সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি: নানা নিরাপত্তাঝুঁকি

সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ার ফলে স্থলভাগ তলিয়ে যাওয়ার তুলনামূলক চিত্র
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ার ফলে স্থলভাগ তলিয়ে যাওয়ার তুলনামূলক চিত্র

সম্প্রতি জার্মানির বন শহরে ফিজি কর্তৃক আয়োজিত জলবায়ু পরিবর্তন-বিষয়ক আন্তর্জাতিক ফোরাম কনফারেন্স অব পার্টিজের ২৩তম অধিবেশন (কপ-২৩) সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে অন্য অনেক আলোচনার মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিশেষ কিছু নিরাপত্তাঝুঁকি উঠে এসেছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তাঝুঁকি। ফিজির রাষ্ট্রপ্রধান জর্জ কনরোটের বক্তব্যে ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রসমূহের ওপর সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতার ফলে যে অস্তিত্বের ঝুঁকি তৈরি হবে, তার বিশদ বর্ণনা উঠে এসেছে। কিন্তু এই ঝুঁকি যে শুধু ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রসমূহের ওপরই রয়েছে তা নয়, বরং উপকূলীয় নিম্নাঞ্চলীয় সব দেশের ওপর কমবেশি ঝুঁকি রয়েছে। এর প্রথম সারিতে রয়েছে বাংলাদেশ। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে যেসব নেতিবাচক প্রভাব সারা বিশ্বে পড়বে, তার সবকিছুই বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে প্রযোজ্য। বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে সমগ্র পৃথিবীতে নানা আসন্ন এবং দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে মানুষের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি। আধুনিক জীবনযাত্রা অনুসারে চলতে গিয়ে মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা রাখছে। বিজ্ঞানের সূত্র মেনে তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে পানির আয়তনও বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়া মেরু অঞ্চল ও পর্বতচূড়ায় অবস্থিত বরফ গলে যাওয়ার ফলে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিজ্ঞানীদের ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে, তাপমাত্রা বৃদ্ধির বর্তমান হার অব্যাহত থাকলে ২১০০ সাল নাগাদ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১১ থেকে ৩৮ ইঞ্চি পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। গ্রিনল্যান্ড ও পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকায় বড়সড় কোনো ভাঙন দেখা দিলে এটা আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে।
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে সারা বিশ্বের নিম্নাঞ্চলের দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। জলবায়ু পরিবর্তন-বিষয়ক আন্তসরকার সংস্থা ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল ফর ক্লাইমেট চেঞ্জের (আইপিসিসি) একটা গবেষণা বলছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১ মিটার (৩৯.৩৭ ইঞ্চি) বাড়লে বাংলাদেশের ১৭-২০ শতাংশ স্থলভূমি পানিতে তলিয়ে যাবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর বাংলাদেশের জাতীয় কৌশলনীতি অনুসারে এর ফলে আড়াই কোটি মানুষ জলবায়ু-উদ্বাস্তুতে পরিণত হবে। অবশ্য স্বতন্ত্র গবেষণা বলছে, এ সংখ্যা ৩ থেকে সাড়ে ৩ কোটি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
নাসার সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে, আগামী ১০০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের বন্দরনগরী চট্টগ্রাম সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। বাংলাদেশের বিপুল জনসংখ্যার ঘনত্ব ও সীমিত সম্পদের কারণে পরিবেশ-উদ্বাস্তুদের অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা কষ্টসাধ্য হবে। বাংলাদেশ তিন দিক দিয়ে ভারত কর্তৃক কাঁটাতারে ঘেরা। বিপুলসংখ্যক উদ্বাস্তু যদি এই কাঁটাতার অতিক্রম করতে চেষ্টা করে, তখন কী পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে, সেটা গভীর বিশ্লেষণের দাবি রাখে। কিন্তু এটা নিঃসংকোচে বলা যায়, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতার ফলাফল আর বাংলাদেশের নিরাপত্তার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে না বরং এটা আন্তরাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি হয়ে উঠবে।
