কর ব্যবস্থায়ও ‘গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স’ বা জিএসটি নামে এমন এক সংস্কার সাধন করে যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে আবারও ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায় খাতে। সরকার পাঁচ স্তরের কর ব্যবস্থা সম্পন্ন এই আইনে গত তিন মাসে সাত বার সংশোধনী এনেছে--যা অর্থনৈতিক অস্থিরতাকে বাড়িয়ে চলেছে। এসবের মাঝে কেবল একটি ক্ষেত্রে ভারতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক উপাত্ত দেখা যাচ্ছে—তা হলো বিদেশি বিনিয়োগ। ২০১৫ সালেও ভারতে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৪ বিলিয়ন ডলার—যা পূর্ববর্তী বছরের চেয়ে ৯ বিলিয়ন ডলার বেশি। তবে এই বিদেশি বিনিয়োগ হচ্ছে মূলত ভারতীয় কোম্পানিগুলোর শেয়ার ক্রয় করার মধ্য দিয়ে। অথচ একসময় ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা বিদেশে এই কাজটি করতেন। এখন পরিস্থিতির গতিমুখ উল্টে গেছে বলা যায়। ৬৩ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম ভারতে শিল্প খাতে ব্যাংক ঋণে কোনো প্রবৃদ্ধি ছিল না। বিপরীতে ব্যাংকগুলোতে মন্দঋণের পরিমাণ বাড়ছেই। সর্বশেষ ভারতীয় ব্যাংকগুলোতে মন্দঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে আট লাখ কোটি রুপি—এটা একটা রেকর্ড।

এদিকে আগামী মে-২০০৯ এর মধ্যে দেশটিতে নতুন করে জাতীয় নির্বাচন আসন্ন। বেকারত্বের বিষয়টি যে এই নির্বাচনে শাসক দলের জন্য বুমেরাং হয়ে দেখা দেবে সেই শঙ্কা থেকেই বিজেপি শিবিরের অভ্যন্তর থেকেই মোদির অর্থনৈতিক নীতির বিরুদ্ধে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এবং তারই ফল সিনহা ও সুব্রামানিয়ামের বিদ্রোহ।

বিবেচনার বিষয় হলো, জেটলি ও মোদি এখন কি করবেন? বা কিছু করার জন্য হাতে কি সময় আছে?

ইতিমধ্যে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর অর্থনৈতিক উপদেষ্টামণ্ডলী পাল্টিয়েছেন। কিন্তু অনেকেই মনে করেন এই পদক্ষেপও অনেক দেরিতে নেওয়া হয়েছে। ফলে একটা বিকল্পই কেবল এখন রয়েছে সংঘ পরিবারের সামনে, তা হলো তীব্র সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে আরেকবার ভারতকে বিভক্ত করা। একমাত্র এই পথেই অর্থনৈতিক মন্দা থেকে মানুষের দৃষ্টি সরানো যেতে পারে। মোদি অবশ্য এটার পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন কিছু ইভেন্ট ও ঘোষণারও পক্ষপাতি। বিভিন্ন স্থানে ২-৩ শত ফুট উঁচু শিব, শিবাজি, বল্লব ভাই প্যাটেল প্রমুখের মূর্তি গড়ার ধুম পড়েছে সরকারি তরফ থেকে। আবার অর্থনৈতিক মন্দার মাঝেই মোদি ১৭ বিলিয়ন ডলারের মহা ব্যয়বহুল আহমেদাবাদ-মুম্বাই বুলেট ট্রেন চালুর ঘোষণা দিয়েছেন। যদিও স্থানীয় রাজনীতিবিদরা বলছেন বুলেট ট্রেন প্রজেক্টের ১.১ লাখ কোটি রুপি বর্তমান রেলওয়েকে আধুনিকীকরণে বিনিয়োগ হওয়াই বেশি লাভজনক হতো। কিন্তু মোদি-অমিত শাহ জুটি’র প্রয়োজন চোখ ধাঁধানো কিছু উদ্যোগ—যার মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিক মন্দাকে আড়াল করে ২০১৯-এর নির্বাচনী যুদ্ধে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক তাঁরা। কিন্তু তীব্র বেগে ধেয়ে আসা অর্থনৈতিক মন্দা তাঁদের জন্য ইতিমধ্যে বিরাট অস্বস্তির জন্ম দিয়ে ফেলেছে।

বিশেষত এই তথ্যটি মোদিকে লজ্জায় ফেলে দিয়েছে—যখন আন্তর্জাতিক সংস্থা ফ্রান্সভিত্তিক ‘অর্গানাইজেশন অব ইকোনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) জানায় যে, বিশ্বের যে ৪৫ টি অর্থনীতি নিয়ে তার মনযোগ তার সব কয়টি ২০০৭-এর পর এই প্রথম ইতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে এগোচ্ছে, কেবল ভারত ছাড়া।

সুতরাং অরুণ জেটলি ৫ অক্টোবর ঢাকাবাসীকে ঋণ বিক্রির পাশাপাশি যে ধারণাটিও দিতে চেয়েছেন—তাঁদের ‘ক্যাশলেস ইকোনমি গড়ার উদ্যোগে ভারতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দ্রুততর হচ্ছে’—কার্যত তা সত্য নয়।

আলতাফ পারভেজ: সাংবাদিক ও গবেষক।