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে কিছু দ্বীপরাষ্ট্র। মালদ্বীপ, পাপুয়া নিউগিনি এবং প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রগুলো পুরোপুরি পানিতে তলিয়ে যাবে। এসব দেশ পুরোপুরি নিমজ্জিত হওয়ার আগেই বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে পড়বে। এ ছাড়া পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকা বেশ ঝুঁকিতে রয়েছে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, বিশ্বের বৃহৎ ১০টি মেগাসিটির মধ্যে ৮টিই সমুদ্র–তীরবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত। পৃথিবীর দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ সমুদ্রোপকূল থেকে ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাস করে। তাই সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে বিপুলসংখ্যক মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশ, যাদের সম্পদ সীমিত, তাদের পক্ষে এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা কষ্টকর হবে।
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন দেশের বর্তমান সামুদ্রিক সীমানা পরিবর্তিত হবে। দ্বীপরাষ্ট্রগুলো পুরোপুরি তলিয়ে গেলে সংলগ্ন সমুদ্রসীমার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাবে। সীমানার সামান্য পরিবর্তনের ফলেই ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশন অন দ্য ল অব দ্য সি (ইউএনসিএলওএস) কর্তৃক নির্ধারিত সামুদ্রিক সীমা পরিবর্তিত হবে। এর ফলে পরিবর্তিত নতুন সমুদ্রসীমা নিয়ে বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিরোধ দেখা দিতে পারে। সাগরের মধ্যে যে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে, সেটা নিয়ে এবং গভীর সমুদ্রে প্রবেশাধিকার নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেবে। আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্কে তিক্ততা এমনকি সংঘাত দেখা দেবে।
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে মানুষের জীবিকার ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। লবণাক্ত পানির সংক্রমণের কারণে বিভিন্ন ধরনের শস্য উৎপাদন ব্যাহত হবে এবং ফসলের গুণগত মান পরিবর্তিত হবে। গবেষণা বলছে, সমুদ্রের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, গভীরতার পরিবর্তন এবং পানির রাসায়নিক গুণগত মানের পরিবর্তনের ফলে মাছের অসংখ্য প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। অনেক সামুদ্রিক প্রাণী নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। কারণ, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি তাদের শ্বসন, বাস্তুসংস্থান ও শারীরিক বৃদ্ধির স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করবে।
খাদ্যনিরাপত্তা চরমভাবে ব্যাহত হবে। প্রধানত যেহেতু প্রচুর কৃষিজমি পানিতে তলিয়ে যাবে আর বিপুল জায়গা যদি তলিয়ে না–ও যায়, লবণাক্ত পানি প্রবেশের ফলে উৎপাদনক্ষমতা কমে যাবে। লবণ সংক্রমণের কারণে সেচকাজ কষ্টসাধ্য হবে এবং তার ফলে ফসল উৎপাদন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক কমে যাবে। ভিয়েতনামের মেকং নদী ও যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলের রেড রিভারের সংলগ্ন অঞ্চল তলিয়ে যাওয়ার ফলে বিপুল পরিমাণ চাল উৎপাদন ব্যাহত হবে।
বাংলাদেশ ফুড সিকিউরিটি ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম ২০১০-এর এক গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, ২০৫০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের চাল উৎপাদন প্রতিবছর ৩ দশমিক ৯ শতাংশ হারে কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তীব্র লবণাক্ততার ফলে পানির নিরাপত্তাও ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। পানির বিভিন্ন উৎস লবণাক্ত পানি দ্বারা আক্রান্ত হবে। মিঠা পানিতেও লবণাক্ত পানির সংক্রমণ ঘটবে। সুপেয় পানির অভাবে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরতা বাড়বে; যেখান থেকে আর্সেনিক সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে, যেটা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে সুপেয় পানির নদীতে এবং কৃষিজমিতে লবণাক্ততা দেখা দিয়েছে, যার ফলে যে বিরূপ প্রভাব দেখা দিয়েছে, তাকে ‘লবণাক্ত আগ্রাসন’ বলা যেতে পারে।
জ্বালানি অবকাঠামো সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, পারমাণবিক রি-অ্যাক্টরকে ঠান্ডা রাখার জন্য এতে নিরবচ্ছিন্ন পানির সরবরাহ প্রয়োজন। এ জন্য পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সাধারণত সমুদ্রোপকূলে নির্মাণ করা হয়। পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, যার ফলে রি-অ্যাক্টরের কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ ক্ষেত্রে ফুকুশিমা বিদ্যুৎকেন্দ্রের অভিজ্ঞতা স্মরণ করা যেতে পারে, যেটা ২০১১ সালের সুনামিতে পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ফলে তেজস্ক্রিয় রশ্মি ও পদার্থ সেখানকার পানিতে ও বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছিল, যা স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলেছিল।
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে সারা বিশ্বের অর্থনীতির ওপর প্রতিকূল প্রভাব পড়বে। উপকূলীয় অবকাঠামো—সমুদ্রবন্দর, রাস্তাঘাট ও রেলসংযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বন্দরসমূহের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ায় বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যাহত হবে। এর ফলে সমুদ্রোপকূলবর্তী শহর ও রাষ্ট্রসমূহের মানুষকে সেবা দেওয়ার সক্ষমতা হ্রাস পাবে, যা রাষ্ট্রসমূহকে ভঙ্গুর করে তুলবে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, বিশ্বের প্রধান অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র, যেমন নিউইয়র্ক, সাংহাই, মুম্বাই ইত্যাদি সমুদ্রোপকূলে অবস্থিত। এই অর্থনৈতিক চালিকাশক্তিগুলো যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিংবা সাময়িকভাবেও যদি এদের স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর কার্যক্রম ব্যাহত হয়, তাহলে বৈশ্বিক অর্থনীতি বড় ধরনের সংকটে পড়ে যাবে। উপকূলে অবস্থিত পর্যটনশিল্পের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হবে। বাংলাদেশে যে পর্যটনশিল্পের বিকাশ ঘটছে, তা হয়তো অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যাবে।
জীববৈচিত্র্যের ওপর সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির প্রভাব হবে ধ্বংসাত্মক। লবণাক্ত পানির সংক্রমণের ফলে উপকূলীয় অঞ্চলের মাটির গুণগত মানের পরিবর্তন হবে, যা ওই অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য, বিশেষত গাছপালার ওপর প্রতিকূল প্রভাব ফেলবে। বাংলাদেশের সুন্দরবনের ওপর বর্তমানে যে প্রতিকূল প্রভাব আমরা দেখছি, তা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। অনেক সামুদ্রিক জীব অস্তিত্ব সংকটের সম্মুখীন হবে। কারণ, পানির উচ্চতার পরিবর্তনের ফলে এরা আলো ও অক্সিজেনের স্বল্পতায় ভুগবে। এককথায় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতায় পরিবর্তনের ফলে সমগ্র পৃথিবীর জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয়ে যাবে।
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে যেসব সমস্যার সৃষ্টি হবে, তা ‘ঝুঁকি গুণিতক’ (থ্রেট মাল্টিপ্লায়ার)-এর কাজ করবে। ফলে যেসব সমস্যা ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশে বিদ্যমান আছে, সেগুলো আরও প্রকট হয়ে দেখা দেবে, যা চূড়ান্তভাবে তাদের সংঘাতের দিকে ঠেলে দেবে। যেসব দেশের শাসনব্যবস্থা দুর্বল, এসব সমস্যা তাদের আরও ভঙ্গুর করে তুলবে।
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়া পুরোপুরি রোধ করা সম্ভব নয়। বরং বৃদ্ধির হার কতটা কমিয়ে রাখা যায়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত। পাশাপাশি সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে যেসব নিরাপত্তাঝুঁকির সৃষ্টি হবে, সেগুলো মোকাবিলা করার জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের যে যৌথ ব্যবস্থাপনা থাকা দরকার, সেদিকে আমাদের বিশেষ নজর দিতে হবে। শুধু পরিকল্পনা নয়, বাস্তবায়নের দিকেও জোর দিতে হবে। তাহলেই ভবিষ্যৎকে নিরাপদ রাখা সম্ভব হবে।

(লেখক কর্তৃক জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া ব্রিফিংয়ের ওপর ভিত্তি করে লেখা।)

আ ন ম মুনীরুজজামান: ঢাকায় অবস্থিত নিরাপত্তা চিন্তাশালা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (বিআইপিএসএস)-এর সভাপতি।